বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ৫০ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
এবার পাঁচ মাস পর দেশে ফিরলেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের সাবেক এই অধিনায়ক। গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছেন। এপ্রিল মাসে সেখানেই সাকিব-শিশির দম্পতির দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়।
সাকিবের এবারের ফেরাটা একটু ভিন্ন। কারণ সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবার মাঠের ফেরার লক্ষ্য নিয়েই এবার দেশে ফিরেছেন সাকিব। এই সময়টা সাকিবের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল।
মঙ্গলবার অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করেই দেশে ফিরেছেন সাকিব। এজন্য তার দেশে আসার বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই ধোঁয়াশার মধ্যে ছিল। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছিল যে ৩১ আগস্ট দেশে ফিরবেন তিনি। এরপর থেকেই তার দেশে ফেরা নিয়ে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
বিদেশ থেকে আসায সাবিকের এখন করোনা পরীক্ষা করা হবে। এ সময় ঢাকায় নিজের বাসাতেই অবস্থান করবেন। পরে অনুশীলনের জন্য বিকেএসপিতে চলে যাবেন। সেখানেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন শুরু করবেন সাকিব। সেখানে তার অনুশীলনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সাকিব বিসিবির কোনো সুবিধা নিতে পারবেন না।
সাকিবের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে ২৮ অক্টোবর। অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর থেকেই সাকিব আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন।
বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফরের তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট আগামী ২৪ অক্টোবর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সাকিবের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার চার দিন আগে শুরু হবে সেই টেস্ট। তাই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই টাইগার একাদশে সাকিবের নাম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পরই যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান সাকিব। সেখানে পৌঁছে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের একটি হোটেলে ১৪ দিনের আইসোলেশন শেষে পরিবারের কাছে ফিরেন তিনি।
মূলত সন্তানসম্ভাবা স্ত্রীর পাশে থাকতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন সাকিব। গত ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। এর আগে ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর প্রথম সন্তানের বাবা হন সাকিব।
বাংলাদেশ দলের হয়ে এ পর্যন্ত ৫৬ টেস্ট, ২০৬ ওয়ানডে ও ৭৬টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন সাকিব।
বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার টেস্টে ৩৮৬২, ওয়ানডে ৬৩২৩ এবং টি-টোয়েন্টিতে ১৫৬৭ রান করেছেন। ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে মোট ১৪ সেঞ্চুরি এবং ৮০টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।