রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এখন হাসপাতালেও ধীরে ধীরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
এডিস ইজিপ্টি নামের মশার কামড়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করে। এ মশা ভাইরাসবাহী কাউকে কামড়ানোর পর অন্য আরেকজনকে কামড়ালে সেই মানুষটি আক্রান্ত হয়।
শিশু ও বয়স্কদের এ সমস্যা বেশি হয় এবং রোগী ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ে ও নানাবিধ জটিলতা দেখা দেয়। জ্বর হলে শরীরে ক্যালোরির চাহিদা বাড়ে, ফলে বিপাক বেড়ে যায় ও রোগীর পুষ্টির দরকার হয়। রুচি কমে গেলে এমন খাবার বেছে নিন, যা অল্প খেলেও বেশি ক্যালোরি পাওয়া যায়।
ডেঙ্গুজ্বর হলে রোগীর মুখের রুচি নষ্ট হয়ে যায়। আর এ সময়ে অন্য খাবারের পাশাপাশি তরলজাতীয় প্রোটিন ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে।
ডেঙ্গু রোগীকে কী খাওয়াবেন?
প্রচুর তরল পান করতে হবে। দিনে কমপক্ষে আড়াই লিটার পানি পান করুন। পানির পাশাপাশি লবণ ও খনিজ উপাদানসমৃদ্ধ তরল যেমন ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, লেবু-লবণের শবরত, ফলের রস পান করা উচিত। এসব খাবার রক্তচাপ হ্রাসের ঝুঁকি কমবে।
তেল-মসলাযুক্ত খাবার, ফাস্টফুড না খাওয়াই ভালো। খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত শর্করা যেমন- ভাত, জাউভাত, ওটমিল ইত্যাদি রাখুন। প্রোটিন যেমন- দুধ, দই, মাছ বা মুরগির মাংস, স্যুপ রাখুন।
বমি বেশি হলে আদা-চা, গ্রিন-টি বা শুকনো আদা খেতে পারেন। এ সময় ফল ও ফলের রস বেশি করে খেতে হবে। ফলের রসে ভিটামিন সি আছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মালটা, কমলা, লেবু, পেয়ারা, কিউই, স্ট্রবেরি, পেঁপে, আনার বা ডালিম ইত্যাদি খেতে হবে। এসব ফলে জলীয় অংশ অনেক। তা ছাড়া রুচি বাড়াতেও সাহায্য করবে। ডাবের পানিতে খনিজ বা ইলেট্রোলাইটস আছে, যা ডেঙ্গুজ্বরে খুবই দরকারি।
খেতে পারেন গাজর, টমেটো, শসা এসব খাবারে জলীয় অংশ বেশি। ব্রকোলি ভিটামিন কে এর উৎস, যা ডেঙ্গুতে রক্তপাতের ঝুঁকি কমায়। খেতে হবে নানা ধরনের সবজিও।