ফের মানবিকতার অনন্য নজির গড়লেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় তারকা তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। রাস্তায় শুয়ে থাকা অসুস্থ বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর এবার তাকে পরিবারের হাতে তুলে দিলেন তিনি।
জিনিউজ জানায়, সম্প্রতি কলকাতার রাস্তায় অসহায় অবস্থায় পড়েছিলেন এক বৃদ্ধ। পায়ের সমস্যায় এতটাই ভুগছিলেন যে, উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা পর্যন্ত তার ছিল না! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেত বৃদ্ধের সেই দুর্দশাগ্রস্থ দৃশ্যই তুলে ধরেছিলেন দুই তরুণ-তরুণী। সেটি অভিনেত্রী মিমির নজরে আসলে তাৎক্ষণিক ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে দেন তিনি। তখন থেকেই খোঁজ চলছিল ওই বৃদ্ধের পরিবারের। অবশেষে তার আসল পরিচয় পাওয়া গেল সাংসদের উদ্যোগে।
মিমির খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ভাইরাল হতে শুরু করেন ওই বৃদ্ধ। বিষয়টি পরিবারের লোকদেরও নজরে আসে। সেই সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, রানাঘাটের গাঙনাপুরের বাসিন্দা তিনি। তার প্রকৃত নাম কুমুদ শীল। গত তিন মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে নিজের পেনশন তুলতে গিয়ে হারিয়ে যান তিনি। কীভাবে তিনি কলকাতায় এলেন, তা জানে না বৃদ্ধের পরিবার।
শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে চিকিৎসার পর এখন অনেকটাই সুস্থ ওই ব্যক্তি। ওদিকে মিমির পোস্ট নজরে আসতেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন বৃদ্ধের ভাইয়ের ছেলে ও নাতি সৌরভ শীল। পুরো ঘটনা খুলে বলেন সাংসদকে। রানাঘাট থেকে কুমুদবাবুর সমস্ত পরিচয়পত্র নিয়ে শনিবারই শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে এসে চাচাকে দেখতে পান। এরপরই অসহায় ওই বৃদ্ধকে নিয়ে বাড়ি নিয়ে যান তার ভাইয়ের ছেলে।
মিমি ভিডিও কল করে কুমুদবাবুর ভাইপোর সঙ্গে কথাও বলেন এবং এই অতিমারী পরিস্থিতিতে যাতে কোনওরকম অসুবিধের সম্মুখীন না হতে হয়, তাদের ফিরে যাওয়ারও সমস্ত ব্যবস্থা করে দেন এই সাংসদ-অভিনেত্রী। মিমির এই উপকার পেয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেন নি কুমুদবাবুর পরিবার। রাজ্যের সাংসদের এমন উদ্যোগে অভিভূত ওই বৃদ্ধের পরিবার। এ ছাড়াও কলকাতা পুলিশকেও ধন্যবাদ জানাতেও ভুললেন না তারা।সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন