অভিনেতা শুভ'কে চায়ের সঙ্গে 'কিছু' খাওয়ানো হয়েছিল!

Comments · 949 Views

গিয়েছিলেন কেন্দুয়ায় এক বন্ধুর বাড়িতে। সেখানে কিসের যেন শুটিং ছিল। সেখানেই এক কাজের একদিন বিরতি। ওইদিন বাজারে চা খেতে গিয়েছিলেন। এরপর তার আর কিছুই মনে নেই- অভিনয় শিল্পীসংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিমকে এমনটাই বলছেন মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় জামালপুরে ঘোরাফেরা করা অভিনেতা শাহরিয়ার শুভ।

আজ সোমবার অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক নাসিম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কিছুক্ষণ আগেই আমার সঙ্গে কথা হলো। সে আজকেই ফিরবে। আর আমার সঙ্গে আগামীকাল দেখা করার কথা রয়েছে। যদিও সে বলছিল ওই চা পানের পর তার কিছু মনে নেই, এবং লোকজন তাকে সরিষাবাড়ির স্টেশন এলাকায় খুঁজে পায়, পরে হাসপাতালে নিয়ে ইনজেকশন দিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক করা হয়। তার সাথে সামনাসামনি দেখা হলে বোঝা যাবে আসলে কী ঘটেছিল। কীভাবে কেন্দুয়া থেকে সরিষাবাড়ি চলে গেল হয়তো জানা যাবে। অবশ্য সে বলেছে চায়ের সঙ্গে কেউ হয়তো কিছু মিশিয়ে দিয়েছিল।'

কথাবার্তায় মানসিক ভারসাম্যহীনতার লক্ষ্মণ ছিল না কি এই প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, 'আসলে সে গত আড়াই, তিন বছর ধরে অভিনয়ে অনিয়মিত। আমি তো ফোনে কাল থেকেই কথা বলছি। আমার কাছে কথাবার্তায় অস্বাভাবিক তেমন মনে হচ্ছে কিন্তু একটা কথায় খটকা লাগছে। সেটা কেন, আসলে ওর সঙ্গে কাল দেখা হলেই হয়তো বুঝতে পারবো। আর অভিনয়ে যেহেতু সে অনিয়মিত কেন্দুয়ায় কিসের শুটিংয়ে গেল। এই বিষয়টি বুঝতে পারলাম না।'

ছোট পর্দার শিল্পীদের এই নেতা বলেন, 'শুভকে গতকালই (রবিবার) বললাম তুই চলে আয় কিন্তু সে কনোভাবেই গতকাল আসবে না। আমাকে বারবার বলল আজকে (সোমবার) আসবে। আমি বললাম তোকে পুরো নিরাপত্তার সঙ্গে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু সে এলো না। আজ আসবে, এখন দেখা যাক।'

তবে শুভ গণমাধ্যমকে বলেছেন, তার গাড়ি চুরি করার জন্য একটি চক্র তাকে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে কিছু একটা খাইয়ে অচেতন করে ফেলে। মূলতা আমার সঙ্গে থাকা একটি গাড়ি চুরি করার জন্য এই কাজটি করা হয়েছে। তবে সরিষাবাড়িতে কীভাবে এলেন, জানেন না। কারণ বিষক্রিয়ায় তার মাথা কাজ করছিল না।

অভিনেতা শাহরিয়ার শুভ। একসময় টিভির নিয়মিত মুখ ছিলেন। কাজ করেছেন অসংখ্য জনপ্রিয় নাটক-টেলিফিল্ম ও বিজ্ঞাপনে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় কিছু ছবি। যেখানে বলা হয়েছে, জামালপুরের সরিষাবাড়ির বিভিন্ন জায়গায় এই ছবির লোকটাকে দেখা গেছে। তিনি ভারসাম্যহীন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাড়ি ও পরিবারের কোনো তথ্য দিতে পারছেন না।

Comments