২০১৯ সালের ১৫ মার্চ, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে কুখ্যাত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন বাংলাদেশের তরুণী সাজেদা আক্তার লিপি। তার স্বামী মাসুদ মিয়া বর্তমানে বাংলাদেশে এসে আটকা পড়েছেন।
ওদিকে অভিযুক্ত উগ্রবাদী বন্দুকধারীর রায়ের দিন এগিয়ে আসছে। এমন সময়ে তার যাওয়া নিয়ে যখন অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে, তখন সুখবর পেলেন মাসুদ।
নিউজিল্যান্ডের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট শুক্রবার জানিয়েছে, হামলার শিকার হওয়া যেসব মানুষ বিভিন্ন দেশে আটকা পড়েছেন, তাদের ফেরাতে আর্থিক সহায়তা দেবে কিউই সরকার। একই সঙ্গে কঠিন কোনো শর্ত ছাড়াই ভিসার মেয়াদও বাড়ানো হচ্ছে।
নিউজিল্যান্ডের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম স্টাফ জানিয়েছে, আগস্টের ২৪ তারিখ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শুনানি হবে। এদিনই ঘোষণা করা হতে পারে রায়।
কিউই সরকারের নতুন এই ঘোষণার সুবিধা পেতে হলে বিভিন্ন দেশে আটকা পড়া ব্যক্তিদের আবেদন করতে হবে। এরপর তাদের ভ্রমণ খরচ দেওয়া হবে।
স্টাফের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হামলার অনেক ভুক্তভোগী করোনার আগে-আগে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বিভিন্ন দেশে যান। এরপর বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা বিপাকে পড়েন।
জানা গেছে, বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের দক্ষিণ অষ্টঘড়িয়া গ্রামের মাসুদ মিয়া এক মাসের জন্য বাংলাদেশে এসে আটকা পড়েছেন।
গত বছর ১৫ মার্চ থেকে পরের আটদিন মাসুদের স্ত্রী লিপি ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালের আইসিইউতে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে প্রাণে বাঁচলেও লিপির পা আর ভালো হয়নি।
সেন্ট্রাল ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে বসবাস করেন বাংলাদেশি দম্পতি মাসুদ ও লিপি।
গত বছর ১৫ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে স্বামী মাসুদ মিয়ার সঙ্গে গাড়িতে করে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূরে গিয়েছিলেন লিপি। মসজিদের সামনে লিপিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গাড়িটি ঠিকভাবে পার্ক করতে যান মাসুদ। ঠিক এই সময়টিতেই ঘটে বন্দুক হামলার ঘটনা। ভাগ্যক্রমে মাসুদ মিয়া নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে পারলেও, কোন সুযোগ পাননি লিপি। দৌঁড়ে আত্মরক্ষা করতে গিয়েও পারেননি।
Shawon islam Suzon 4 yrs
Wow