২০০৭, কানপুর। ভারত-পাকিস্তান ওয়ানডে ম্যাচ। সে ম্যাচে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দুজনের। এরপর থেকেই তাঁদের সাপে-নেউলে সম্পর্ক। তা টিকে আছে ব্যাট তুলে রাখার পরও। বুঝতেই পারছেন গৌতম গম্ভীর ও শহীদ আফ্রিদির কথা বলা হচ্ছে।
বরাবরের মতো আবারও গম্ভীরকে এক হাত নিলেন আফ্রিদি। সেটি মানুষ গম্ভীর, তবে ব্যাটসম্যান গম্ভীরকে পছন্দই করেন পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার। এ কথা আফ্রিদি বলেছেন পাকিস্তানের সংবাদকর্মী জয়নব আব্বাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, 'ক্রিকেটার ও ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁকে সব সময় পছন্দ করে এসেছি। কিন্তু মানুষ হিসেবে সে মাঝে মাঝে এমন কিছু বলে এবং এমন কিছু করে, যাতে মনে হতে বাধ্য তার সমস্যা আছে। তার ফিজিও সে কথা আগেই বলেছে।'
ভারতের সাবেক এ ওপেনারের ক্যারিয়ারে জাতীয় দলের ফিজিও ছিলেন প্যাডি আপটন। গম্ভীর সম্পর্কে প্যাডি তাঁর বইয়ে লিখেছেন, 'মানসিক শক্তিয়ে আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তাদের মধ্যে সে ছিল অন্যতম দুর্বল এবং সব সময় (মানসিকভাবে) নিরাপত্তাহীনতায় ভুগত।' ভারত জাতীয় দলের সঙ্গে ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত কাজ করা প্যাডি জানিয়েছেন, সেঞ্চুরি করে আউট হয়েও গম্ভীর নাকি কষ্ট পেতেন, ভুগতেন মানসিক যন্ত্রণায়।
প্যাডির বইয়ে এমন মন্তব্যের জবাবে গম্ভীর বলেছিলেন, 'আমি সব সময় নিজেকে এবং ভারতকে বিশ্বসেরা দল হিসেবে দেখতে চেয়েছি। এ জন্য ১০০ করেও সন্তুষ্ট হতে পারিনি, প্যাডির বইয়ে যে কথা বলা হয়েছে। এখানে আমি খারাপ কিছু দেখি না।'
গম্ভীরের আচরণগত সমস্যা নিয়ে এর আগেও মন্তব্য করেছেন আফ্রিদি। এর জবাবে ভারতের সাবেক ওপেনারের কথাগুলো অবশ্য বেশ তীর্যক ছিল, 'তুমি হাসালে! তবে আমরা এখনো পাকিস্তানিদের চিকিৎসার জন্য ভিসা দেই। আমি নিজে তোমাকে মনোবিদের কাছে নিয়ে যাব।'