আন্তর্জাতিক পাওয়ারলিফটিং ফেডারেশন (আইপিএএফ) এবং এশিয়ান পাওয়ারলিফটিং ফেডারেশনের (এপিএফ) সদস্যপদ পেয়েছে বাংলাদেশ পাওয়ারলিফটিং অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। এই সদস্যপদ পাওয়ার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশ নিতে পারবে বাংলাদেশ।
পাওয়ারলিফটিং খেলাটা বাংলাদেশে একেবারেই অপ্রচলিত। ভারোত্তোলনের মতো এই খেলাতে একজন খেলোয়াড়কে ওজন তুলতে হয় তিনটি লিফটে। কিন্তু ভারোত্তোলনের চেয়ে এই খেলার ওজন তোলার পদ্ধতি আলাদা। শুরুতে বেঞ্চ প্রেস ইভেন্ট। এরপর স্কট এবং সব শেষে ডেড লিফটের মাধ্যমে ওজন তোলেন খেলোয়াড়েরা।
বেঞ্চ প্রেস ইভেন্টে একটা নির্দিষ্ট বেঞ্চে চিৎ হয়ে শুয়ে বুকের ওপর ওজন রাখতে হয়। এরপর দুই হাত সমান্তরালভাবে প্রসারিত করে ওজন তুলতে হয়। স্কটে প্রথমে ঘাড়ের পেছন দিকে ওজনটা রেখে বসতে হয়, আবার সেই ওজনটা তুলতে হয়। ডেড লিফটে ম্যাট থেকে ভার তুলে সোজা দাঁড়াতে হয়। তিনটি লিফটে সবচেয়ে বেশি ওজন যিনি তোলেন তাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ পাওয়ারলিফটিং অ্যাসোসিয়েশনের যাত্রা শুরু হলেও এখনও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুমোদন মেলেনি। তবে প্রতিবছর দেশ সেরা পাওয়ারলিফটারদের নিয়ে পূর্বাচলে বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে পাওয়ারলিফটিং অ্যাসোসিয়েশন।
খেলাটিকে জনপ্রিয় করতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে এই অ্যাসোসিয়েশন। গত বছর আইপিএফের গ্রেড 'এ' রেফারিদের দিয়ে স্থানীয় রেফারিদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাওয়ারলিফটিং স্পোর্টস ওয়ার্ল্ড গেমস ও স্পেশাল অলিম্পিকের তালিকাভুক্ত একটি খেলা। খুব শিগগিরই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের পরিকল্পনা আছে কর্মকর্তাদের। পাওয়ারলিফটিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক।