গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাইমাইল এলাকায় আজ রোববার দুপুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। টঙ্গীর ডুবুরি দল তাঁদের তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
তাঁরা হলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিতাব আলীর ছেলে মো. স্বাধীন (১৭)। সে এবার এসএসসি পাস করেছে। এ ছাড়া একই এলাকার কামরুল ইসলামের ছেলে মো. সাব্বির আহমেদ (১৮) ও শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. রনি (১৯)। স্বাধীন ও সাব্বির সম্পর্কে মামাতোফুফাতো ভাই।
এলাকার কয়েজন বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার বাইমাইল এলাকায় একটি বিলে রোববার দুপুরে শিক্ষার্থী স্বাধীন, সাব্বির, রনিসহ ৮-৯ জন বন্ধু গোসল করতে যান। গোসলের একপর্যায়ে খালের স্রোতে সুজন নামের এক তরুণ ডুবে যাচ্ছিলেন। এ সময় সাব্বির ও রনি তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করে তাঁরাও পানিতে ডুবে যেতে থাকেন। পরে বিপ্লব, স্বাধীন, রানা ও আকাশ তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে চারজনকে উদ্ধার করেন। তবে রনি, সাব্বির ও স্বাধীন পানিতে ডুবে যান। পরে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় সাব্বির, স্বাধীন ও রনিকে মৃত অবস্থায় পানির গভীর থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে স্বাধীন এবার এসএসসি পাস করেছে। এ ছাড়া বাকি দুজন গাজীপুর জেনুইন রেসিডেনসিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয় কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। পরে তারা ওই তিন শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে। একই এলাকার তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি সাইফুল ইসলাম জানান, প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় ওই তিন শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় ২৫ ফুট গভীর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদ হোসেন জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।