১. প্রাথমিক ভিত্তি নিশ্চিত করুন :
প্রাথমিকভাবে একটি আয়ের সূত্র নিশ্চিত না করেই দ্বিতীয় আয়ের উৎস চিন্তা করাটা বোকামি। তাই একটি আয়কে মূল উৎস নিশ্চিত করাই হবে সাফল্য অর্জনের প্রথম ধাপ।
২. যোগ্যতা বাড়ান :
প্রত্যেকেরই নিজস্ব যোগ্যতা ও সামর্থ্য রয়েছে। আপনার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, কাজ সমাধানের ক্ষমতা ইত্যাদি যোগ্যতার মাধ্যমেই প্রতিফলিত হয়। এ জন্য যোগ্যতা বাড়াতে মনোযোগী হন, যা পরে আপনার আয় বাড়াতে সহায়তা করবে।
৩. চাহিদা নিরূপণ করুন :
আপনার যে ধরনের অভিজ্ঞতা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, তা বাস্তবে কাজে লাগালে কেমন অর্থ পাওয়া যাবে, সে সম্বন্ধে ধারণা করুন। এতে পরবর্তী সময় ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে।
৪. যোগাযোগ গড়ে তুলুন :
আয় বাড়াতে এটি সরাসরি কাজে না লাগলেও বাস্তবে যত বেশি মানুষের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক থাকবে, আয় বাড়ার সম্ভাবনাও ততই বাড়বে। তবে সম্পর্কগুলো যেন সত্যিকারের হয়, সেদিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
৫. সঙ্গীদের লক্ষ্য জেনে নিন :
সাফল্য নির্ভর করে সঠিক পরিকল্পনার ওপর। আপনার সঙ্গীদের পরিকল্পনা জানতে পারলে বাস্তবতার নিরিখে নিজস্ব পরিকল্পনা তৈরি করতে এবং সে অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারবেন।
৬. এগিয়ে আসুন :
যেকোনো অবস্থানে থেকেও পেশাসংক্রান্ত কিংবা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন কেবল সদিচ্ছা। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এলে আপনার পরিচয় যেমন বাড়বে, তেমনি তা আপনার অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে।
৭. পরিকল্পনা করুন :
উন্নতির জন্য পরিকল্পনা করা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরিকল্পনা ছাড়া এগিয়ে যাওয়া কঠিন। পাশাপাশি পেশাদারি জীবনে সাফল্যের জন্যও এটি অন্যতম নিয়ামক।
৮. গুরু খুঁজে নিন :
সফল কোনো ব্যক্তি যদি আপনাকে পরামর্শ দেয় কিংবা অনুপ্রেরণা যোগায়, তাহলে সাফল্যের রাস্তাটি অনেক সহজে ধরা দেয়। কেননা, অভিজ্ঞতার মূল্য অপরিসীম। এমন অভিজ্ঞ কারো সন্ধান পাওয়া গেলে তাঁকে গুরু হিসেবে মেনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
পুর্ববর্তী পার্টঃব্যবসা ক্ষেত্রে সাফল্যের উপায়