বিয়ের তিনদিন হয়ে যাওয়ার পরেও আমার সাথে আমার স্বামীর সম্পর্ক খুব স্বাভাবিক।
রাতে খাওয়া দাওয়া দেবর ননদদের সাথে হাসি ঠাট্টা শেষে রাত বারোটার দিকে ঘুমাতে আসি। আমার স্বামী আমাকে দেখে দ্রুত বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ায় যেন আমি তার অফিসের বস। এক্ষুনি তাকে এক রাম ধমক লাগাবো। আমি বিছানায় বসে থাকি অল্পক্ষণ।
তারপর হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেস হয়ে ঘুমাতে আসি। উনি ততক্ষণে মশারি টানিয়ে ফেলেন। মশারি গুজতে গুজতে লাজুক স্বরে বলেন। বহুদিনের অভ্যাস বুঝলা?
আর আমি মশারি না ঝেড়ে টানাই না। বিশ্বাস করো ভিতরে একটাও মশা থাকবে না। তুমি পুরো রাত আরামে ঘুমাতে পারবা। আমার ইচ্ছে করে ফিক করে হেসে ফেলি। কিন্তু অনেকটা ইচ্ছে করেই মুখ গোমড়া
বানিয়ে রাখি।
টানটান বিছানায় চমৎকার পরিস্কার মশারি। রুম জুড়ে হালকা এয়ার ফ্রেসনারের গন্ধ। আমার মন্দ লাগে না। তবে আমার স্বামী এখনো স্বামী সুলভ আচরণ কেন করছে না, সেটাও ভেবে পাই না।
আমার মোবাইল টেপাটেপির অভ্যাস কম। তবুও কিছুক্ষণ অনলাইনে থাকি। তারপর লজ্জায় পড়ে যাই, এই মাঝরাতে আমার নামের পাশে সবুজ বাতি দেখলে সবাই কি ভাববে? উনি অপেক্ষা করেন।
উনি মানে আমার স্বামী ‘হায়দার । ‘
একসময় কথা বলা শুরু করেন ভার্সিটির মজার মজার গল্প।
কোন স্যারকে কি নামে ডাকা হতো, কার প্রেমিকাকে ভুল প্রেমপত্র সাপ্লাই করা হয়েছিল এইসব।
আমিও টুকটাক জবাব দেই। কাল বিকেলে আমরা জামালপুর চলে যাবো। ওখানেই ওর পোষ্টিং।
আব্বা আমাকে ফার্নিচার দিতে চাইলে উনি একটু বিরক্ত হলেন সম্ভবত। মাথা নিচু করে বললেন।
বাসায় আপাতত কিছু লাগবে না। লাগলে আমি অবশ্যই জানাবো।
পরদিন আমাদের চলে যাওয়া উপলক্ষে আমাদের বাসা থেকে সবাই এলো। বড় আপা তীক্ষ্ণ চোখে খানিকক্ষণ আমার দিকে চেয়ে কি দেখলেন আল্লাহ জানে। তারপর ফিসফিস করে বললেন
‘,এই তোদের মাঝে ওই সব হয়নি? ‘
‘ওইসব, আবার কোনসব?
‘ আহ, বোঝে না ন্যাকা। স্বামী স্ত্রীদের মাঝে যা হয় আর কি! ‘
আমি চুপ করে রইলাম। আমার বড় বোন ঝড়ের বেগে ড্রয়িংরুমে চলে গেলেন। সম্ভবত সবাইকে এসব জানাতে। আমি লজ্জায় একশেষ।
ও আমাদের বাসার সবাই আসা উপলক্ষে প্রচুর আয়োজন করেছে। নিজে গিয়ে তাজা মাছ কিনে এনেছে। খুঁজে খুঁজে ভালো দই ও ফিরনির জন্য খাঁটি দুধ নিয়ে এসেছে। আমার ননদেরা আমাকে দামি একটা শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে। আমি শাড়ি ভালো পরতে পারি না। সেই মনে হয় বোনেদের বলেছে। তার বোনেরা মেহমান কেউ বেড়াতে এলেই দৌঁড়ে আমার রুমে আসে । আমাকে শাড়ি পরিয়ে সাজিয়ে ভাইয়ের দিকে তাকায়। ওর ভাই লাজুক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলে, মেহমান এসেছে।
তুমি অস্বস্তি বোধ করলে বেশিক্ষণ থেকো না। আমি ম্যানেজ করবো। ও হ্যাঁ শাড়িটায় তোমায় অদ্ভুত মায়াবী লাগছে। এই রঙের আরো একটা শাড়ি কিনে নিও। যা কিছু সুন্দর সেটা দুটো হওয়া উচিৎ। যেন একটা শেষ হলেও আরেকটা থাকে।
দুলাভাই ওকে আমার রুমে ডেকে এনে রীতিমত জেরা শুরু করলেন। ‘ তোমাদের সমস্যা কি?
আসলে সমস্যাটা কার? ‘ হেনতেন নানান প্রশ্ন। আমি লজ্জায় লাল হচ্ছি। ও দেখলাম বেশ সাবলীল ভাবেই সব উত্তর দিচ্ছে। দুলাভাইকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলল ‘ আমারই তো স্ত্রী, এতো তাড়াহুড়োর কি আছে?
দুপুরে খাওয়া শেষ হবার পরপরই গাড়ি চলে এলো। আমার শ্বাশুড়ি খাবারের ব্যাগ দিতে চাইলেন সাথে। ও খুব আস্তে না করলো। তারপরেও টুকটাক জিনিস প্রচুর হয়ে গেল। ও শুধু আমার আর ও কাপড়ের লাগেজ গাড়িতে ওঠালো।
আমাদের বাসা থেকে আনা জিনিস ওদের বাসায় আর ওদের বাসার সব জিনিস যা আমাদের জন্য রেডি করা হয়েছিল সব আমাদের বাসায় পাঠিয়ে আমার পাশে গাড়িতে উঠে বসলো। আমার কেন জানি খুব কান্না পাচ্ছিল। এই অদ্ভুত মানুষের সাথে একটা বাড়িতে একা থাকবো কি করে কে জানে?
জামালপুরের বাসাটা চমৎকার। খুব গোছানো। মানুষটা খুব গোছানো টাইপের বোঝা যায়। বিয়ের প্রস্ততি স্বরুপ সে শুধু বাসাই নেয়নি। টু বেডরুমের বাসায় ডাইনিং, ড্রয়িং সহ যেখানে যে আসবাব থাকা দরকার সবই আছে। সবচেয়ে আশ্চর্য রান্নাঘরে বেলন পিঁড়ি থেকে শুরু করে ব্লেন্ডার পর্যন্ত আছে।
সব জিনিস তকতক করছে। আমার হঠাৎ মনটা ভালো হয়ে গেল। সে নিজেই আমাকে চা বানিয়ে খাওয়ালো। সাথে কেক আর গরম শিঙাড়া। এগুলো আসার পথে কেনা। সে শিঙাড়ার কোণা দেখতে দেখতে বললো ‘ পাকা হাত না, পাকা হাতের শিঙাড়ার কোণা এতো ভোঁতা হয় না। আমি ফিক করে হেসে ফেললাম। সে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কেকের ডেট দেখে তারপর আমায় খেতে দিল। যেন আমি তার বাড়ির বিশিষ্ট মেহমান ত্রুটি দেখলে এখুনি রাগ করে চলে যাবো।
রাতে সে আমায় গোসলে পাঠিয়ে রান্নাঘরে খুঁটখাট শুরু করলো। আমিও কিছু বললাম না। কাপড় আলমারিতে গুছিয়ে আমি গোসলে চলে গেলাম। এসে দেখি ‘ ভাত, আলু ভাজি, ডিম ভুনা আর ডাল ভর্তা। সে টেবিলে খাবার রেডি করছে।
আমায় দেখেই হেসে বললো ‘ তুমি কি একটু অপেক্ষা করবে, আমি গোসল করে আসি?
আমি হেসে বললাম ‘ যাও...।
মানুষটাকে প্রথম তুমি ডাকলাম ভালোই লাগলো। রাতে আবার গল্প।
আজ তার একটু উন্নতি হয়েছে। আমার ঘুম আসছিল না। সে খুব যত্ন করে আমার চুলে বিলি কেটে দিল। কখন ঘুমিয়ে গেছি মনে নেই। সকালে দেখি খিঁচুড়ি আর ডিম ভাজি, বেগুন ভাজি সহযোগে নাস্তা রেডি।
গ্লাসের নিচে একটা চিরকুট ‘ লামিয়া, তুমি খেয়ে নিও। আমি বিকেলে আসার সময় বাজার করে নিয়ে আসবো। তুমি চুলা ধরিও না।
এর মাঝে ক্ষিদে পেলে। কৌটায় বিস্কিট আছে। কালকের বাসি কেক খেও না ওটায় ভেজাল তেল দেয়া খেয়েই বুজেছি। :
স্ত্রীর কাছে স্বামীর কি অদ্ভুত চিঠি। তাও আবার প্রথম চিঠি। আমি হাসবো না কাঁদবো।
এরপরের তিনদিনে বুঝে গেলাম, আমার স্বামী ভোজন প্রিয় না তবে খাদ্য রসিক। সে শুধু খেতে না রাঁধতেও খুব পছন্দ করে। অফিস থেকে ফিরেই মাছ কাটে। আমি সব্জী কেটে দিলে সে হাসে। তবে হাসির ধরণ দেখে বোঝা যায়। সে আমার চেয়ে অনেক ভালো সব্জী কাটতে পারে। না চেখেও সে তরকারিতে ঠিকঠাক লবণ দেয়। রান্নার রঙ কেমন হয়েছে আমাকে বারবার জিজ্ঞেস করে।
এই তিনদিনে লাউ দিয়ে শোল মাছ, পুঁটি মাছ ভাজা, গরুর পায়া, মুরগির কোরমা এসব কঠিন রান্নাগুলোই সে করছে। সপ্তম দিনে আমি হঠাৎ সকালে বললাম ‘ আজ পিৎজা খেলে কেমন হয়? ‘ সে হেসে বললো খুব ভালো হয়।
আমারো কেন জানি আজ পিৎজা খেতে মন চাইছে। আচ্ছা আমি বিকেলে ফিরে আসি।
প্রায় সন্ধ্যা শেষ করে মানুষটা ঘরে ফিরলো। রাগে দুঃখে আমার চোখে পানি চলে এলো। তিনবার টোকা দেয়ার পরেও যখন দরজা খুললাম না। তখন দেখি সে ওপাশ থেকে বলছে ‘ আল্লাহ, মাফ করো। আল্লাহ মাফ করো কোন অঘটন যেন না হয়। ‘
আমি দ্রুত দরজা খুলে দিলাম। তার দুই হাত ভর্তি নানান পদের বাজার। এ আর নতুন কি!
সে প্রথমে গোসলে গেল। তারপর আমি ওভেনে খাবার গরম করলাম। সে উপদেশ দিতে থাকলো
আমি বাসায় না থাকলে তুমি, চুলা ধরাবে না। টুকটাক কিছু খাবার ওভেনে গরম করলেই চলবে।
আমি কিছু বললাম না। সে ডাইনিং টেবিলে মনোযোগ দিয়ে কি সব করছে। আমি রুমে এসে বই পড়া শুরু করলাম। মানিক বন্দোপধ্যায় এর ‘ অতসী মামি ‘ গল্পটা যতোবার পড়ি চোখে জল আসে। এমনও প্রেম হয়! তাও আবার স্বামী স্ত্রীর!
একটু পরেই সে ডাকতে লাগলো ‘ লামিয়া আসো দেখে যাও, কি বানিয়েছি। ‘ লোকটার কপালে ঘাম। আমি গিয়ে দেখি মস্ত এক পিৎজা। শুধুমাত্র শুনে বা ইউটিউব দেখেও যে এতো সুন্দর পিৎজা বানানো যায় প্রথম দেখলাম। কারণ আমি জানি জামালপুরে ভালো পিৎজার দোকান নেই। আমার বর সাহেব তাই আমাকে খুশি করতে সরাসরি পিৎজা বানিয়েই খাওয়াচ্ছেন। আমি পিৎজাটি সুন্দর করে কাটলাম।
আজ সন্ধ্যায় কিছু রান্না করা হয়নি। তাই পিৎজাই আমাদের রাতের খাবার। সে যখন তোয়ালে কাঁধে চাপিয়ে আমায় খেয়ে নিতে বলে আবারো গোসলে গেল। তখনই আমার একটু খটকা লাগলো। আমি শোবার ঘরে এসে দেখি সে শুয়ে আছে। মুখ টকটকে লাল।
অপরাধির মত আমায় বলল ‘ মনে কিছু নিও না। পিৎজা খুব ভালো খাবার, তুমি খাও। আমার শরীরটা একটু ম্যাজম্যাজ করছে। পরে উঠে ভাত রান্না করবো। লোকটার মায়ামাখা কথা শুনে বুকের কোথায় একটা ধাক্কা লাগলো।
আমি আস্তে উঠে রান্নাঘরে গেলাম। ঝকঝক করছে চারদিকে। সহজেই চালের কৌটা খুঁজে পেলাম। ফ্রিজ খুলে দেখি ছোট ছোট বক্সে হলুদ লবণ মাখানো ইলিশ মাছ পিস করে রাখা আছে। একটা বড় রুই মাছের মাথা কেটে ধুয়ে পরিস্কার করে রাখা আছে।
আমি ভাত রান্না করে কয়েক পিস ইলিশ মাছ ভেজে নিলাম। মুগডাল দিয়ে মাছের মাথার মুড়িঘণ্ট করলাম। একটা বেগুন পুড়িয়ে ভর্তা করলাম। ফ্রিজ থেকে শশা বের করে কুঁচিয়ে রাখলাম। সব টেবিলে দিয়ে তাকে ডাকতে গেলাম। দেখি মানুষটা জ্বরের ঘোরে শুধু কাঁপছে।
দ্রুত জ্বর মেপে আমার মাথায় হাত ১০২ :৫। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলাম। বালতি করে পানি না এনে বড় মগে করে পানি এনে রুমেই বালতি পুরো করলাম। তারপর পুরো শরীর স্পঞ্জ করে দিতে থাকলাম । সাথে প্রায় দুই ঘণ্টা অনবরত মাথায় পানি ঢাললাম। একসময় মনে হলো শরীর ঘাম দিচ্ছে। জ্বর মেপে দেখি ১০০:৫। সে এবার চোখ মেলল লজ্জিত স্বরে বলল ‘ তোমায় খুব খাটালাম। ‘
চুপ করে শুয়ে থাকো বলে আরেকবার গা মুছিয়ে দিলাম। লোকটা আশ্চর্যরকম ফর্সা। কি নিঁটোল পিঠ।
অদ্ভুত মায়া জাগানো হালকা লোমশ বুক। আমার খুব লজ্জা লাগছিল। আমি চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বললাম। একটু উঠে আসো। অল্প কিছু রান্না করেছি। আমি তো তোমার মতো পাকা রাঁধুনি না। একটু খেয়ে ওষুধ খাও।
সে অবাক চোখে আমার দিকে চেয়ে রইলো। তারপর আমার হাত ধরেই খাবার টেবিলে এলো। একটু অস্বস্তি লাগলেও আমি হাত সরিয়ে নিলাম না। টেবিলে এসে তার চোখ কপালে উঠলো ‘ বুনো তুমি রাঁধতে পারো? ‘
কার স্বামী ভালোবেসে তার স্ত্রীকে কি ডাকে আমি জানি না। উনি আমায় প্রথম থেকেই বুনোফুল বলে ডাকে। বুনোফুল নাকি উনার খুব প্রিয়। সে টেবিলে বসে খাচ্ছে। এই প্রথম আমি তাকে পরিবেশন করছি। উনি খুব মনোযোগ দিয়ে খাচ্ছেন। ইলিশ মাছ আর মুড়িঘণ্ট যেভাবে তৃপ্তি নিয়ে খেলেন। আমার মনটা ভরে গেলো। বেগুন ভর্তা মাঝে মাঝে নিচ্ছেন আচারের মতো। আমি অবাক হয়ে দেখছি। খুব আস্তে আস্তে তার চোখে পানি জমছে।
‘ বুঝলে বুনো, গত ২২ বছরে আমায় কেউ এতো যত্ন করে খাওয়ায়নি। আমি তোমায় রাঁধতে দেই না কেন জানো? আমি যখন খুব ছোট। তখন আমার মা রাঁধতে গিয়ে আগুনে পুড়ে মারা যান। আমি মানুষ হয়েছি দাদির কাছে উনার মৃত্যুর পরে বাবা বিয়ে করেন। আমি স্কুল থেকে বাসায় ফিরে ভাত চাওয়ার সাহস পেতাম না। রান্নাঘরে কোন শব্দ হয় কি না তার জন্য কান পেতে থাকতাম। দয়া করে কেউ খেতে দিলে খেতাম, নইলে না। আমি যখন ভার্সিটিতে পড়ি সকালে নাস্তার টাকা থাকতো না। বন্ধুরা সকালে নাস্তা করার সময় কেউ আমায় ডাকলে নাস্তা হতো নইলে না। টিউশনি করাতাম। তারা কিছু খেতে দিলে কি যে ভালো লাগতো। মানুষটা বলেই চলেছে।
আর আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। হঠাৎ আমার দিকে তাকিয়ে সে ভীষণ বিব্রত হলো।
নাহ, তুমিতো দেখছি খুবই নরম মনের মেয়ে। ইশ সব কথা একদিনে বলে তোমায় কি কষ্টই না দিলাম।
খাওয়া শেষে সে বাসনগুলো বেসিনে নিয়ে যাচ্ছিল। ‘ আমি হাত থেকে বাসন কেড়ে নিয়ে বললাম, ফের যদি রান্নাঘরে খাওয়া ব্যতিত ঘুরঘুর করতে দেখি। খবর আছে। দ্রুত বাসনগুলো পরিস্কার করে রুমে এলাম।
সে কাত হয়ে একটা চাদর জড়িয়ে শুয়ে আছে। আমি আস্তে তার চাদরের নিচে ঢুকে গেলাম। আলগোছে সে আমায় বুকের মাঝে জড়িয়ে নিলো। ‘ এই এই তুমিতো আমায় বুকের মাঝে পিষে ফেলছো। কে শোনে কার কথা!
এক সময় আমি শুয়ে আছি। সে আমার চুলগুলো হাতে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে রোল বানাচ্ছে।
আমি তার দিকে তাকাতেই সে মৃদু হাসলো। ‘ আমি তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম ‘ এই তুমিই না একদিন বলেছিলে ‘ যা কিছু সুন্দর সেটা দুটো হওয়া উচিৎ। যেন একটা শেষ হয়ে গেলেও আরেকটা থাকে। ‘
সে বিপুল উৎসাহে আমাকে বুকে টেনে নিতে নিতে বললো ‘ ভুল বলেছিলাম, যা কিছু সুন্দর তা অফুরান হওয়া উচিৎ। ‘
‘ভালোবেসে যদি সুখ নাহি , তবে কেন, তবে কেন মিছে এ ভালোবাসা।
,

image