একটা জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বিসিএস ক্যাডার ও ভার্সিটি।

আমাদের চিটাগং ভার্সিটি থেকে বিসিএস হইছে ৩৮+ জন।
ধরলাম ৫০ করে ৫ বছরে হইবে ২৫০ বা ৩ শ ক্যাডার।
আর আমাদের ভার্সিটিতে ছাত্র-ছাত্রী আছে ২৬ হাজার।

এখন প্রশ্ন এই ২৫+ হাজার বেকারের কি হবে।
এমন চিত্র প্রতিটি ভার্সিটিতে।

লঞ্চ ডুবে ৩০ জনের মৃত্যু যেমন একজনের জীবিত উদ্ধার নাটকে সমাপ্ত হয়েছে।
৩০ টা পরিবার যে পঙ্গু হয়ে গেছে, তার খবর রাখে কে।

তেমনি এই বিসিএস নামক অভিনন্দন এর বন্যায় লক্ষ লক্ষ বেকারের জীবন অনিশ্চিত হয়ে গেছে।
একটা জাতি এভাবেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে হতাশায় আর কর্মসংস্থানের অভাবে৷

আরে ভাই বিসিএস তো সরকারি দফতরের খালি পোস্ট পূরণ করে।
তাতে এতো উন্মাদনা দেখানোর কি আছে।
নতুন করে যদি ২/৩ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো তাহলে দেশ এগাতো।

জায়গায় জায়গায় ভার্সিটি করে একটি বেকার প্রজন্ম তৈরী করা হচ্ছে।
যুবকদের ঠেলে দেওয়া হচ্ছে একটি অনিশ্চিত জীবনের দিকে৷
কি নির্মম হতাশা গ্রাস করে তা বলা দুস্কর।

আমার বন্ধুরা যারা নবম /দশম শ্রেণী তে ঝড়ে গেছে । তারা আজ সাকসেস কিছু না কিছু একটা করে৷
আমি এখনো বেকারত্ব অভিশাপে পাথর।
পরিবারে নেই মূল্যায়ন।
কি লাভ এসব তথাকথিত ভার্সিটির পিছনে দৌড়ে।

আমার ইন্টারমিডিয়েট বন্ধু কাল আসলো।
সে এইচএসসি দিয়েই লেগে যায় ছোট খাটো কাজে। যা আজ বিশাল হয়ে দাড়ায়। আজ তার ইনকাম বিসিএস ক্যাডার এর চাইতে কম নয়। সাথে এক বাচ্চার জনক হয়ে গেছে।
মোটামুটি দ্রুত বিয়ে করায় ধর্ম পালনে এগিয়ে।

কিন্তু আমি তার সমবয়সী ছাত্র হয়ে অনিশ্চিত জীবনের দিকে। এটা আমার লোভের ফল৷ বড় বড় ক্যাডার মানেই যে জীবন নয় তা হারে হারে টের পাচ্ছি।

সমাজের সুশিল আর আধুনিক মনস্কাদের দেখানো পথে হেটে আজ এই দশা। তাদের কাছে ২৬ লক্ষ বেকারের আর্তনাদের চাইতে ২/৩ হাজার ক্যাডারের জীবন হলো মোটিভেশনাল।
আর এই স্রোতেই অজান্তে আমরা অভিনন্দন এর বন্যা বসিয়ে দিচ্ছি।
আর অন্যদিকে লক্ষ লক্ষ বেকার তৈরী করে যে বিবাহ থেকে দূরে রেখে অবাধ যৌনতা আর সমকামী গ্রাউন্ড তৈরী করা হচ্ছে তা কি কেউ জানে।
সবাই তো জানে গুটিকয়েক ক্যাডারের জীবনগাথা।
আর ১০ লক্ষ ভারতীয় এদেশে জব করুক তাতে কি। আমার আশে পাশে কয়জন ক্যাডার হইছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এ জাতি৷
এভাবেই লঞ্চে ডুবা মানুষ গুলা হারিয়ে যায় নানা নাটকের সিরিয়ালে।
এ যেন লক্ষ লক্ষ বেকারের উপরে অঙ্কুরিত হলো গুটিকয়েক ক্যাডার ।
(কপি)