গল্প :- "হেডমাষ্টারের princes"
. লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব :- ০৫ ~~~
.
.
মেয়ে: এই এইদিকে আয় |
তখন একটু না দেখার বান করে চলে যাচ্ছি পরে আবার ডাকদিলো এইবার ডাক দিলো না ইয়া বড় একট ইট মারলো কোনো রকম বেচে গেলাম আর না হলে তো মাথা টা ফেটে যেতো পরে আমি তার কাছে গিয়ে বল্লাম----->
আমি: কি তোমার সমস্যাটা কি এখনি তো মাথাটা ফেটে যেতো?
মেয়ে: প্রথমে তোকে ডাক দিছি না শুনিস নি কেন ?
আমি: কই কখন ডাক দিলা ?
যেই বল্লাম তখন শক্ত করে কানটা দরলো আর বল্লো---->
মেয়ে: তোর কানে সমস্যা আছে বুঝেছি |
আমি: এই ছারো ব্যাথা লাগছে |
মেয়ে: আগে বল আমাকে ফেসবুকে একসেপ্ট করিস নি কেন?
আমি: আরে আগে কান টা ছারো তারপর বলতেছি |
মেয়ে: ছারলাম এখন বল |
আমি: আসলে আমি তো ফেসবুকেই ডুকি না |
মেয়ে: কেনো কি হইছে ?
আমি: ডুকবো কার জন্য আমার কি কেও আছে ফেসবুকে তাছারা একটা জি এফ ও নাই তাই ভালো লাগে না |
মেয়ে: ওরে বাবা জি এফ নেই বলে কি চালানো যাবে না যাইহোক আজ কলেজ ছুটি হলে বাসায় গিয়ে আমাকে একসেপ্ট করবি |
আমি: আমার বয়েই গেছে তোমার জন্য আমি ফেসবুক চালাবো|
মেয়ে: কি বল্লি ?
আমি: এইরে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে দূর তোমার জন্য দেরি হয়ে গেছে|
অতঃপর ক্লাসে চলে গেলাম দেখি স্যার ক্লাস করাচ্ছে অতঃপর বল্লাম---->
আমি: স্যার আসতে পারি ?
স্যার: বাসায় কি বউ বাচ্চা রেখে আসছো নাকি?
আমি: কি বলেন স্যার আমি তো বিয়েই করি নি |
স্যার: বেয়াদব ছেলে তাহলে প্রতিদিন দেরি হয় কেনো হুম ?
আমি: সরি স্যার আর হবে না |
স্যার: আসো |
অতঃপর ক্লাস করলাম দূর আজ গুন্ডি মেয়েটার জন্য দেরি হলো একটু পর দেখি পিয়ন এসে বলছে---->
পিয়ন: এখানে জাহিদ কে ?
তখন আমি বল্লাম----> জী আমি |
পিয়ন: তোমাকে প্রিন্সিপাল স্যার ডাকছে |
আমি তো অবাক হলাম হঠাৎ আমাকে ডাক দিবে পরে গেলাম প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে পরে বল্লাম--->
আমি: স্যার আসতে পারি ?
স্যার: আসো |
আমি: স্যার আপনি নাকি আমাকে ডেকেছেন ?
স্যার: তাহলে তুমি জাহিদ ?
আমি: জী স্যার ?
স্যার: এই তোমার তো সাহস কম নয় তুমি নাকি আমার মেয়েকে ফেসবুকে ডিস্টাব করো ?
আমি তো পুরাই থ যাকে এখনো একসেপ্ট করলাম না তাকে নাকি আমি ডিস্টাব করি বুঝেছি ঐ গুন্ডি মেয়েকে একসেপ্ট করি নি দেখে মিথ্যা বলছে পরে আমি বল্লাম----->
আমি: স্যার আপনার মেয়ে আছে ?
স্যার: এই বেয়াদব ছেলে আমার সাথে ফাইজলামি করো একে বারে বের করে দিবো কলেজ থেকে |
আমি: সরি স্যার |
স্যার: যাও ক্লাসে আর জানো কখনো না দেখি এরকম |
আমি: ওকে স্যার |
দূর আজ যে কার মুখ দেখলাম কলেজে এসেও শান্তি নেই এদিকে গুন্ডি মেয়ে আর প্রিন্সিপাল স্যার দূর আর ভালো লাগে না |
অতঃপর টিফিন দিলো ক্যান্টিনে যাবো তখন দেখি ওরনি আপু বসে আছে আর তার লেডি গেং পরে আমি বল্লাম---->
আমি: এটা কিন্তু ঠিক হলো না |
মেয়ে: কেনো কি করলাম ?
আমি: তুমি তোমার আব্বুকে বলছো আমি নাকি তোমাকে ডিস্টাব করি ?
মেয়ে: তাহলে তখন বল্লি কেনো যে একসেপ্ট করবি না ?
আমি: তাই বলে এরকম বড় মিথ্যা ?
মেয়ে: আহারে আব্বু কি বেশি বকা দিছে ?
আমি: কথা বলবা না যাও |
মেয়ে: যাই গিয়ে আবার বলি যে আমাকে কথা বলতে হুমকি দিছে?
আমি: এই না প্লিজ তুমি এরকম কেনো কিছু করলাম না তাও অপরাধ ?
মেয়ে: হাহাহা আমি এরকমি |
আমি: বাবটা যেমন মেয়ে টাও তেমন |
মেয়ে: এই কি বল্লি আমার বাবা কেমন ?
আমি: না না খুব সুন্দর তোমার আব্বু যে কেও ক্রাশ খাবে |
মেয়ে: হারামজাদা আমার আব্বুকে নিয়ে ফাইজলামি খারা |
অতঃপর সে একটা এক লিটার কোকাকোলা কিনে আমার শরির টাকে বিজিয়ে দিছে তখন আমি বল্লাম---->
আমি: হায়রে আজ এখানেই গসল হয়ে গেছে |
মেয়ে: আমার রাগের বেপারে জানস না|
আমি: আহারে খুব মজা লাগতেছে|
মেয়ে: কেনো তোর গায়ে আরো কোকাকোলা এক লিটার ঢেলে দিলাম তাহলে মজা আসলে কথা থেকে ?
আমি: আসলে তুমি চিন্তা করো এখন আমি আর তুমি যদি গসল খানায় থাকতাম আর তুমি আমাকে কোকাকোলা ঢেলে দিচ্ছ আহারে কি মজাই হতো থাক বাকিটা বল্লাম না লজ্জা করতেছে|
মেয়ে: জাহিদের বাচ্চা ঐ তোরা ওরে ধর |
চাচা আপন প্রান বাচা দিলাম দৌর উফফ বেচে গেলাম যে মেয়েরা বাবা বাপের জন্মে ও দেখি নি ও থুক্কু আমি তো আমার আব্বুর পরে হইছি |
অতঃপর সেদিন কলেজ করে বাসায় গেলাম খাওয়া দাওয়া করে একটু ফেসবুকে ডুকলাম কারন ঐ গুন্ডি মেয়ের জন্য অতঃপর তাকে একসেপ্ট করলাম তার কিছু ক্ষন পরই দেখি আমাকে মেসেজ দিলো---->
মেয়ে: আচ্ছা সাদা কাপরের দাম কত জানিস ?
আমি: আহারে শেষ পর্যন্ত তুমি বিদবা হইয়া গেলা এই আচ্ছা তোমার স্বামীর ৪০শা কবে অনেক দিন ধরে খাই না |
মেয়ে: হারামজাদা কালকে তোকে মাডার করবো তাই আগে থেকে সাদা কাপরের দাম জিগ্গাসা করলাম |
আমি: ওহ আচ্ছা.... এই কি বল্লা তুমি মাডার করবা তাও আমাকে প্লিজ এরকম করো কেনো আমি তো নিষ্পাপ প্লিজ আমাকে ছেরে দাও আমি বিয়ে করে মরতে চাই |
মেয়ে: হাহাহা শখ কত |
আমি: প্লিজ আমাকে মাইরো না তুমি যা বলবা তাই করবো |
মেয়ে: সত্যি বলসিস ?
আমি: চৌদ্দ সত্যি |
মেয়ে: চৌদ্দ সত্যি কেনো বল্লি?
আমি: সবাই তো বলে চৌদ্দ গুষ্টি আমি বলি চৌদ্দ সত্যি |
মেয়ে: হাহাহা আচ্ছা একটা গান শুনা |
আমি: কিভাবে শুনাবো তুমি তো অনলাইনে তা ছারা আমি গান টান পারি না |
মেয়ে: কেনো লিখে শুনাবি আর না পারলে ও বলতে হবে তুই বলসিস আমার কথা শুনবি ?
আমি: আচ্ছা বলছি |
মেয়ে: হুম বল |
আমি: তুমি দিও নাগো বাসর ঘরের বাত্তি লিবাইয়া আমি অন্ধ ঘরে বদ্ধ হয়ে যাবো মরিয়া |
মেয়ে: হারামজাদা আর কোনো গান পাশ নাই ?
আমি: কেনো খারাপ হইছে আচ্ছা আর একটা বলছি |
মেয়ে: হুম বল |
আমি: তুমি মোর জীবনের ভাবনা হৃদয়ের শুখের দোলা তোমাকে আমি ভুলতে পারি....... [বাকিটা আর পারি না]
মেয়ে: কেও আমাকে মেরে ফেল তুই কি এগুলো গান শুনিস ?
আমি: কেনো এগুলো তো খুব ভালো গান আচ্ছা রোমান্টিক গান বলবো ?
মেয়ে: দেখি বল |
আমি: ঐ জাকা নাকা জাকা নাকা দেহো দলা না মন বলে মন বলে দেহো দিবা না |
মেয়ে: হাহাহা এই তোর আর গান বলা লাগবে না গিয়া বিষ খা তাও দেখ শান্তি পাবি|
আমি: তাই খাওয়া লাগবে যে পরিমানে র্নিযাতন হচ্ছি মনে হয় আর বেশি দিন বাচবো না |
মেয়ে: হাহাহা তোকে আবার কে র্নিযাতন করছে ?
আমি: তুমি ছারা আর কে করবে ?
মেয়ে: কি বল্লি তুই ??কালকেই তুই শেষ ||
আমি: প্লিজ ছেরে দাও আমি তো মজা করলাম |
মেয়ে: হাহাহা তুই এত ভিতু কেনো ?
আমি: গরিব মানুষ তো তাই |
মেয়ে: হইছে আর ডায়লগ দিতে হবে না |
অতঃপর এরকম কথা চলতো আর সে শুধু খালি আমাকে ভয় দেখাতো দূর কেনো যে এই গুন্ডি মেয়েটা আমার কপালে আসলো জীবনটা তেজ পাতা তো আজ কলেজে গেলাম দেখি বসে আছে পরে আমাকে ডাক দিলো-----