গল্প :-অবৈধ ~~~~♥
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব :-০৬ ~~~~
.
.
পুলিশ: আচ্ছা আপনি কি ওই লোকগুলোকে চিনেন??
আয়াত: একজনকে চিনি।
পুলিশ: কে???
আয়াত: তনয়াকে কিছু ছেলে বিরক্ত করতো বলে
যেসব ছেলেদের আমি পুলিশে দিয়েছিলাম তাদের লিডার।
তনয়া:কে সাদাফ???
আয়াত: হুম। কিন্তু ও নিজেও এসব করতো না। ওদেরকে কেউ ফেনে এসব করতে বলতো।
পুলিশ: আপনি কি জানেন সে কে??
আয়াত: কিছুটা চুপ থেকে না।
পুলিশ আয়াতের কাছ থেকে আরো কিছু জিজ্ঞেস করে চলে গেলো।
রাফি: দেখুন আয়াতের এখন বিশ্রাম করা দরকার। আপনারা যেকোনো একজন এখানে থাকুন। বাকি সবাই বাইরে চলে যান।
অনু: তনয়া থাকুক।
তনয়ার দিকে তাকিয়ে দুষ্টুমি একটা হাসি দিয়ে অনু চলে গেলো।
সবাই চলে যাওয়ার পর তনয়া আয়াতের পাশে থেকে উঠে যেতে চাইলে আয়াত তনয়ার হাত ধরে ফেলে।
এতোদিন পর দুইজনের দেখা হলো। মনের ভিতর জমে আছে হাজারো কথা। কিন্তু কারো মুখে কোনো কথা নেই। কথাগুলো যেনো কোথাও হারিয়ে গেছে??? এতোদিনের দুরুত্ব দুইজনের মনের মাঝে দুরুত্ব তৈরী করতে না পারলেও দুইজনের কথার মাঝে একটা জিনিস কিন্তু দাড় করিয়ে দিয়েছে। দাড় করিয়ে দিয়েছে হাজারো দ্বিধা। লজ্জা,,ভয় আর ভালোবাসার শিহরন মিলে একাকার।
আয়াত: তনয়া,,,,একটা কথা বলবো???
তনয়া: হ্যা বলো।
আয়াত: Can i touch your womb??
তনয়া মৃদু হাসি দিয়ে আয়াতের হাতটা ধরে নিজের পেটের উপর রাখলো।
আয়াত: জানো তনয়া আমি ভেবেছিলাম লোকের কথায় তুমি হয়তো ওকে পৃথিবীতে আসতে দিবে না। তখন আমি নিজেও চাইতাম যে তুমি আমাকে ভুলে সামনের দিকে আগাও। কারণ আমি যে বেচে ফিরবো তার আশা ছিলো না আমার।
আর তাছাড়া যখন একটা মেয়ে বিয়ের আগে প্রেগন্যান্ট হয় তখন আমাদের সমাজ তার কি অবস্থা করে তা ভেবেই কষ্ট হচ্ছিলো। আর আমাদের বিয়ের কথাতো কেউ জানতই না।
আই এ্যাম সরি,,,,
তনয়া :আয়াতের হাতটা ধরে,, প্লীজ আয়াত এভাবে বলো না। তুমি কি করে ভাবলা আমি আমার আয়াতের ভালোবাসাটাকে মেরে ফেলবো??? আমার মনে দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো তুমি কখনো আমাকে ধোকা দিতে পারো না। আজ সারা পৃথিবীর লোক ওকে অবৈধ ভাবলেও আমি জানি তুমি জানো ও আমাদের ভালোবাসার পবিএ চিহু।
সরি বলে তুমি আমাকে আর দোষী করো না। এই সাত মাস তুমি যে কষ্ট পেয়েছে তার তুলনায় আমার কষ্ট নগন্য।
আয়াত: হ্যা তুমি ঠিক বলেছো ও আমাদের ভালোবাসার পবিএ চিহৃ। কষ্ট আমরা দুজনেই সমান পেয়েছি কারণ আমাদের শরীর দুটো হলেও
আত্নাতো একটাই। তাই না বিউটিফুল??
তনয়া: (চোখ বন্ধ করে) কতোদিন পর তোমার মুখ থেকে এই ডাকটা শুনলাম।
আয়াত: জানো তনয়া খুব ইচ্ছে ছিলো আমাদের বেবি তোমার ভিতরে কিভাবে বেড়ে উঠে তা তোমার পাশে থেকে অনুভব করবো। অনুভব করবো ওর একটু একটু করে বেড়ে উঠা।
কিন্তু নিয়তির সাথে কে বা পেরে উঠে বলো??? যে সময় আমার তোমার কাছে থাকা সবচেয়ে বেশি দরকার ছিলো সেই সময়টাই........
তনয়া: যা হয়েছে তা ভুলে যাও।
আয়াত আবার তনয়ার পেটে হাত রেখে বলল,,,
কতোদিন টরে আসবে প্রিন্সেস???
তনয়া: এক মাস নেই।
আয়াত: ওয়েটিং ফর ইউ বেবি।
তনয়া: আয়াত???
আয়াত: হুম।
তনয়া: একটা কথা বলবো?? সঠিক উওর দিবা।
আয়াত: তোমার সাথে কখনো মিথ্যা বলেছি???
তনয়া: আয়াত কে তোমাকে এতোদিন আটকে রেখেছিলো?? এমন কে যে তোমাকে এতোটা ঘৃণা করে??? যে তোমাকে সাত মাস এভাবে আটকে রেখেছে??
আয়াত: (কিছুটা তুতলিয়ে) আমি তো বললাম যে জানি না।
তনয়া: আয়াত তোমার মুখ আমার থেকে কথা লুকালেও তোমার চোখদুটো তা পারবে না।
আয়াত চুপ করে আছে,,,,,
তনয়া আয়াতের হাতটা নিজের পেটের উপর চেপে ধরে বলল,,,,,
এখন বলো তুমি তাদের কে চিনো না???
আয়াত: হাতটা সরিয়ে নিয়ে,,,
তাদের উদ্দেশ্য আমাকে না তোমাকে কষ্ট দেওয়া ছিলো। আর তারা তাতে সফল হয়েছে।
তনয়া: কে?? কলেজের ছেলেগুলো???
আয়াত: নাহ বাইরের কেউ নয়। আমাদের ঘরেরও কেউ নয়। তোমার খুব কাছের সে।
তনয়া :কে সে???
আয়াত: --------?????
.
.
♥------To be Continue-----♥