গল্প :-
--------""অহংকারী মেয়ে""♥
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
★---------পর্ব :- ০৫~~~~
.
.
মিস শান্ত ওপপপস স্যরি মি.শান্ত আমাদের বাড়ির বিশ্বস্ত চাকর।সে ১২ বছরের উপরে হয় আমাদের বাড়িতে চাকরের মতো কাজ করে যাচ্ছে।(এনি)
-এই এই ওয়েট ওয়েট তুই আমার বয় ফ্রেন্ডকে এমন সবার সামনে ছোট করছিস কেনো?(জুই)
-ওরে ছোট করার কি আছে? ও যেমন ঠিক তেমন ই বললাম
-তোর কি যোগ্যতা আছে যে তুই শান্তর বদনাম গাচ্ছিস?
-এটা ওরে বল
-শান্ত এই ভার্সিটির সবচেয়ে ভালো স্টুডেন্ট, সবচেয়ে ভদ্র ছেলে,ওরে নিয়া অনেকে স্বপ্ন দেখে।
-হি হি হি স্বপ্ন দেখে?
-হ্যা
-কই আমি তো দেখি না
-তুই কাকে নিয়া স্বপ্ন দেখবি? তোর এসব আবেগ ভালোবাসা নাই,আমার ভাবতেও কেমন জানি লাগে যে তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।
-জুই শুধু শুধু একটা ছেলের জন্য বাজে বকিস না
-বাজে কি বলছি? তোর মনে কখনো এসব আসছে? প্রত্যেকটা মেয়ের ইচ্ছা থাকে তার স্বামি যেনো তাকে অনেক বেশি ভালোবাসে।আমার শান্ত কে আগেও ভালো লাগতো আর এখন তো বয়ফ্রেন্ড কয়দিন পরে স্বামী হবে। আমার মনে হয় তোর লাইফে এখনো টাকা ওয়ালা ছেলে আসে নাই।এমন ছেলে আসলে যেইভাবে হউক নিজের করে নিস বলে শান্তর হাত ধরে অন্য কোনো জায়গায় যায়।
-ওরে এভাবে বলা ঠিক হয় নাই(শান্ত)
-তো কিভাবে বলবো?
-ও মনে হয় অনেক রাগ করছে
-করলে করবে, কত্তো বড় সাহস আমার শান্তকে ছোট করতে আসছে বলে জুই শান্তর কাধে মাথা রেখে নিশ্বাস ফেলে।
শান্ত তখন মাথায় হাত রেখে কপালে একটা চুমু খেয়ে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে।
এনি বাসায় গিয়ে জুই এর কথাগুলো ভাবছে।
আসলেই তো আমি কখনো প্রেমে পরিনি। আমি এমন কেনো? কত ছেলেই তো প্রপোজ করছে কিন্তু কারোর প্রেমে সারা দেয় নাই।
শান্তরে দেখতে তো ভালোই লাগে কিন্তু আমি কেনো ওর সাথে এমন করি?
আর জুই আমাকে এমন ভাবলো?
ভাবলে ভাবুক, আমিও দেখবো তাদের প্রেম কতটুকু যায়।শান্ত তখন বাসায় আসে।
আজকে এনির সামনে পরার পরেও কোনো কিছু বলে নাই।এই প্রথম এনি তাকে সামনে পেয়েও কিছু না বলে ছেড়ে দিলো।শান্ত রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে জুই এর সাথে কথা বলা শুরু করে।
পরেরদিন এনি ভার্সিটিতে গিয়ে দেখে শান্ত আর জুই একসাথে বসে আছে আর হাসাহাসি করছে।জুই এনিকে দেখে শান্তকে হালকা করে কিছ করে।
-এই সবার সামনে এসব কি করছো(শান্ত)
-তো কি হয়ছে? বলে শান্তর ঠোটে আরেকটা দেয়।
এনি এসব দেখে রাগি মুখে সামনে থেকে চলে যায়।ক্লাস শেষে শান্ত আর জুই একসাথে হাত ধরে হেটে হেটে বাহিরের দিকে যাচ্ছে আর এনি তাদের দিকে চেয়ে আছে আর ভাবছে জুই কতো চেইন্জ হয়ে গেছে। এতদিনের বন্ধুত্ব শেষ করে দিয়ে ও একটা ছেলের হাত ধরে হাটছে। এসব ভাবতে এনি বাসায় যায়।
শান্ত বাসায় যাওয়ার পরে এনির বাবা তাকে খোজ করে তখন সে এনির বাবার সামনে যায়।
-আংকেল কিছু বলবেন?
-আজকে আমরা সবাই একটা অনুষ্টানে যাবো সাথে তুমিও যাবে
-আংকেল না গেলে হয় না?
-আমাদের সাথে যেতে পারলে ভালো হতো
-ওকে
সন্ধ্যার দিকে গাড়ি নিয়ে বের হয়।এনির সামনের সিটে আর এনির মা-বাবা পিছনে বসে আছে।
এনির বাবার বন্ধুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যায়। আজ নাকি তাদের ওখানে কিসের অনুষ্টান যেনো আছে তাই এখানে সবার আসা।
গাড়ি পার্কিং করে বাসায় আসার পরে এনির বাবার বন্ধুর ছোট মেয়ে এনির কাছে আসে
-আপু কেমন আছো?(নিশি,পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে)
-হুম ভালো, তুমি কেমন আছো?(এনি)
-হুম ভালো,আপু এই ছোলেটা কে?
-এমনি কেউ না
-বুঝছি
-কি বুঝছো?
-এটা কি তোমার বয় ফ্রেন্ড? তোমার সাথে অনেক ভালো মানাবে বলে হাসি মারে
-এই কি বলছো এসব?
-তোমার বর নাকি?
-নিশিইইই চুপ করো
-আচ্ছা বলে চলে যায়।
নিশি যাওয়ার পরে এনি শান্তর দিকে খেয়াল করে দেখে শান্ত নিচের দিকে চেয়ে চেয়ে মোবাইল টিপছে আর নিজে নিজে হাসতাছে ।এনি তখন ভাবে হয়তো জুই এর সাথে চ্যাটিং করতাছে।
এভাবে অনুষ্টান শেষ হওয়ার পরে সবাই আবার গাড়ি করে বাসায় চলে আসে।
দুইদিন পরে ভার্সিটিতে গিয়ে দেখে শান্ত আর জুই হাত ধরে ধরে কথা বলছে আর হাসাহাসি করতাছে এনি তখন তাদের চোখে ধরা না দিয়ে বাসায় চলে আসে।
এনি তার মা-বাবাকে সামনে রেখে......
-বাবা
-কি হয়ছে বল
-তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো
-কি বলবি বল
-কথাটা একটু ডিফারেন্ট
-আরে বল
-আমি শান্তকে বিয়ে করবো
-কিহহহহ(এনির বাবা অবাক হয়ে)
-হ্যা বাবা
-কিন্তু তুইতো ওরে একদম সহ্য করতে পারিস না,সারাক্ষণ ঝগড়া লেগে থাকিস, হঠাৎ এমন পরিবর্তন হলি কিভাবে?
-বাবা আমি এসব কিছু জানিনা, তারাতারি বিয়ের ব্যাবস্থা করো
-সামনে তোদের পরীক্ষা
-পরীক্ষা আরো ৫ মাস আছে
-তোর কি হয়ছে বল তো
- কিছু না, শান্ত তো তোমাদের পছন্দের ছেলেই, শান্তর সাথে বিয়ে দিতে কোনো আপত্তি আছে নাকি?
-নাহ
-তাহলে তারাতারি শান্তকে বলে বিয়ের ব্যাবস্থা করো বলে এনি রুমে চলে যায়।
এনির বাবা শান্তকে ডেকে এসব বলার পরে..........
.
.এনির বাবা শান্তকে ডেকে.....
-বাবা একটা কথা ছিলো (এনির বাবা)
-জি আংকেল বলেন
-কথা টা কিন্তু পার্সোনাল
-আগে বলুন
-আমাদের এনি তোমাকে বিয়ে করতে চায়
-কিহহহ
-হ্যা
-আংকেল আমি পারবো না
-কেনো বাবা
-কিছু সমস্যা আছে,আর আমি এখন বিয়ের জন্য প্রস্তুত নয়
-কি হয়ছে? আর কি সমস্যা?
-আংকেল আমি একটু রুমে যায় প্লিজ,বলে শান্ত রুমে আসার সাথে সাথে জুইকে ফোন দিয়ে সব কিছু বলে।
-এই শান্ত এসব কি বলছো?(জুই)
-হ্যা
-না না না এটা হতে পারে না,আমি তোমাকে সত্যিকারের ভালোবাসি
-আমিও রে জুই, আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না বলে কান্না করে দেয়।
-জুই ও কান্নায় ভেঙ্গে পরে।
-এই কান্না করছো কার সাথে(এনি)
-তুমি?
-ওহহহ ডিস্টার্ব করলাম নাকি?
-মানে?
-জুই এর সাথে আর কথা বলবানা
-আমি জুইকে ভালোবাসি
-ঐ চুপ,এই মুখে জুইয়ের নাম নিবি তাহলে খুব খারাপ হবে বলে দিলাম।
-এনি আমি এটা বিশ্বাস করি যে তোমাদের ফেমিলির জন্য আমি পড়ালেখা করতে পারছি,এতে আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
প্লিজ এনি আমার সাথে এসব টা কইরো না, আমি জুইকে বড্ড বেশি ভালোবাসি , আমি জুইকে ছাড়া বাচতে পারবো না
-নাটক বন্ধ কর
শান্ত তখম এনির পায়ে ধরে ফেলে,
-এই এই কি করছিস?
-প্লিজ আমাকে জুইয়ের কাছ থেকে আলাদা কইরো না। জুই আমার সব
-এখন কি তোর সিনেমা বন্ধ করবি নাকি অন্যকিছু করবো?
-অন্য যা কিছু করো কিন্তু জুইয়ের কাছ থেকে আমাকে সরিয়ে নিও না
-চুপ ছোট লোকের বাচ্চা বলে এনি চলে যায়।শান্ত তখন কান্না করতে থাকে।
-এনি(এনির বাবা)
-হ্যা বাবা বলো(এনি)
-বিয়েতে মনে হয় শান্ত রাজি না
-কেনো?
-জানিনা
-বাবা আমি এসব কিছু জানিনা, আগামী দুই দিনের মধ্যে ওর সাথে বিয়ে হতে হবে
-ও তো রাজি না,তাহলে কি করবো?
-দরকার হলে জোর করো
-সবকিছু জোর করে হয় না
-আপোষে কেউ না দিলে জোর করে আদায় করে নিতে হয় আর যদি না পারো তাহলে তুমি তোমার একমাত্র মেয়েকে হারাবা
-এসব বাজে বকছিস কেনো?
-বাজে বকছি না, সত্যি সত্যি খারাপ কিছু করে ফেলবো।
-তুই রুমে যা আমি দেখতাছি।
বলে এনির বাবা শান্তর রুমে প্রবেশ করে।
-বাবা আমি একটা কথা বলি?
-জি আংকেল বলেন
-আমাকে কি তোমার বাবার মতো মনে হয় না?
-হ্যা
-যদি বাবা ভাবো তাহলে এই অনুরোধটা রাখো প্লিজ
-আরে আংকেল এসব কি করছেন,আপনি রুমে যান, যা ভালো হয় তা করেন
-এনির বাবা তখন খুশি মনে রুম ত্যাগ করে।
শান্ত তখন জুইকে ফোন করে বলে তার সাথে দেখা করতে।
দুজনে দেখা করার পরে দুজন দুজনের চোখে চোখ রেখে কান্না করে দেয়।
জুই তখন শান্তকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না করে দেয়।
শান্ত ও নিশ্চুপ থেকে কান্না করে দেয়।
-শান্ত আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না (জুই)
-জুই আমি ও, তোমাকে ছাড়া থাকা কোনো ভাবেই সম্ভব না
-এটা কি ফিরানো যায় না?(জুই)
-যে আমাকে ১২ বছর হয় লালন পালন করতাছে তার বিপরীতে একটা কথা বলবো কি জ্ঞান নিয়ে?
-তাহলে কি আমাদের মিলন হবে না?
-আমি তোমাকে বিয়ে করবোই
-শান্ত আমি তোমাকে ছাড়া একটা মুহূর্ত ও ভাবতে পারিনা
- আর ভাবতে হবে না (পিছন থেকে এনি)
-জুই তখন দৌড়ে উঠে এনিকে জড়িয়ে ধরে বলে, এনি বইন আমার আমাদের সাথে এসব করিস না
-আমাদের বিয়েতে আসিস
-এনি সেই ক্লাস ওয়ান থেকে আমি তোর বেস্টফ্রেন্ড , তুই আমার সাথে এসব করতে পারবি?
-স্বামীর ভাগ আপন বোনকেও কেউ দেয় না আর সেই জায়গায় তো তুই বান্ধবী
-প্লিজ এনি, আমি শান্তকে ছাড়া বাচতে পারবো না।
এনি তখন শান্তর হাত ধরে টেনে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়।
-এনি প্লিজ আমাদের সাথে এই কাজটা কইরো না (শান্ত)
-এখন কি আপনাআপনি চুপ করবি নাকি খারাপ কিছু করতে হবে?
-শান্ত তখন চুপচাপ চোখের পানি ছেড়ে দেয়।
দুইদিন পরে এনি আর শান্ত এর বিয়ে হয়ে যায়।
আজকে দুজনের বাসর রাত,শান্ত ছাদের উপরে গিয়ে জুইকে একটা মেসেজ দেয়।
জুই আমি তোমাকে ভালোবাসি,আমার সবকিছু তোমার, আমাকে এনি কখনোই মন থেকে পাবে না, আমাকে বিশ্বাস করো আগামী ৬ মাসের মধ্যে আমি তোমাকে বিয়ে করবো , প্লিজ বিলিভ মি।
এটা লিখে মেসেজ সেন্ড করে দেয়।
-এখানে কি করছো?(এনি)
-এমনি তে বসে আছি(শান্ত)
-রুমে আসো
-কেনো?
-আসো বলছি
-শান্ত তখন এনির পিছনে পিছনে রুমে যায়।
শান্ত রুমে প্রবেশ করার পরে এনি দরজা লাগিয়ে শান্তর দিকে এগুচ্ছে আর শাড়ির কুচি গুলো এক এক করে খুলছে, এনি যখন শান্তর খুব কাছে চলে আসে শান্ত তখন এনিকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ফ্লোরে.........
.
.
♥----"To be Continue"---♥