গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ১৩ ~~২~ ♥
বাসায় আমি আর আপু। সজিবকে
ফোন দিয়ে বলেছি মা - বাবা আজ
আসবেনা। তুমি প্রাইভেট পড়াতে এসো না।
....
কিন্তু প্রায় সন্ধ্যা লেগে গিয়েছে। আমি
আর আপু তখন বসে " তামিলের রামচরণ "
মুভিটা দেখতে ছিলাম। হঠাৎ দরজা নর্ক
করার আওয়াজ। দরজা খুলতই বেশ হবাক
হলাম। কারণ দরজার বাহিরে সজিব
দাঁড়িয়ে আছে,হাতে বিয়িরানির প্যাকেট
আর একহাতে সেভেন আপের বোতল।
.
সজিব ঘরে আসতেই আপু বললো " আপনার
আবার এসব নিয়ে আসতে কে বললো?"
.
নাহ্ আঙ্কেল - আন্টি নাকি নানী বাড়ি
গেছে। তাই ভাবলাম যদি খাবার রান্না
করে না রেখে যায়!
.
সজিবের কথা শুনে আপু মুঁচকি হাসলো।
প্লেটে বিয়িরানি বেড়ে আপু খেতে বসতে
বললো। আমাদের সাথে আপুও বসলো।
খাওয়া- দাওয়া শেষ হতেই সেভেন আপ
গ্লাস এ ঢেলেই আপুকে বললো সজিব" কথা
আমি একটা ভুল করে ফেলেছি, বাহিরে
বাইকের সাথে চাবিটা রেখে
এসেছি,নিয়ে আসবে"।
.
আপু মুঁচকি হেসে চাবি নিয়ে আসতে
গেলো।এ সুযোগে সজিব আপুর গ্লাসে
কিসের যেন গুড়া মিশিয়ে দেয়। এদিকে
খাওয়া শেষ করে আপু আমি আর সজিব
মুভিটার শেষ দৃশ্য দেখছি। তখন সজিব বলে
ওঠলো" তোমরা তাহলে থাকে, আমি আজ
আসি"।
.
আচ্ছা যাবেই তো, তবে সিনেমাটা শেষ
করে যাও।( আপু)
.
এদিকে বসে সিনেমা দেখছি হঠাৎ আপুর
দিকে তাঁকাতেই দেখি আপু ঘুমিয়ে
গিয়েছে। আমি অনেকটা অবাক হলাম,কারণ
রাত ৮ টা বাজে এখনই আপু ঘুমিয়ে গেল।
আপু তো রাত ১২ টার আগে কখনো ঘুমায় না।
.
পাশে বসে সজিব মুঁচকি মুঁচকি হাসছে। এই
তুমি হাসো কেন?
.
কথা ঘুমিয়ে গিয়েছে, এই জন্য তুমি মনে
মনে কি যেন ভাবছো। তাই তোমার দিকে
চেয়ে হাসছি। আচ্ছা কথাকে নিয়ে শুইয়ে
দাও। এদিকে আপুকে নিয়ে আপুর বেডে
শুইয়ে দিয়ে বের হতেই দেখি সজিব আমার
দিকে কেমন যেন, কামুক দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে
আছে।
.
এভাবে তাঁকিয়ে আছো কেন?
.
আমার সোনা- ময়নাটাকে দেখি।
.
"তাই বুঝি"কথাটা বলতেই দেখি বাহিরের
বৃষ্টি পড়ছে। হঠাৎ জোরে বজ্র পড়ার শব্দে
আমি ভয়ে সজিবের বুকে লেপ্টে পড়ি।
সজিব আমাকে কুলে তুলে নেয়। আস্তে
আস্তে আমার রুমে নিয়ে এসে দরজাটা লক
করে দেয়।
.
এই তুমি কি করছো! আমি জানতে পেলে
কেলেঙ্কংকারি হয়ে যাবে।
.
হা,হা,হা' তিনটা স্লিপিং পিল এর
এ্যাকশন ৯ ঘন্টার বেশি থাকবে চিন্তা
করোনা। কথার সেভেন- আপের গ্লাসে
ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দিয়েছি। আজকের
রাতটা আমরা দুজন- দুজনকে শুধু
ভালোবাসবো! ( সজিব)
.
কি বলছো? এসব করতে পারবোনা!
.
তুমি কি আমায় ভালবাসো?( সজিব)
.
নিজের থেকেও বেশি!
.
"ভালোই যখন বাসো তবে, কেন বিশ্বাস
করছোনা! আমি তোমাকেই বিয়ে করবো।
তাই তোমাকে আজ আপন করে নিতে
চায়"কথাগুলো বলে আমাকে বিছানায়
শুইয়ে দিলো। দুই - হাত দিয়ে দুই হাত চেপে
ধরলো ঠোঁটের সাথে ঠোঁট দুটি মিলিয়ে
দিলো। শরীরটা ক্রমশ অবশ হয়ে আসছে।
আমি চোখ বন্ধ করে আছি! মনে হচ্ছে সজিব
আমার বুক থেকে কাপড় সড়াচ্ছে আমি বাঁধা
দিতে গিয়েও দিতে পারলাম না। শরীলের
প্রতিটি অঙ্গে আমার স্বপ্নের রাজকুমার
তাঁ ঊষ্ণ ঠোঁটের জ্বালাময়ী ভালবাসার
স্পর্শ এঁকে দিচ্ছে। একসময় নাভিতে হাত
দিতেই নিজেকে কন্টোল করতে পারলাম না
হাতটা ধরতে গিয়েও কেঁপে - কেঁপে ফিরে
আসলো। তারপর হারিয়ে গেলাম অন্য এক
জগতে। সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গতেই দেখি
আমার শরীরে কোন কাপড় নেই। সজিব
আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে। আমার
কাছে মনে হচ্ছে একটা মেয়েকে সব চেয়ে
কুৎসিত লাগে, বিবস্ত্র অবস্হায়। রাতের
কথা মনে পড়তেই চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে
পড়তে লাগলো। কারণ,নিজের মহামূল্যবান
সম্পদ টা কাল হারালাম। সজিবকে
ছাড়িয়ে কাপড়টা পড়ে নিলাম। সজিব ঘুম
থেকে ওঠে কাপড় পরে দেখে আমি কাঁদছি।
.
" এই পাগলী কাঁদো কেন" কথাটা বলে চোখ
মুছে দিয়ে কপালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরে
বললো" আমি আসি সোনা- ময়না "। বলেই
চলে গেলো।
.
এর পর থেকে প্রায় সময়ই সজিব সুযোগ
পেলেই বিয়ের কথা বলে,আমাকে ভোগ
করতো। আমিও কিছু বলতাম নাহ্কি। কারণ
ভালবাসার মানুষই তো এসব করছে। আর
সজিব আমাকে বিয়ে ককরবে। তাই কখনো
বাঁধা দেয়নি।কিন্তু বিপত্তি'টা হলো
তখনি যখনি আমার বমি আসতে শুরু করলো।
শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে লাগলো। সজিবকে
বললে সজিব বলে" তুমি এতো বোকা কেন
একটা ট্যাবলেট খেয়ে নিলেই পারতে! আমি
কান্না করে দিয় বললাম" তুমি না আমায়
বিয়ে করবে?
.
আরে কি বলো বিয় তোমাকে যে মেয়ে
বিয়ের আগে আমার সাথে এমন করতে
পারে! তাঁকে আমি কেন কেউ বিয়ে
করবেনা। আর হ্যাঁ মা- বাবার মানসম্মান
বাঁচাতে চাইলে আমি যে এমন করছি কাকে
বলোনা। আর হসপিটালে সব ব্যবস্থা করে
রেখেছি গিয়ে এবারশনটা করে নিয়ে।মা-
বাবার গলায় যদি দঁড়ি না দেখতে চাও।
.
- সজিবের কথাগুলো শুনে মায়ের নিচের
মাটি সরে গেলে।। সাজানো স্বপ্নগুলো
মুহূর্তের মাঝে এলোমেলো হয়ে গেলো।
কলিজাটা কষ্টে ফেঁটে যাচ্ছে।। ইচ্ছে
করছে নিজেকে শেষ করে দেয়। কিন্তু
আত্মহত্যা যে মহাপাপ। আমি কি এমন
অপরাধ করেছিলাম সজিব তুই আমার জীবন
টা এভাবে নষ্ট করলি?সজিবের উওর ছিলো"
ময়না পাখি তুমি ও মজা পেয়েছ আমিও
পেয়েছি এতে আমার অপরাধ কি। সেদিন
রাতে তো আমার ঘাম বের করে
ফেলেছিলে, সত্যি তোমার সাথে রাত
কাটানোর মজাই আলাদা!"
ঠাস- ঠাস-ঠাস লজ্জা করে না তোর এভাবে
বলতে, তুই আমাকে বিয়ে করবি বলে আমার
জীবনটাকে নষ্ট করে এসব বলছিস। তুই
জীবনেও সুখী হবিনা, অভিশাপ দিলাম।
চোখ দিয়ে পানি পড়ে গাল বেয়ে মাটিতে
পড়ছে।( কাঁদতে কাঁদতে কথা গুলো বললো)
' তারপর বুকে হাজারো কষ্ট চাঁপা দিয়ে।
পাহাড়সম কষ্ট নিয়ে নিজের পেটে হাত
দিয়ে বললো" ক্ষমা করে দিস
আমাকে,পাপিষ্ঠ'টা তোকে পৃথিবীর মুখ
দেখতে দিলোনা! আমি যে তোর মা
কলঙ্কিনী মা বড্ড অসহায়। ক্ষমা করে দিস,
কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বললো তোবা।
.
আজ আমি নিজের গর্ভের সন্তানটাকে
হত্যা করে আসলাম।পারছিনা আর এত কষ্ট
সইতে, আমার ভালবাসার অপমান সজিব
নামে জারজ সন্তানের হাতে " তার খুনটা
যদি আমি করতে পারতাম তাহলে পাপের
বুঝাটা কিছুটা লাঘব হতো! তারপর
ডাইরিতে কিছু লিখা নেই।
.
ডাইরিটা সম্পূণ পড়ে কথার আর বুঝতে
বাকি থাকে না" সজিব নামে জারজ
সন্তানটার জন্যই আজ তাঁর এ অবস্হা, তার
বোন তোবা পাগলপ্রায়। আর কণা আপু
কবরে! আর আমার জীবনের জীবন স্বামীটা
হাসপাতালে।
.
সজিবের ছবিটা, ছিঁড়ে ফেললো গ্যাসের
আগুনে দিয়ে ছবিটাকে জ্বালাচ্ছে। হঠাৎ
ফোনটা ক্রিং ক্রিং করে বাজছে ফোনটা
তুলতেই "
ভাবী ভাইয়াকে আর বাঁচানো গেলো না........
.
.
.
♥-----"To be Continue"---♥
.