গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ১২ ~~২~ ♥
বুকটা মনে হচ্ছে কষ্টের সাগর হয়ে গেছে।
চোখ দিয়ে অবিরাম বিষাদ সিন্ধুর জল
গড়িয়ে পড়ছে।
- বোনের ছবিটা বুকে নিয়ে বিছানায়
বসতেই, শরীর টা কেমন যেন কেঁপে ওঠে!
তাই বিছানায় গাঁ টা এলিয়ে দিতেই কখন
যে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যায় তা আর মনে
নাই।
.
'ভাইয়া, ভাইয়া, তুমি কাঁদছো কেনো? তুমি
জানোনা তুমি কাঁদলে আমারো যে খুব কষ্ট
হয়। আর কেঁদোনা প্লিজ।
.
- হঠাৎ চিরচেনা সে 'ভাইয়া, ডাক শুনে
দরজায় দিকে তাঁকাতেই দেখি দরজা খুলা।
কিন্তু একি দরজায় ধব-ধবে সাদা একখানা
শাড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে আছে কণা। আর বলছে
'ভাইয়া তুমি কেঁদোনা তুমি কাঁদলে
আমারো খুব কষ্ট হয়"।
.
কণাকে সাদা শাড়িতে কেমন যেন লাগছে।
তাই জিজ্ঞেস করলাম' কণা তুই না সাদা
শাড়ি পছন্দ করিস না তবে কেন এই শাড়ি
পড়েছিস? তোর জন্য তো বৈশাখেও নীল
শাড়ি কিনে দিলাম!
.
ভাইয়া, আমি চাইলেও আর নীল শাড়ি
কখনো পড়তে পারবোনা! ভাইয়া তুমি
আমার হত্যার বিচার করবেনা? আমার
আত্মা যে, সে বিশ্বাসঘাতকের মৃত্যু না
দেখে মুক্তি পাচ্ছেনা!
.
কণার কি সব বলছিস?।হঠাৎ কণার গলার
দিকে তাকাতেই দেখি গলায় দড়ির দাগ!
কণা বলে চিৎকার দিতেই ঘুম ভেঙ্গে যায়!
ঘুম ভাঙ্গতেই আর বুঝতে বাকি থাকেনা
এটা আমার দুঃস্বপ্ন ছিল।এখনো কণা'র
ভেঙ্গে যাওয়া ছবিটা বুকে।দরজার দিকে
তাকিয়ে দেখি দরজা লাগানো, ভয় ও হচ্ছে
আবার খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে, মনে ভাবলাম
আমি আমার বোন হত্যার প্রতিশোধ ঠিকই
নিবো আর আমার বোনের চল্লিশ দিন
হওয়ার আগেই।
.
কথা ডাইরির পরের পাতা উল্টানোর
আগেই, ফোনটা ক্রিং ক্রিং করে বেজে
ওঠে!
.
ফোনটা ধরতেই ওই পাশ থেকে রিত্ত বলছে '
ভাবী, তুমি কোথায় ভাইয়া নাকি
বাঁচবেনা! প্লিজ তুমি শেষ বারের জন্য
হলেও ভাইয়া'কে দেখে যাও"।
.
এদিকে রিত্তের কাছে এমন কথা শুনে,
কথার মনে হচ্ছে তার হৃদপিন্ডে কেউ ছুঁড়ি
চালিয়ে দিয়েছে! রাজ না বাঁচলে যে
কথাও বাঁচবেনা। ডাইরিটা আলমারীতে যে
জায়গায় ছিল সেখানে রেখে হসপিটালে
রওনা দেয়!
.
হসপিটালে আসার পর দেখে সবাই কান্না
করছে! কথা সবার সামনে ডির্ভোস
পেপার'টা ছিঁড়ে ফেলে। সবাই কথায় দিকে
চেয়ে আছে!
.
কথা দৌঁড়ে রাজের পায়ের কাছে গিয়ে
কাঁদতে, কাঁদতে বলতে লাগলো, তুমি
আমাকে ক্ষমা করে দাও! আমি যে
তোমাকে ছাঁড়া বাঁচবোনা!আমাকে কেন
এতো ভালোবাসলে। এতো ভালবাসার পর
কেন ছেঁড়ে যাচ্ছো আমায়? তুমি চলে গেলে
কে আমাকে ভালোবাসবে!
.
এদিকে নার্স এসে কথাকে কান্না করতে
না করে এতে করে! পেশেন্টের ক্ষতি হবে।
কথা রাজের মুখের দিকে তাঁকাতেই বুকটা
হুঁ-হুঁ করে কেঁদে ওঠে। আজ কথার জন্যই তার
স্বামী মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে! মনে
হচ্ছে নিজেকে শেষ করে দেয়। কিন্তু
রাজের স্বপ্ন রাইসার জন্য বেঁচে থাকতে
হবে। কি সুন্দর মায়াবী মুখখানা'কোন অশুভ
ছাঁয়া গ্রাস করে ফেলছে! চোখ থেকে জল
বের হয়ে গাল বেয়ে পড়ছে! রাজের কপালে
একটা চুমু একে দিলাম। মনে মনে বলছি' রাজ
কী আমায় ক্ষমা করবে?আমি যে স্ত্রী হয়ে,
স্বামীকে মারার জন্য ঘুমের ওষধ
খাওয়েছি! আল্লাহও আমায় ক্ষমা করবেনা।
নিজেকে পৃথিবীর শেষ্ঠ অভাগী মনে হচ্ছে
' যে এতটা ভালবাসার পরও নিজের
স্বামীকে খুন করার জন্য এমন ইতিহাসের
জঘন্যতম খারাপ কাজ করছি! নিজের কাছে
নিজেই আজ বড্ড অপরাধী! চোখ থেকে মনে
হচ্ছে রক্ত বের হবে! কলিজাটা ফেটে
যাচ্ছে রাজের ওভাবে নিশ্চুপ শুয়ে থাকা
দেখে!
.
এদিকে বাবা আমাকে কাঁদতে দেখে,
বাসায় নিয়ে এসে পড়ে।
.
এদিকে এশার নামায পড়ে; মহান আল্লাহ্
তায়ালার দরবারে দু'খানা হাত তুলো বলতে
লাগলাম'হে পরওয়ার দেগার কখনো তোমার
কাছে হাত তুলিনি। কিন্তু আজ তোমার এই
অভাগী বান্দী তোমার কাছে দু'টি হাত
তুলেছে। হে রহিম- রহমান, তুমি আমার
স্বামীকে সুস্থ করে দাও, আমার স্বামীর
বুকে যেন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে
পারি! আমি যে বড্ড অপরাধী গুনাহ্গার তবুও
তোমার দরবারে হাত তুলেছি তুমি ছাঁড়া
আর কেউ যে নেই আমার! তুমি যে মহান,
দয়ার সাগর,তুমি রাজা-ধিরাজ! তুমি
হায়াত-মউতের মালিক। তুমি নাহ্ বলেছে
যখন কোন সন্তান কান্না করে দেয়, মা তাঁর
সন্তানের কান্না শুনে দৌঁড়ে আসে, আর
তুমি তো আমাদেরকে দুনিয়ার মায়ের
চেয়ে লক্ষ-কোটি গুণ বেশি ভালবাসো! যখন
তোমার কোন বান্দা রহিম-রহমান বলে
কান্না করে দেয়! তখন তোমার রহমতের
সাগরে টান লাগে। আমি তোমার রহিম-
রহমানের রহমতের দিকে চেয়ে রয়েছি
মাবুদ আমার স্বামীকে তুমি ভালো করে
দাও,সুস্থ করে দাও। নেক হায়াত দান করো!
আমিন।
.
নামায শেষ করে জায়নামায টা তুলে
রেখে রুম থেকে বের হতেই দেখি তোবা
পুতুল 'কে বলছে কাঁদে না শুনা! তোমার
বাবা তোমার জন্য এওোগুলো চকলেট নিয়ে
আসবে,তাই আর কেঁদোনা! কাঁদলে বাবাই
রাগ করবে! আমার সোনা-মণি ঘুমায়!
ইদানিং তোবার পাগলামি বেড়ে
গিয়েছে! কাল নাকি তোবাকে
সাইকিয়াটিস্ট দেখানে নিয়ে যাবে!
.
পরদিন তোবাকে ডাক্তার দেখানে নিয়ে
যাওয়ার পর হঠাৎ, মনে পড়লো তোবার কার
সাথে সম্পর্ক ছিল। যার সাথে অবৈধ
সম্পর্ক করার জন্য এবারশন করতে হয়
তোবার। কে সে যে তোবাকে মারসিক
আঘাত দেয় । কার সাথে তোবার সম্পর্ক
ছিল। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে পড়ে
তোবার রুমে খুজলে নিশ্চয়ই কোন তথ্য
পাওয়া যাবে।
যে ভাবা সেই কাজ অনেক খুজা-খুজির পর
কিছু না পেয়ে হতাশ হয়ে যায় কথা।
.
অনেক্ষণ পর কথার ড্রেসিং টেবিলের
লর্কার খুলে দেখে যে একটা লর্ক ডাইরি!"
.
কথা ডাইরির লক খুলতে না পেয়ো তালাটা
ভেঙ্গে ফেলে।
.
ডাইরিটি নীল কালিতে লেখা!
" ডাইরির প্রথম পাতা'টি উল্টাতেই কথা
শর্ক খায়! ডাইরির প্রথম পাতায় বড় করে
লেখা" আমার অনুভূতির ক্যানভাসে তোমার
নাম শুধু"
কথা পরের পাতা উল্টাতেই দেখে, নীল
কালিতে লেখা ' ছেলেটাকে প্রথম
দেখাতেই ভালবেসে ফেলি! নীল শার্টে
ঠিক রাজপুএের মতো লাগছে! আমার হৃদয়ের
রাজপুএ।
পরের পাতা উল্টটাতেই কথা একটা শর্ক
খায় দেখে একটা কবিতা লেখা কবিতাটা
রাজের লেখা তাহলে রাজ কী তোবার
সাথে........

.
♥-----"To be Continue"--♥ -