গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ১১ ~২~~ ♥
-- তারপর ভার্সিটি যাওয়া বন্ধ করে দেয়!
কিন্তু বিভ্রাট ঘটে তখন যখন সজিব আমার
কলিজার ' ভাই টা শহরে আসে, সে এসে
ভার্সিটিতে নিয়ে যায় আমাকে।
-- দিনগুলি কথার প্রাণে তাকিয়েই পার
করছিলাম,কিন্তু কথাকে ভুলে যায়নি!
লুকিয়ে নামছাড়া চিরকুট দিতাম, আর আমি
বরাবরের মতোই ফেসবুকে লিখা-লিখি
করতাম, তা সজিব ছাড়া কেউ জানতো না "
কিন্তু কথাও আমার ফ্রেন্ডলিস্টে ছিল এবং
সে তাঁর আইডি দিয়ে লেখাগুলো পড়তো।
তেমনি একদিন কথা গল্প পড়তে পড়তে
তাকে দেওয়া একটা স্ক্রীপ পোস্ট করা পায়
নীচে লেখা' অতিথি পাখি" কথার বুঝতে
বাকি থাকেনা, তার অতিথি পাখিটিই,
তাঁর প্রিয় লেখক নিজের অজান্তেই
ভালবেসে ফেলে নিজের থেকে বেশি।
এদিকে তাঁর চিরকুটের অতিথি পাখিটিকে
দেখার জন্য পাগল প্রায়। কথা
ম্যাসেন্জারে ভয়েস রেকর্ডে কান্না করে
অডিও ক্রীপ দেয়। একটা সময় কথার
পাগলামি গুলি সহ্য না করতে পেরে তার
পর পরের দিন বিকালে কথাকে পার্কে
দেখা করতে বলি!
.
-- কথা এখনো আমাকে দেখেনি! জানিনা
দেখলে কী রকম রিয়াক্ট করবে। এসব ভাবতে
ভাবতে বাসা থেকে পার্কের উদ্দেশ্যে
বের হতেই সজিব এর সাথে দেখা!
.
-- কিরে সজিব হাতে ফুল নিয়ে,পাগলের
মতো কোথায় যাস( আমি)
.
-- দোস্ত তোকে পেয়ে ভালোই হইছে চল
ওখানে বসে কথা বলি? (সজিব)
.
--- হুম কি বলবি বল! (আমি)
.
-- দোস্ত তোকে কীভাবে যে বলি! আমি
একটা মেয়েকে ভালোবেসে ফেলেছি!
তাঁকে ছাড়া বাঁচবোনা! দোস্ত তুই আমাকে
বাঁচা যে ভাবে হয় ওই মেয়েটার সাথে
প্রেম করিয়ে দে! আমাকে বাঁচা। ( সজিব)
.
--- আরে তোর জন্য আমার জীবনও দিতে
পারি! আর তোকে প্রেম করিয়ে দিবোনা!
আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো!
.
-- দোস্ত প্রমিজ কর আমাকে ওই মেয়ের
সাথে প্রেম করিয়ে দিবি?( সজিব)
.
-- আচ্ছা তোকে ছুঁয়ে বলছি প্রমিজ বল কোন
সে ভাগ্যবতী রাজকন্যা যে আমার
কলিজার টুকরা বন্ধুটার মন কেঁড়ে নিয়েছে?
.
--- দোস্ত মেয়েটা আর কেউ না! আমাদের
কলেজের সেরা সুন্দরী কথা! বল কীভাবে
কি করলে আমাকে ভালোবাসবে কথা।
( কথা)
.
--- সজিবের মুখে 'কথা'র নামটা শুনতেই
কলিজাটা কেঁপে ওঠলো! সজিবের আড়ালে
চোখের পানি মুছলাম। দাঁতে দাঁত- চেপে
কান্না আকটে রাখছি!
.
-- দোস্ত কিভাবে কীরবো প্লিজ বল!
কথাকে না পেলে দোস্ত আমি মরেই যাবো
হয়তো, সারাদিন তাঁকে ভেবেই পার করি!
.
-- দোস্ত শোন আমার ফেসবুক আইডি এই নে
পাস! যদি কথা কিছু বলে বলবি আইডি'টা
তোর! কথাকে বলবি তার অতিথি পাখিটাই
তুই! আমি আগেই জানতাম তুই কথাকে
ভালোবাসিস তাই ফেইক আইডি দিয়ে
তোর প্রেম করিয়ে দিলাম! আমার ট্রিটটা
যেন পায় ঠিক সময়ে! ( আমি)
.
-- দোস্ত তুই সত্যি মহান বলে, সজিব
আমাকে জড়িয়ে ধরলো!
.
-- দোস্ত আর লেট করিস না পার্কে কথা
তোর জন্য অপেক্ষা করছে! ( আমি)
.
-- আচ্ছা দোস্ত চলিয়ে, এই বলে সজিব
পার্কে গিয়ে দেখে কথা বসে আছে!
কথাকে সব বলার পর কথা তার অতিথি
পাখি ভেবে, শক্ত করে জড়িয়ে ধরে!
.
-- এদিকে দূর থেকে নিজের ভালবাসার
মানুষটাকে অন্যের বুকে লেপ্টে যেতে
দেখি!বুকের মাঝে চিন-চিনো ব্যাথা
করছে,এ হয়তো ভালবাসা হারানোর
ব্যাথা।আজ নিজের বন্ধুত্বের কাছে
নিজের ভালবাসাকে কুরবানি দিলাম।
.
-- কথার বুক ফেঁটে কান্না আসতেছে!
চোখের পানি ডাইরির পাতায় টুপ- টুপ করে
পড়ছে! ডাইরির পাতাগুলো ঝটলা বেঁধে
যাচ্ছে! বামহাতে চোখের পানি মুছে
আবারো, ডাইরির পাতা উল্টাতে লাগলো।
.
-- দিনগুলি ভালোই কাটতেছিল, এখন কথাও
আমার খুব ভালো ফ্রেন্ড এতেই আমার
শান্তি কারণ ভালবাসার মানুষটাকে কাছ
থেকে দেখতে পারবো।আর সবচেয়ে বড় কথা
হলো, আমার কলিজার টুকরা বন্ধুটার কাছে
আমার ভালবাসার মানুষটি আছে!
.
-- সবকিছু ঠিক-ঠাক চলছে, হঠাৎ এমন একদিন
আসে সুখের সংসারটা কালবৈশাখী ঝড়ে
লন্ডবন্ড হয়ে যায়। সেদিন সকাল টা যদি
আর কোনদিন না আসতো তাহলেই ভালো
হতো, প্রতিদিন সকাল বেলা চোখ বন্ধ করে,
কাঁনার মতো হাতিয়ে, হাতিয়ে কলিজার
টুকরা বোনটার রুমে গিয়ে সবার প্রথম '
কণা'র মুখটা দেখতাম। তারপর দিন শুরু
করতাম প্রতিদিনের মতো সেদিনও চোখ
বন্ধ করে ' ছোট্ট রাজকুমারী বোনটির রুমে
গিয়ে চোখ বন্ধ করে বললাম, মহারাণী
আপনার প্রজা কি চোখ খুলিতে পারে,?
এভাবে কয়েকবার বলার পরও কোন সাড়া না
পেয়ে চোখ খুলতেই মনে হচ্ছে আমি অন্ধ
হলেই ভালো হতাম। কারণ আমার কলিজার
টুকরা বোনটা যে ফ্যানের সাথে ঝুলছে!
বুকের মাঝে কে যেন ছুঁড়ি চালিয়ে
দিয়েছে। হৃদয় থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
এদিকে কণা'কে জড়িয়ে ধরে কান্না করছি
হঠাৎ এমন সময় কণা'র হাতে একটা চিরকুট
পায়। চিরকুট'টাতে লিখা ;
.
-- প্রিয়,
আমার নয়নের মণি ' ভাইয়া'
.
এ অপবিএ নষ্টা মেয়ে হয়ে তোমার পবিএ
নাম কীভাবে নিবো ভেবে পাচ্ছিনা! তবুও
নিলাম কী করবো আর হয়তো ডাকতে
পারবোনা! এই ডাকটাই আমার শেষ ডাক!
ভাইয়া আমি বাঁচতে পারলামনা।
প্রতারকটা আমাকে আর আমার মাঝে
বেড়ে ওঠা, অবৈধ ভালবাসার ফসলের
স্বকৃতি দেয়নি ভাইয়া তাই মরার পথ বেঁছে
নিলাম। জানো ভাইয়া' বিশ্বাস ঘাতক
সজিব আমার সাথে মিথ্যা প্রেমের নাটক
করে। আমাকে বিয়ের কথা বলে দিনের পর
দিন ভোগ করে, তারই ফসল আমার গর্ভে। '
ভাইয়া জানো সজিবকে যেদিন বলেছি, যে
ভাইয়াকে বলো আমি অন্তঃসন্তা আমাকে
তুমি বিয়ে করবে! প্রতিত্তরে সজিব বলেছে
আমার গর্ভে নাকি তাঁর সন্তান না,আমি
নাকি নষ্টা। আমাকে নিয়ে রাত কাটানো
যায় তবে নাকি বিয়ে করা যায়না। আর সে
আমাকে কোনদিনই বিয়ে করবে না।হাতে
বাচ্চা নষ্ট করার ওষধ দিয়ে আমাকে বাসা
থেকে বের করে দেয়। সজিবের হাতে
আমার ভালবাসার এতো বড় অপবাদ সইতে
পারিনি।কীভাবে মুখ দেখাবো, কেউ যদি
বলে এ বাচ্চার বাবা কে কি বলবো,
বাচ্চাকে তো আর একা মারতে পারিনা
তাই মা- সন্তান একসাথে পাড়ি জমালাম
না ফেরার দেশে। ' ভাইয়া আজকের পর
থেকে তোমাকে আর খাইয়ে দিতে পারবো
না কারণ আমি যে নষ্টা, ভাইয়া বিশ্বাস
করো আমি নষ্টা না, বিশ্বাস করেছিলাম
ওকে' ওই 'আমাকে বিয়ের কথা বলে সর্বনাশ
করেছে। ক্ষমা করোনা তাঁকে কোনদিনই।
ভাইয়া কাঁদছো কেনো, একদম কাঁদবেনা
তুমি কাঁদলে যে আমি কষ্ট পায়। যদি
তোমার নষ্টা বোনটির জন্য কষ্ট হয় তাহলে,
তোমাকে দেওয়া জোঁড়া পুতুলটার সাথে
গল্প করবে। তাহলে আমার সাথে গল্প করা
হবে। ভাইয়া খুব ইচ্ছা করছে তোমার কুলে
মাথা রেখে ঘুমাতে ' কিন্তু আমি আর
কোনদিন ভাইয়ার কুলে ঘুমাতে পারবোনা,
পারবোনা তোমার প্লেট থেকে মাংস চুরি
করতে, চুরি করে বলবোনা আর কোনদিন '
ভাইয়া ছোট্ট বিড়ালে তোমার মাংস
খেয়েছে! কথাটা শুনার পর তোমার মুখের
সেই হাসিটটা আর দেখতে পারবোনা। আর
কোনদিন আইনক্রিম এর জন্য বাইনা ধরতে
পারবোনা,, যে ভাইয়া আইসক্রিম না
আনলে গেট বন্ধ। ভাইয়া' জানি শুনতে
পারবোনা তবুও বলছি একবার ' মহারানী
বলে ডাকবে আমায়?
.
-- ইতি, তোমার নষ্টা বোন।
.
-- এদিকে কণার চিঠিটা পড়ে নিজের
অজান্তেই চোখের পানিতে ভেসে যাচ্ছে
বুক, টপ- টপ করে চোখের পানি পড়ে চিঠিটা
ভেঁজে যাচ্ছে। কণাকে দাফন করে, রওনা
দিলাম ' সজিবের কাছে বোনের মৃত্যুর
প্রতিশোধ নিতে। কিন্তু গিয়ে যা দেখলাম
তা দেখায় একেবারে প্রস্তুত ছিলাম না
আল্লাহ এতো বড় শাস্তি......
.
.
♥-----"To be Continue"--♥ -