গল্প:-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে"" ♥
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ০৩ ~~~ ♥
.
.
কি বলছিস নুসরাত তোর এখন এসব বলার
সময়! পিছন দিকে তাকাতেই দেখি কথা
রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে!
!
--- কেন কখন বলবো আমাকে ঠকিয়েছিস তুই।
তুই একটা প্রতারক। এইটা তোর কাছ থেকে
কখনো আসা করিনি। বাহ্ মেয়েটাও তো
আমার চেয়ে সুন্দর। ইচ্ছা করছে তোকে খুন
করে জেলে যাই এখন(নুসরাত)
!
--- নুসরাত একটিবার আমার কথাগুলো শুন।
তারপর তুই যা বলবি তাই মেনে নিবো
( আমি)
!
-- ছিঃ তোর সাথে তোর মতো বেঈমানের
সাথে আমার কোন কথা থাকতে পারেনা!
আমি এই বিয়ে মানিনা! ( নুসরাত)
!
----হঠাৎ কথা নুসরাতের মুখে এমন কথা শুনে
জোরে আমার গালে চড় বসিয়ে দিলো।
আমি ভাবতেও পারিনি কথা আমাকে চড়
দিবে। মাথাটা নিচু করে ফেললাম। এদিকে
কথার এমন ব্যবহারে নুসরাতও চুপ হয়ে
গেলো। নুমরাত এমনটি হবে আশা করেনি।
!
---- ভাবী একি করলেন? রাজকে চড় মারলেন।
আপনি রাজকে চড় মারতে পারলেন। চড়
মারতে আপনার একটুও হাত কাপলো না?
আপনারা না ভালবেসে বিয়ে করেছেন।
আমার তো ভাবতেও লজ্জা করছে এই
আপনাদের বিশ্বাস। ( নুসরাত)
!
--- আপনি চুপ করেন। আপনার সাথে সম্পর্ক
তাহলে আমার জীবনটা নষ্ট করলো কেন
বিয়ে করে। ছিঃ রাজ ভাবছিলাম তুমি
আমাকে ভালবেসে এসব করেছো। আসলে
তোমার মতো ছেলে কখনো কাউকে
ভালবাসতে পারেনা। লজ্জা করেনা সহজ -
সরল একটা মেয়ের সাথে ৮ বছর প্রেম করে
অন্য মেয়েকে ভালবাসার কথা বলে বিয়ে
করা। ( কথা)
!
--- কথার মুখে এমন কথা শুনে নিজের
অজান্তেই চোখে পানি এসে গেরো। যাকে
এতো ভালবাসলাম অন্তঃসন্তা থাকা
সন্তেও বিয়ে করলাম। কিন্তু কখনো সে
আমার ভালবাসাটা বুঝল না। শুধু ভুলটাই
বুঝে গেলো। এসব ভাবছি আর নুসরাতের
দিকে চেয়ে আছি। নুসরাত কেমন যানি
অসহায়রের মতো চেয়ে আছে আমার দিকে!
!
-- ভাবী আপনারর কোথাও কিছু ভুল হচ্ছে?
( নুসরাত)
!
--- নাহ্ আমার কোন ভুল হয়নি। ভিল হয়েছে
তখন না যেনে দুশ্চরিএটাকে বিয়ে করা!
( কথা)
!
-- ভাবী স্টপ অনেক হয়েছে আর না। কাকে
আপনি দুশ্চরিএ বলছেন রাজকে? শুনেন
তাহলে রাজ আর আমি সেই ছোট বেলা
থেকে বন্ধু। এমন কোন জিনিস নেই যে
আমরা শেয়ার করিনি। রাজ আমার সবচেয়ে
ভালো বন্ধু। ভেবেছিলাম তার বিয়েতে খুব
আনন্দ করবো। কিন্তু হারামিটা হুট- হাট
করেই বিয়ে করে নিয়েছে। একমাএ বন্ধু তো
তাই ওর বিয়ের কথা না জানতে পেরে খুব
কষ্ট পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম
হারামিটার সাথে কোন দিন দেখাই করবো
না। কিন্তু পারলাম না তাই তোমাদের
দেখতে এসে পড়লাম। আমি আগে যদি
জানতাম পরিস্হিতি এমন হবে তাহলে
কখনোই আসতাম না! ভাবী আমার বিয়ে
ঠিক হয়ে গেছে। ৩ বছরের সম্পর্কের ইতি
শেষ হবে আগামী শুক্রবারে। আমার আর
জিহাদের বিয়ের দাওয়াত দিতেই
এসেছিলাম। (নুসরাত)
!
-- সরি রাজ তোমরা দুজন আমাকে ক্ষমা
করে দাও। নুসরাত আপু আমি না বুঝে ভুল
করে ফেলেছি ক্ষমা করে দিয়ো! ( কথা)
!
-- ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই আপু! তবে একটা
কথা ভালবাসার মানুষের ওপর সবসময়
বিশ্বাস রাখবেন।আর এই আমাদের বিয়ের
কার্ড তোমরা দুজন অবশ্যই আসবে নইলে
আমি বিয়ের করবো না। আর আঙ্কেল আন্টি
আর রিওকে বলে দিয়েছি তারাও যাবে।
( নুসরাত)
!
--- হুম আপু অবশ্যই যাবো।( কথা)
!
--- রাজ! দোস্ত তাহলে আসি! দেখা হবে
আবার।(নুসরাত)
!
---আচ্ছা দোস্ত ভালো থাকিস! ( আমি)
!
-- নুসরাত চলে গেলে সুফায় এসে বসে
পড়লাম!
!
-- রাজ! তোমাকে চড় দেয়া ঠিক হয়নি ক্ষমা
করে দিয়ো আমায়? ( কথা)
!
--- নাহ্ ঠিক আছে ।তোমার জায়গায় অন্য
কেউ হলেও তাই করতো! ( আমি)
!
--- ভাইয়া - ভাবী তোমরা কোথায়। ফ্রেশ
হয়ে নিচে আসো দেখো কে আসছে? ( রিও)
!
--- এদিকে অনিচ্ছা সন্তেও কথা আমার হাত
ধরে নিচে নামলো। কথায় ছোঁয়াতে মনে
হচ্ছে এক অজানা যাদু আছে। মনটা কেমন
কেমন করছে। মনে হচ্ছে মনে কেউ হাতুড়ি
পিটাচ্ছে!
!
-- নীচে নেমেই দেখি সব আত্মীয় স্বজনরা
বসে আছে। সবাই বলা- বলি করছে রাজ আর
কথাকে খুব সুন্দর মানিয়েছে!
!
-- সবার সাথে কথা বলছি হঠাৎ পাশ থেকে
এক আত্মীয় আরেক আত্মীয়কে বলছে!"
জানিস রাজের বউয়ের চরিএ ভালো না
বিয়ের আগেই পেট বাঁধিয়েছে। তাই
তাড়াহুড়া করেই বিয়ে করিয়ে নিছে।
পাশের আত্মীয় বলছে এই জন্যই মানুষ বলে
সুন্দরের মাঝেই গলদ থাকে। মহিলাদের
কথা শুনে রাগে শরীরটা গজ-গজ করছে। তাই
সয্য না করতে পেরে বলেই ফেললাম
আপনাদের কোন সমস্যা যান এখন বাড়ি
থেকে বেড়িয়ে যাবেন। আপনাদের
কান্ডজ্ঞান নেই! কথা আমার স্ত্রী আর যা
করেছি তা ভালবেসে আমরা কোন অন্যায়
করিনি। রুমের মাঝে পিন-পিনে নীরবতা
বিরাজ করছে। পিছন দিকে তাকাতেই
দেখি কথা দাঁড়িয়ে আছে! চোখ দিয়ে
অঝরে পানি পড়ছে।
!
-- " বাবা এসব লোক যেন আমাদের বাসায়
না আসে! এই বলে কথাকে হাতে ধরে
টানতে টানতে উপরে নিয়ে গেলাম। সবাই
বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমাদের
দিকে! কথা কেমন যানি করুণ দৃষ্টিতে
আমার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ দিয়ে
পানি পড়ছে। রুমে যেতেই ---
!
-- ঠাস- ঠাস করে চড় দিয়ে বলতে লাগলো "
আজ তোর মতো খুনির জন্য সবাই আমার
গর্ভের সন্তানকে নিয়ে আজে বাজে কথা
বলছে। তুই যদি আমার স্বামীকে খুন না
করতি তাহলে কেউ আমার গর্ভের সন্তান
নিয়ে কথা বলতে পারতো না। কি দোষ
করেছিলাম আমরা।আজ সবার সামনে
মহিলাগুলো আমার চরিএ নিয়ে কথা বলছে।
মনে হচ্ছে তোকে খুন করে নিজে মরে যাই!
কথাগুলো বলে বিছানায় শুয়ে বালিশে মুখ
লুকিয়ে কাদতে থাকলো!
!
--- এদিকে কথায় মুখে এমন কথা শুনে চোখের
পানি আর বাঁধা মানছে না। যাকে নিজের
জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসি সে কীনা
আর কিছু ভাবতে পারছিনা!
!
-- বিকেলে, কথার মা বাবা আমাকে নিতে
আসে, সাথে কথার ছোট বোন তুবাও আসে।
.
রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি কথা
আর তোবা বসে আছি।হঠাৎ তোবা বলে
ওঠলো " আপু তোর জামাইরের চরিএ ভালো
না!
!
--তোবার এমন কথা শুনে মনে হচ্ছে আকাশ
থেকে পড়লাম! মেয়ে এটা কী বলছে! এই যে
শালীকা, তুমি জানোনা? শালী মানে
অর্ধেক বউ তবুও আমি তোমার সাথে কিছু
করিনি!
!
---- অর্ধেক বউ বললেই হলো। আপু তোমার
বরকে চুপ করতে বলবা লুচু একটা! (তোবা)
!
--- কথা তোবার মুখে এমন কথা শুনে কেমন
যানি রাগি লুক নিয়ে তাকালো।
!
--- মনে মনে বলছি আল্লাহ কী এমন মেয়েকে
বিয়ে করলাম। মেয়েও যেমন মেয়ের
বোনটাও তেমন devil এর হাড্ডি।
!
-- তোবা কী করেছে তোর দোলা ভাই?
( কথা)
!
--- আপু তোর বরটা আমাকে! নাহ্ আমার
লজ্জা করছে বলতে পারবোনা! ( তোবা)
!
---- কী এমন কথা বলা যাবেনা বল বলছি?
( কথা)
!
---- আপু তোর বরটা কেমন করে যেন তাকায়
আমার ভয় করে। জানিসনা আপু আমি ছোট
মানুষ! ( তোবা)
!
--হুমম আমার বোনটা ছোটই। ( কথা)
!
--- জানিস আপু তোর বরটা কেমন করে
তাকায়। আর আমাকে চোখ ইশারা দিয়ে,
ইয়ে দেখাইছে! (তোবা)
!
-- আমি তোমাকে যাই একটু ভালো ভাবতাম
কিন্তু তাও কিছু মনে করিনি। এখন আমার
ছোট বোনটার দিকে নজর দিয়েছে লুচুর
হাড্ডি বলে রাগে গজগজ করে চলে গেলো
বেড রুমে! ( কথা)
!
-- আল্লাহ এতো বড় অপবাদ শুনার আগে
উঠায় নিলে না কেন আমায়!
-- দোলাভাই কেমন দিলাম? এইটা আমার
পক্ষ থেকে আপনার জন্য ছোট্ট গিফট।
আমার সাথে কথা বলেন না আমি কি
দেখতে খারাপ। রাতে বুঝবেন কত ধানে কত
চাল। এই বলে তোবা চলে গেলো।.
.
-- রাজ তোমার পায়ে পড়ি আমার জীবনটা
নষ্ট করে দিয়েছো কিছু বলেনি। কিন্তু
আমার ছোট্ট বোনটার কোন ক্ষতি করো না।
( কথা)
!
-- কথার দিকে না তাকিয়ে বিছানা থেকে
বালিশটা নিয়ে সুফায় শুয়ে শুয়ে ভাবছি
আল্লাহ এ কোন খেলায় ফেললে আমাকে!
(আমি)
!
--দুপুরে ফ্রেশ হতে যাওয়ার জন্য বার্থরুমের
দরজা ধাক্কা দিতেই যা দেখলাম তাতে
আর চেয়ে থাকতে পারলাম না। চোখ টা
বন্ধ করার আগেই কথার চিল্লানিতে হাত
দিয়ে কান দুটি ধরে ফেললাম।
!
--- অ্যা -অ্যা লুচ্চা তুই আমার সব দেখে
নিয়েছিস। তুই এতো খারাপ, জানিস আমি
শাওয়ার নিচ্ছি! ( কথা)
!
---আমি কিছু দেখিনি। তুমি ভুল ভাবছো!
(আমি)
!
----ওহ! তাই বুঝি তখন কিছু দেখনি। আচ্ছা
এখন দেখো, এই কথা বলে টাওয়াল টা খুলে
দিতেই আমি পিছন দিকে ঘুরে গেলাম।
!
-- লুচ্চামি করস তখন মনে থাকেনা।এখন
অন্যদিকে তাকিয়ে আসিস কেন সব দেখ
খুলে দিয়েছি দেখ তাও তোর লুচ্চামি বন্ধ
কর। ( কথা)
!
---- মিস কথা আপনি আমার স্ত্রী আমি
ইচ্ছা করলেই আপনার প্রতিটা অঙ্গ প্রতঙ্গ
দেখতে পারি।। কিন্তু না আপনি মন থেকে
যে পর্যন্ত না চাইবেন ততদিন আপনার ওই
সব দেখা তো দূরের কথা ইচ্ছাকৃত ভাবে
আপনাকে ছুঁয়েও দেখবোনা। (আমি)
!
-- চুরের মুখে রাম নাম! ( কথা)
!
-- আর হ্যা টাওয়ালটা পড়ে নাও তোমার সব
দেখা যায়! এই বলে বের হয়ে এসে পড়লাম
( আমি)
!
-- রাজের কথা শুনে কথার হুশ ফিরে।
তাকিয়ে দেখে টাওয়াল নিচে পড়ে আছে।
তাড়াহুড়া করে টাওয়াল টা পড়ে বার্থরুমে
বসে পড়ে। মনে মনে ভাবতে লাগলো
আসলেই কী খুনিটা কী আমার সব দেখে
নিয়েছে। ( কথা)
!
--- এদিকে কথা ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আর
আমার দিকে তাকায়নি। ভেজা চুলে খুব
সুন্দর দেখাচ্ছে কথাকে।মনে হচ্ছে কথার
খোঁপায় একটা বকুল ফুল গুজে দেয়।
!
-- হঠাৎ দোলাভাই রেডি হোন। আপু রেডি
হও বাসায় যাবো মা রেডি হতে বললো
তোমাদের। ( তোবা)
!
--- এদিকে শুশ্বরবাড়ীতে দিনগুলি ভালোই
কাটছিল।
!
-- এভাবে কয়েকদিন চলে যায়।
-- কথা রান্না করছে। কথার মা বাবা তার
নানা বাড়ীতে গিয়েছে। হঠাৎ কথা তার
বেড রুম থেকে কারো চিল্লাচিল্লির
আওয়াজ শুনতে পায়। দৌঁড়ে রুমের কাছে
গেতেই দেখে রুমের দরজা বন্ধ।ভেতর থেকে
তোবা বলছে। ছেড়ে দেন আমাকে! প্লিজ
কাছে আসবেন নাহ্। প্লিজ আর এক পা
আমার সামনে আসবেন। কি করছেন আপনি।
আপু কোথায় তুমি। বাচাও এই লুচ্চা টা
আমাকে """""(তোবা)
!
-- এদিকে কথার বুঝতে বাকি রইলে রাজ
তার ছোট্ট বোন তোবাকে! ছিঃ ভাবতে
পারছেনা আর কিছু! কথা জুরে জুরে দরজা
ধাক্কা দিচ্ছে। আর বলছে রাজ প্লিজ
আমার বোনটাকে ছেগে দাও --- ( কথা)
!
-- ভেতর থেকে তোবার আতৎনাদ আপু বাচাও
আমাকে এই লুচ্চাটা আমার সর্বনাশ করে
ফেললো...!!!!
.
.
♥-----"To be Continue"---♥