টানা ছ'বছর ঊর্মির পিছে পিছে ঘোরলাম !
বজ্জাত মেয়ে "হ্যাঁ"ও বলেনা, "না"ও বলেনা! খালি ঘোরায়!
ক্লাস থ্রিয়ে থাকতে প্রপোজ করেছি, এইটে উঠেও ক্লিয়ার করে কিছু বলে না! বিশ্ব প্রেমিকা হইছে সে!!!
বেহায়ার মতো ঊর্মিরে কতোবার বলছি,
- একটু ভালবাসলে কি হয় ?
ঊর্মি বলে,
- আগে বড় হ !
- আর কতো বড় হবো রে! জানসনা আমি সংসারের বড় ছেলে! আম্মা আমার বিবাহের জন্য বউ দেখতাছে!
শুনে ঊর্মি হাসে আর বলে আমার নাকি মাথা খারাপ, ব্রেনডিফেক্ট!
একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে ঊর্মিরে দিলাম কঠিন থ্রেট!
- দাঁড়া ঊর্মি! তোর সাথে আমার কথা আছে!
- কি কইবি আমি জানি!
- আজকেই শেষ, আর কোন দিন বলবো না !
- তাড়াতাড়ি বল !
- আমারে যদি ভাল না বাসস তাইলে আমি এক লিটার পেট্রোল খাইয়া মইরা যামু!
- পেট্রোল পাবি কই! কেরোসিন খা গিয়া! তোদের ঘরে না থাকলে আমার কাছ থাইকা নিয়া যাইস! আর দেখিস কেরোসিন খাইয়া আবার আগুনের উপ্রে মুতিস না! তোর তো স্বভাব খারাপ!
- যেখানে মন চায় সেখানে মুতব। তোর কি হারামজাদি!
আঁড়ি আঁড়ি কুত্তার দাড়ি,
একশো জুতার বাড়ি!!!!
থু..... থু.....থু......!
তোর মুখে থু......!!!
ঊর্মির সাথে কথা বলা বন্ধ ঘোষণা করলাম!
ঊর্মির চেয়ে উত্তর পাড়ার রুবি বেশি সুন্দর! আজ থাইকা ঊর্মি বাদ! এখন থেকে রুবিরে ভালবাসবো!
রুবি ফিটফাট সুন্দরী! দুধে আলতা গায়ের রং! মাথা ভর্তি স্প্রিংয়ের মতো কুকড়া চুল! কি যে সুন্দর লাগে দেখতে! হাসলে দুই গালে টোল পড়ে!
ঠোঁটে লাল লিপস্টিক লাগায়! নাকে নাকফুুল, কানে দুল! ডান কানের উপর চুলের গোড়ায় লাল রক্তজবা গুজে রাখে! গলায় মুক্তার মালা পড়ে!
রুবির কাছে অনেক যত্ন নিয়া চিঠি লেখলাম! আকাশের মতো বিশাল হৃদয়ের উতাল পাতাল ভালবাসা খাতার ছোট্ট পাতায় ধরে না! তারপরও রক্ত দিয়ে লেখা চিঠিখানি বাবলুরে দিয়া রুবির হাতে পৌঁছালাম!
চিঠি পড়ে রুবি মুগ্ধ! তবে কিঞ্চিৎ সন্দিহান!
- অনি, রক্ত দিয়া এই চিঠি তুই লেখছস ?
- হ আমি লেখছি !
- এইটা কিসের রক্ত ?
- আমার নিজের শরীরের রক্ত ! হাত কেটে লেখছি!
- কোন হাত কেটে লেখছস, দেখাতো একটু!
আমি চুপ! কেমনে দেখাবো! রক্ত তো আমার না! পুঁইশাকের বীচি দিয়া লেখছি! ধরা খাইলাম মনে হইতাসে!
- কই দেখা ???? কোন হাতটা কাটছস ? ভন্ড কোথাকার ! ভন্ডামী ছেড়ে মানুষ হ!!!!
আমার বলার কিছু ছিল না!