►► খলীফা মু'তাসিম বিল্লাহ ও এক মজলুম মুসলিম নারীর মর্মস্পর্শী ঘটনাঃ
আব্বাসী খেলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী বাবক খুররামীর প্ররোচনায় রোমান সম্রাট নাওফিল বিন মিকাইল ১ লক্ষ্য সেনা নিয়ে মুসলিম ভূখণ্ডে আক্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ে। সর্বপ্রথম সে জিবাত্রা ও মালাতিয়া নামক দুটি সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায়। এ সময় রোমান সৈন্যরা শত শত মুসলিমকে হত্যা করে এবং নারি ও শিশুদের বন্দী করে। তৎকালীন আব্বাসিয় খলীফা মু’তাসিম বিল্লাহর কাছে এ সংসব পৌছার সাথে সাথে এক মুসলিমা নারীর ইতিহাসখ্যাত সেই আর্তচিৎকারের সংবাদটিও পৌঁছে। যেখানে বলা হয় রোমান সৈন্যরা ঐ নারীকে টেনেহিচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় সে “ওয়া মু’তাসিমাহ!” তথা ও মু’তাসিম বলে চিৎকার করে কাঁদছিল। এ সংবাদ শুনে “লাব্বাইকি ইয়া উখতাহ” তথা আমি হাজির হে বোন আমার! বলে ক্রুদ্ধ হয়ে খলীফা মু’তাসিম তৎক্ষণাৎ সিংহাসন থেকে উঠে অশ্বে আরোহণ করলেন। রন দামামা বাজিয়ে তৎক্ষণাৎ বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন। খলীফা মু’তাসিম পৌছার পূর্বেই রোমানরা পালিয়ে যায়, ফলে তিনি সেখানে পৌঁছে সেখানকার অধিবাসীদের সান্ত্বনা দেন এবং জানতে চান রোমানদের সবচেয়ে দুর্ভেদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ নগরী কোনটি। জবাবে আমুরিয়া শহরের কথা জানতে পেরে প্রতিশোধস্বরূপ ২২৩ হিঃ এর রমযান মাসে তিনি সেখানে আক্রমণ চালান। এসময় রাগে-ক্ষোভে তিনি পুরো নগরীটিকে ধূলিসাৎ করে ফেলেন। রোম সম্রাট নাওফিল পলায়ন করে কনস্টান্টিনোপলে চলে যায়। সুবহানআল্লাহ! এক অসহায় মুসলিম নারীর ক্রন্দন শুনে সমৃদ্ধশালী রোমান নগরীটিকেই ধূলিসাৎ করে ফেলা খলীফা মু’তাসিম বিল্লাহ কোথায় আর কোথায় আজকের নপুংশুক কাপুরুষ শাসকরা!! প্রতিনিয়ত সিরিয়া-ফিলিস্তিন, আরাকান কাশ্মীরের নিপেড়িত মানবাত্মার ক্রন্দন যাদের হৃদয়ে এতোটুকু নাড়া দেয় না। পবিত্র কুদসের ভুমিও যখন জায়নবাদী থাবায় জর্জরিত, তখনও নির্বাক বসে আছে!