কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘের উত্তরপাড় পূজা মন্ডপে প্রকাশ্যে কুরআনে কারিমকে মূর্তির পায়ে রেখে অসম্মান করা হয়েছে এটাকে কেন্দ্র করে এলাকায় সাধারণ জনতার ক্ষোভ বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে কুমিল্লা জেলার এসপি, ডিসি, পূজা কমিটি ও উলামায়ে কেরাম বৈঠকে বসে। বৈঠকে পূজা কমিটিও এতে সম্মত হয় যে এই ঘটনার কারনে অন্তত এই বছর পূজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে কয়েকজন চাচ্ছে পূজা স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যেতে।

অন্যদিকে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। বেলা যতই বাড়ছে— সাধারন মানুষের সমাগম ততই বাড়তেছিল। অবশেষে পূজা মন্ডপ এরিয়ার চতুর্দিকে সহস্রাধিক জনতা জড়ো হয়ে যায়৷ এত বড় অপরাধের পর ও পূজা বন্ধ না করে চালিয়ে যাবার ধৃষ্টতা দেখাতে চায় প্রশাসনের কতিপয় লোকজন। সেখানে থাকা উলামায়ে কেরাম সাধারণ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন।

পূজা বন্ধ না করে চালিয়ে যাবার কারনে সাধারণ জনতার উত্তেজনা বাড়তে থাকে। অবশেষে সেখানে পুলিশ গুলাগুলি করে। পুলিশের গুলিতে অনেক সাধারণ জনতা আহত হয়েছে।

কুরআনে কারিমের অপমান করে এতবড় কান্ড ঘটানোর পর ও পূজা মন্ডপের পূজা বন্ধ না করে অন্যদিকে ক্ষোভরত জনতার উপর এই হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। আজকে যদি কোনো মাসজিদে নিয়ে মন্দির পোড়া হতো তাহলে সেই মাসজিদ কমিটির ১৪ গুষ্টির জেল হতো। আদৌ সেই মাসজিদে নামাজ পড়ার অনুমতি হতো কিনা সেটা সন্দেহ।

image