হযরত উমর (রাঃ) এর অনুতাপ। (গল্প)

হযরত উমর (রাঃ) এর অনুতাপ। (গল্প)সারাক্ষণ তিনি ব্যস্ত থাকেন। তিনি ব্যস্ত থাকেন সাধারণ মানুষের জন্য। দেশের জন্য। জাতির জন্য। নিজের জন্য ব্যস্ত হওয়ার সুযোগ তাঁর নেই। নিজের দিকে, নিজের পরিবারের সুখ-শান্তির দিকে চোখ উঠিয়ে তাকানোর সময়ই তো তিনি পাননা। খলীফা হওয়ার পর থেকে তাঁর একদন্ড ফুরসৎ নেই।তিনি খলিফা উমর (রাঃ) ।খলীফা উমর (রাঃ) সাধারণ মানুষের খুব কাছের মানুষ। দরকার পড়লেই মানুষ খলীফার দুয়ারে হাজির হয়। খলীফা কান পেতে মানুষের কথা শুনেন। কারো প্রতি বিরক্ত হন না। কাউকে ফিরিয়ে দেন না। সাধারণ মানুষের কথাবার্তা শোনার জন্য তিনি রীতিমত সময় ঠিক করে রেখেছেন।নির্ধারিত সময়ে দেশবাসী মুসলমানদের দুঃখের কথা, দরকারের কথা, অভাব-অভিযোগের কথা শুনে খলীফা নিরব বসে থাকেন না। তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। প্রয়োজনীয় হুকুম জারি করেন। কাউকে শাস্তি দিতে হলে শাস্তি দেন। কারো অভাব থাকলে বায়তুল মাল থেকে তাঁর হাতে খাবার তুলে দেন। কাউকে সান্ত্বনা দিতে হলে খলীফা নিজেই তাঁকে সান্ত্বনা দেন।রাতের অন্ধকারেও পথে পথে ঘুরেন খলীফা। নিরবে নিভৃত্বে দেশবাসির খোঁজ খবর নেন। আর ভাবেন, কেউ কি অভাবী রয়ে গেলো?কেউ কি কষ্টের মধ্যে দিন কাটালো? কারো প্রতি কোন অবিচার কি হয়ে গেলো? তাহলে তো দেশের যিম্মাদার হিসাবে আমি কাল কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে পারবো না।খলীফা একদিন এক জরুরী কাজে ব্যস্ত। খুব মনোযোগের সাথে সেই কাজটি করে যাচ্ছেন। অন্য কোন দিকে চোখ ফেলতে পারছেন না। হঠাৎ একলোক খলীফার সামনে এসে হাজির।খলীফা যে তখন কত ব্যস্ত, লোকটি তা খেয়ালই করলো না। সময় সুযোগ বুঝে কাজ করা দরকার, লোকটি তাও বুঝলো না। খলীফার কাজে বাঁধা দিয়েই লোকটি বলতে লাগলো—আমার কথা শুনুন খলীফা! অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম করেছে। তাঁর নামে আমি আপনার কাছে বিচার দিতে এসেছি। তাঁর জুলুমের বিচার চাই। ঘুম থেকে হঠাৎ কাউকে জাগিয়ে দিলে সে প্রচন্ড বিরক্ত হয়। ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে এসে কাউকে বাঁধা দিলেও তারও মাথা গরম হয়ে যায়। খলীফা সাংঘাতিক রেগে গেলেন। কারো অভিযোগ শোনার জন্য এখন তিনি বিলকুল প্রস্তুত ছিলেন না।রাগে খলীফার মুখ লাল হয়ে গেলেন। ভাবলেন, এতো আস্ত মূর্খ। সময়জ্ঞান বলতে নেই। আদব-লেহাজও শিখেনি। একে কিছুটা শিক্ষা দেয়া দরকার। খলীফা রাগী চোখে লোকটির দিকে তাকালেন। তারপর বললেন, তুমি কি জাননা, অভিযোগ শোনার জন্য আমি নির্দিষ্ট সময়ে অপেক্ষা করি? তখন আসলে না কেন? যখন অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই, তখন এসে তুমি বিচার চাও!খলীফার কণ্ঠ থেকে যেন আগুনের টুকরা ঝরে পড়ছিলো। কথাটা শেষ করেই খলীফা পাশে রেখে দেয়া দোররাটা হাতে নিলেন এবং শপাং করে লোকটির গায়ে একটি আঘাত করলেন।লোকটি তাঁর অভিযোগ পেশ করার পরই বুঝেছিলো সে ভুল করে ফেলেছে। খলীফা চেহারা তাঁর ধারণা আরো পোক্ত হয়ে গিয়েছিলো। এরপর যখন খলীফা তাঁর গায়ে দোররার আঘাত করলেন, তখন সে পরিষ্কার বুঝে গেলো, আজ তাঁর বিচার পাওয়া যাবে না।দোররার আঘাত গায়ে নিয়ে লোকটি খলীফার দরবার থেকে পথে নেমে পড়লো। লোকটির চোখ-মুখ তখন বড় বিষণ্ন।এদিকে লোকটি যেই বিদায় নিলো, অমনি খলীফা অস্থির হয়ে গেলেন। একটু আগেই তিনি রেগে গিয়েছিলেন। এখন যেন তিনি লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যাচ্ছেন। খলীফা মনে মনে ভাবলেন, একী করলেন তিনি! একজন ফরিয়াদীকে আঘাত করে ফিরিয়ে দিলেন? আল্লাহর কাছে তিনি কি জবাব দিবেন?সঙ্গে সঙ্গে লোক পাঠালেন। খলীফা হুকুম করে দিলেন লোকটিকে ধরে আনার জন্য।কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই লোকটিই আবারো খলীফার সামনে হাজির করা হলো। না জানি খলীফা ফের কোন শাস্তি দেন, এই ভয়ে লোকটি দারুণ ভীত হয়ে পড়েছিলো। কিন্তু খলীফার মুখের দিকে তাকিয়ে লোকটির ভয় কেটের গেলো। সে দেখলো, খলীফার মুখে রাগের কোন চিহ্ন নেই, ক্রোধের কোন ছাপ নেই। সে মুখে এখন অনুতাপের ছায়া। লজ্জা আর অনুশোচনাত চিহ্ন!খলীফা লোকটির হাতে দোররাটি তুলে দিলেন! তাঁর পর অর্ধ দুনিয়ার শাসক খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত ওমর (রাঃ) কান্নাভেজা কণ্ঠে বললেন—ভাই’ আমি তোমার উপর অবিচার করে ফেলেছি। মস্তবড় অপরাধ করেছি তোমাকে আঘাত করে। এখন তুমি এই দোররা দিয়ে আমার গায়ে আঘাত করো। প্রতিশোধ গ্রহণ করো।লোকটির তো আপাদ-মস্তক চমকে গেলো! খলীফার গায়ে আঘাত করে প্রতিশোধ নিতে বলছেন খলীফা নিজেই! একী হতে পারে! আমাদের নেতা! আমাদের কল্যাণ কামী। আমাদের মঙ্গলাকাঙ্খী। আমাদের জন্যই তো তাঁর জীবনটা তিনি বিলিয়ে দিচ্ছেন। তাঁকে আঘাত করে প্রতিশোধ নিতে পারি!মনের দিক থেকে লোকটি খলীফার প্রতি অনেক বেশি দুর্বল হয়ে গেলো। খলীফার এই আচরণে মুগ্ধ হয়ে প্রায় কেঁদে ফেললো। বললো, আমীরুল মুমেনীন! আল্লাহর ওয়াস্তে আমি আপনাকে মাফ করে দিলাম। প্রতিশোধ গ্রহণের আমাত কোন প্রয়োজন নেই।খলীফা সসম্মানে লোকটিকে বিদায় দিলেন।আল্লাহর ভয়ে খলীফার হৃদয় তখনো কাঁপছে। তিনি তাঁর ঘরে এসে দু’রাকাত নামায পড়লেন। তারপর অশ্রুসজল চোখে নিজের অনুশোচনার জন্যে দীর্ঘক্ষণ বসে রইলেন। বসে বসে নিজেকেই নিজে ভর্ৎসনা করলেন—হে উমর! তুমি তো অধঃপতিত ছিলে, আল্লাহ তোমাকে উন্নত করেছেন। তুমি তো পথ হারা ছিলে, আল্লাহ তোমাকে হেদায়েতের পথ দেখিয়েছেন। তুমি তো নগ্ণ্য ছিলে, আল্লাহ তোমাকে সম্মানিত করেছেন। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তোমাকে দুনিয়ার মুসলমানদের বাদশাহ বানিয়েছেন। আজ তোমার কাছে এক নির্যাতিতলোক এসে জুলুমের প্রতিকার চাইলে তুমি তাঁকে আঘাত করে বসলে? আগামীকাল কেয়ামতের ময়দানে তোমার প্রতিপালক আল্লাহর সামনে তুমি কি জবাব দিবে? নিজেকে নিজে ধমকালেন। নিজেকে নিজে ভর্ৎসনা করলেন। আল্লাহর ভয়ে দীর্ঘক্ষণ খলীফা উমর (রাঃ) অশ্রুর স্রোতে ভাসতে লাগলেন।আপনি পড়ছেনঃ সাহাবায়ে কেরামের গল্প বই থেকে।বই থেকে এরপরের গল্পঃ ভয়#গল্প টি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে পড়ার সুযোগ দিন।
LinkedIn
Pinterestসারাক্ষণ তিনি ব্যস্ত থাকেন। তিনি ব্যস্ত থাকেন সাধারণ মানুষের জন্য। দেশের জন্য। জাতির জন্য। নিজের জন্য ব্যস্ত হওয়ার সুযোগ তাঁর নেই। নিজের দিকে, নিজের পরিবারের সুখ-শান্তির দিকে চোখ উঠিয়ে তাকানোর সময়ই তো তিনি পাননা। খলীফা হওয়ার পর থেকে তাঁর একদন্ড ফুরসৎ নেই।
তিনি খলিফা উমর (রাঃ) ।

খলীফা উমর (রাঃ) সাধারণ মানুষের খুব কাছের মানুষ। দরকার পড়লেই মানুষ খলীফার দুয়ারে হাজির হয়। খলীফা কান পেতে মানুষের কথা শুনেন। কারো প্রতি বিরক্ত হন না। কাউকে ফিরিয়ে দেন না। সাধারণ মানুষের কথাবার্তা শোনার জন্য তিনি রীতিমত সময় ঠিক করে রেখেছেন।

নির্ধারিত সময়ে দেশবাসী মুসলমানদের দুঃখের কথা, দরকারের কথা, অভাব-অভিযোগের কথা শুনে খলীফা নিরব বসে থাকেন না। তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। প্রয়োজনীয় হুকুম জারি করেন। কাউকে শাস্তি দিতে হলে শাস্তি দেন। কারো অভাব থাকলে বায়তুল মাল থেকে তাঁর হাতে খাবার তুলে দেন। কাউকে সান্ত্বনা দিতে হলে খলীফা নিজেই তাঁকে সান্ত্বনা দেন।

রাতের অন্ধকারেও পথে পথে ঘুরেন খলীফা। নিরবে নিভৃত্বে দেশবাসির খোঁজ খবর নেন। আর ভাবেন, কেউ কি অভাবী রয়ে গেলো?

কেউ কি কষ্টের মধ্যে দিন কাটালো? কারো প্রতি কোন অবিচার কি হয়ে গেলো? তাহলে তো দেশের যিম্মাদার হিসাবে আমি কাল কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে পারবো না।

খলীফা একদিন এক জরুরী কাজে ব্যস্ত। খুব মনোযোগের সাথে সেই কাজটি করে যাচ্ছেন। অন্য কোন দিকে চোখ ফেলতে পারছেন না। হঠাৎ একলোক খলীফার সামনে এসে হাজির।

খলীফা যে তখন কত ব্যস্ত, লোকটি তা খেয়ালই করলো না। সময় সুযোগ বুঝে কাজ করা দরকার, লোকটি তাও বুঝলো না। খলীফার কাজে বাঁধা দিয়েই লোকটি বলতে লাগলো—আমার কথা শুনুন খলীফা! অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম করেছে। তাঁর নামে আমি আপনার কাছে বিচার দিতে এসেছি। তাঁর জুলুমের বিচার চাই।

ঘুম থেকে হঠাৎ কাউকে জাগিয়ে দিলে সে প্রচন্ড বিরক্ত হয়। ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে এসে কাউকে বাঁধা দিলেও তারও মাথা গরম হয়ে যায়। খলীফা সাংঘাতিক রেগে গেলেন। কারো অভিযোগ শোনার জন্য এখন তিনি বিলকুল প্রস্তুত ছিলেন না।

রাগে খলীফার মুখ লাল হয়ে গেলেন। ভাবলেন, এতো আস্ত মূর্খ। সময়জ্ঞান বলতে নেই। আদব-লেহাজও শিখেনি। একে কিছুটা শিক্ষা দেয়া দরকার। খলীফা রাগী চোখে লোকটির দিকে তাকালেন। তারপর বললেন, তুমি কি জাননা, অভিযোগ শোনার জন্য আমি নির্দিষ্ট সময়ে অপেক্ষা করি? তখন আসলে না কেন? যখন অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই, তখন এসে তুমি বিচার চাও!

খলীফার কণ্ঠ থেকে যেন আগুনের টুকরা ঝরে পড়ছিলো। কথাটা শেষ করেই খলীফা পাশে রেখে দেয়া দোররাটা হাতে নিলেন এবং শপাং করে লোকটির গায়ে একটি আঘাত করলেন।

লোকটি তাঁর অভিযোগ পেশ করার পরই বুঝেছিলো সে ভুল করে ফেলেছে। খলীফা চেহারা তাঁর ধারণা আরো পোক্ত হয়ে গিয়েছিলো। এরপর যখন খলীফা তাঁর গায়ে দোররার আঘাত করলেন, তখন সে পরিষ্কার বুঝে গেলো, আজ তাঁর বিচার পাওয়া যাবে না।

দোররার আঘাত গায়ে নিয়ে লোকটি খলীফার দরবার থেকে পথে নেমে পড়লো। লোকটির চোখ-মুখ তখন বড় বিষণ্ন।

এদিকে লোকটি যেই বিদায় নিলো, অমনি খলীফা অস্থির হয়ে গেলেন। একটু আগেই তিনি রেগে গিয়েছিলেন। এখন যেন তিনি লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যাচ্ছেন। খলীফা মনে মনে ভাবলেন, একী করলেন তিনি! একজন ফরিয়াদীকে আঘাত করে ফিরিয়ে দিলেন? আল্লাহর কাছে তিনি কি জবাব দিবেন?

সঙ্গে সঙ্গে লোক পাঠালেন। খলীফা হুকুম করে দিলেন লোকটিকে ধরে আনার জন্য।

কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই লোকটিই আবারো খলীফার সামনে হাজির করা হলো। না জানি খলীফা ফের কোন শাস্তি দেন, এই ভয়ে লোকটি দারুণ ভীত হয়ে পড়েছিলো। কিন্তু খলীফার মুখের দিকে তাকিয়ে লোকটির ভয় কেটের গেলো। সে দেখলো, খলীফার মুখে রাগের কোন চিহ্ন নেই, ক্রোধের কোন ছাপ নেই। সে মুখে এখন অনুতাপের ছায়া। লজ্জা আর অনুশোচনাত চিহ্ন!

খলীফা লোকটির হাতে দোররাটি তুলে দিলেন! তাঁর পর অর্ধ দুনিয়ার শাসক খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত ওমর (রাঃ) কান্নাভেজা কণ্ঠে বললেন—ভাই’ আমি তোমার উপর অবিচার করে ফেলেছি। মস্তবড় অপরাধ করেছি তোমাকে আঘাত করে। এখন তুমি এই দোররা দিয়ে আমার গায়ে আঘাত করো। প্রতিশোধ গ্রহণ করো।

লোকটির তো আপাদ-মস্তক চমকে গেলো! খলীফার গায়ে আঘাত করে প্রতিশোধ নিতে বলছেন খলীফা নিজেই! একী হতে পারে! আমাদের নেতা! আমাদের কল্যাণ কামী। আমাদের মঙ্গলাকাঙ্খী। আমাদের জন্যই তো তাঁর জীবনটা তিনি বিলিয়ে দিচ্ছেন। তাঁকে আঘাত করে প্রতিশোধ নিতে পারি!

মনের দিক থেকে লোকটি খলীফার প্রতি অনেক বেশি দুর্বল হয়ে গেলো। খলীফার এই আচরণে মুগ্ধ হয়ে প্রায় কেঁদে ফেললো। বললো, আমীরুল মুমেনীন! আল্লাহর ওয়াস্তে আমি আপনাকে মাফ করে দিলাম। প্রতিশোধ গ্রহণের আমাত কোন প্রয়োজন নেই।

খলীফা সসম্মানে লোকটিকে বিদায় দিলেন।

আল্লাহর ভয়ে খলীফার হৃদয় তখনো কাঁপছে। তিনি তাঁর ঘরে এসে দু’রাকাত নামায পড়লেন। তারপর অশ্রুসজল চোখে নিজের অনুশোচনার জন্যে দীর্ঘক্ষণ বসে রইলেন। বসে বসে নিজেকেই নিজে ভর্ৎসনা করলেন—হে উমর! তুমি তো অধঃপতিত ছিলে, আল্লাহ তোমাকে উন্নত করেছেন। তুমি তো পথ হারা ছিলে, আল্লাহ তোমাকে হেদায়েতের পথ দেখিয়েছেন। তুমি তো নগ্ণ্য ছিলে, আল্লাহ তোমাকে সম্মানিত করেছেন। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তোমাকে দুনিয়ার মুসলমানদের বাদশাহ বানিয়েছেন। আজ তোমার কাছে এক নির্যাতিতলোক এসে জুলুমের প্রতিকার চাইলে তুমি তাঁকে আঘাত করে বসলে? আগামীকাল কেয়ামতের ময়দানে তোমার প্রতিপালক আল্লাহর সামনে তুমি কি জবাব দিবে?

নিজেকে নিজে ধমকালেন। নিজেকে নিজে ভর্ৎসনা করলেন। আল্লাহর ভয়ে দীর্ঘক্ষণ খলীফা উমর (রাঃ) অশ্রুর স্রোতে ভাসতে লাগলেন।

আপনি পড়ছেনঃ সাহাবায়ে কেরামের গল্প বই থেকে।

বই থেকে এরপরের গল্পঃ ভয়

#গল্প টি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে পড়ার সুযোগ দিন।