জ্যাক মা পৃথিবীর অন্যতম বড় অনলাইনভিত্তিক কোম্পানি আলিবাবা ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসেবে জ্যাক মা পৃথিবীর ৩৩ তম শীর্ষ ধনী, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২১.৬ বিলিয়ন ডলার। পৃথিবীজুড়ে মানুষ তাকে চেনে তার অটল সংকল্পের কারণে। বারবার ব্যর্থতা আর প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হয়েও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি, অসম্ভব সব প্রতিকূলতার মোকাবিলা করে পৌঁছেছেন সাফল্যের শিখরে।
বিশ্বকে জানার আগ্রহ
জ্যাক মা শৈশবে ছিলেন লিকলিকে শরীরের অধিকারী, পড়ালেখায় কখনোই খুব ভাল ছিলেন না। স্কুলে তাঁর সহপাঠীদের সাথে প্রায়ই মারামারিতে জড়িয়ে পড়তেন। কিন্তু একটি জিনিসে তার দারুণ আগ্রহ ছিলো।
জ্যাক মা ১২-১৩ বছর বয়স থেকেই ইংরেজি শেখা শুরু করেন। চীনে তখন ইংরেজি শেখার সুযোগ ছিল না, ইংরেজিতে কোন বইও পাওয়া যেত না। হোটেলে বিদেশি পর্যটকরা আসতেন, তিনি সেখানে গিয়ে বিনে পয়সায় পর্যটকদের গাইডের কাজ করতেন। কৈশোরে টানা নয় বছর তিনি এই কাজ করে গেছেন।
এর ফলে তার দুটো অমূল্য শিক্ষা লাভ হয়েছিল- বিদেশিদের সাথে থেকে তিনি পশ্চিমা ঢঙে চোস্ত ইংরেজি বলা রপ্ত করেছিলেন, এবং তাদের নানা অভিজ্ঞতা, তাদের সাথে ঘোরাফেরা জ্যাক মা’র মনকে অনেক বড় করে দিয়েছিল, সীমিত গণ্ডির বাইরে গিয়ে সুদূরপ্রসারী স্বপ্ন দেখতে শিখেছিলেন।
স্কুল আর গুরুজনদের গতানুগতিক শিক্ষার সাথে পর্যটকদের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার বিস্তর ফারাক। তাই জ্যাক মা কৈশোরেই নিজের জন্য ভিন্ন এক অভ্যাস গড়ে তুলেন- যেটাই পড়তেন, দেখতেন, শুনতেন- সেটা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতেন।
পদে পদে ব্যর্থতা
জ্যাক মার উত্থানের গল্প রূপকথাকেও যেন হার মানায়।
প্রাইমারি স্কুলে পরীক্ষার সময় তিনি দু’বার ফেল করেছিলেন। মাধ্যমিক স্কুলেও তিনবার ফেল করেন। তার শহর হাংজুতে মাত্র একটি মাধ্যমিক স্কুল ছিল। ছাত্রদের মান অনেক খারাপ ছিলো দেখে সেখানকার প্রাথমিক স্কুল থেকে পড়া কাউকে মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি করতে চাইত না কেউ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপরীক্ষায়ও তিনি তিনবার ফেল করেছিলেন! শিক্ষাজীবনে আরও অনেকবার ফেল করেছেন তিনি। জ্যাক মা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, “এতবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে, ফেল করে কিন্তু বেশ উপকারই হয়েছিল আমার!”
পড়ালেখার পাট চুকলো। এবার কর্মজীবনে প্রবেশের পালা, সেখানেও পদে পদে বিপত্তি! বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে তিনি চাকরির জন্য চেষ্টা করেছিলেন। সেখানে বিভিন্ন চাকরির আবেদনে তাকে ৩০ বারেরও বেশি প্রত্যাখ্যাত হতে হয়!
যখন চীনে প্রথম কেএফসি আসে, তখন ২৪ জন চাকরির জন্য আবেদন করেন। তাদের মাঝে ২৩ জনই চাকরির সুযোগ পান। শুধু একজন বাদ পড়েন, সেই মানুষটি হচ্ছেন জ্যাক মা! এমনও ঘটেছে, পাঁচজন মানুষের মধ্যে চারজনেরই চাকরি হয়েছে, ব্যর্থ মনোরথে ফিরতে হয়েছে শুধু তাকে। কৈশোর, তারুণ্যজুড়ে চারপাশ থেকে কেবল প্রত্যাখ্যানের পর প্রত্যাখ্যানই দেখেছেন তিনি।
স্বপ্নের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি, যথারীতি সেখানেও তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়! একবার-দু’বার নয়, টানা দশবার ভর্তির আবেদন করেছেন তিনি, আর প্রতিবারেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন!
হার্ভার্ডের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেলে নিজের দেশেই কোথাও উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হতে মনস্থির করলেন তিনি। এখানেও করুণ দশা- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবার গণিতে তিনি ১ পেয়েছিলেন!
তিনবার পরীক্ষা দিয়েও ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাননি। শেষ পর্যন্ত যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন- হ্যাংঝোউ নরমাল ইউনিভার্সিটি, সেটিকে তখন ‘চতুর্থ শ্রেণির’ বিশ্ববিদ্যালয় ধরা হতো। কিন্তু জ্যাক মা পেছন ফিরে তাকাতে গিয়ে অনুভব করেন, হ্যাংঝোউ তার কাছে হার্ভার্ডের চেয়েও বড়!
ইন্টারনেটের সাথে পরিচয়
ইংরেজিতে দক্ষতার সুবাদে তিনি একটি স্থানীয় কলেজে বছর পাঁচেক ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেন। তখন তাঁর বেতন ছিল মাসে ১৫ ডলার। এ সময়ে তিনি স্থানীয় কেএফসি, হোটেল এবং পুলিশে চাকরির আবেদন করেন এবং সবখানে অকৃতকার্য হন!
সবখানে পরাজিত হয়ে বেপরোয়া জ্যাক মা এবার সিদ্ধান্ত নিলেন ব্যবসা করবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি একটি অনুবাদ প্রতিষ্ঠান চালু করেন, কিন্তু তাতে তাঁর আর্থিক অবস্থার কোন উন্নতি হলো না! সংসারের খরচ চালাতে তখনো তাকে রাস্তায় মাল টানাটানির কাজে শ্রম দিতে হলো।
কিন্তু অনুবাদক হিসেবে কাজ করার সুবাদে তিনি অসাধারণ একটি সুযোগ পেলেন, যেটি তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় চিরদিনের জন্য। ১৯৯৫ সালে একটি চীনা প্রতিষ্ঠানের অনুবাদক হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করার সুযোগ পান।
সেই সফরেই তার প্রথম ইন্টারনেটের সাথে পরিচয় ঘটে। ইন্টারনেটের গতি ছিল তখন ভীষণ ধীর। জ্যাক মা’র এক বন্ধু তাকে কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেয়। তিনি ভয়ে কম্পিউটার স্পর্শই করেননি সেদিন! কারণ চীনে তখন কম্পিউটারের দাম ছিল আকাশছোঁয়া, নষ্ট হয়ে গেলে তখন দাম দিতে পারতেন না তিনি।
কিন্তু বন্ধুর উৎসাহে ভরসা পেলেন, কাঁপা কাঁপা হাতে ইন্টারনেটে প্রথম সার্চ করেন। ইতিহাস বদলে দেওয়া একটি মুহূর্তের সূচনা ঘটে এভাবেই।
ব্যবসার আইডিয়া
জ্যাক মা ইন্টারনেট চালাতে গিয়ে লক্ষ্য করলেন “China” বা “Beer” এ দুটি শব্দ কোন অনলাইন তালিকাতে নেই। ব্যাপারটি তাকে ভাবিয়ে তোলে। সফর শেষে চীনে ফিরে এসে তিনি একটি লিস্টিং সাইট চালু করলেন। পরে তিনি সেটি সরকারের কাছে বিক্রি করে দেন।
এরপর কিছুদিন তিনি চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তারপর চাকরি ছেড়ে তিনি হুয়াং ঝুতে ফিরে এসে তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজে নেমে পড়েন।
“আলিবাবা”র জন্ম
জ্যাক মা ইন্টারনেটভিত্তিক একটা ব্যবসা গড়ে তোলার চেষ্টা শুরু করেন। তিনি পরিচিত অনেক মানুষকে জিজ্ঞেস করেন, আলিবাবাকে তারা চিনে নাকি? সবাই বললো ‘হ্যাঁ’!’ ‘আলিবাবা ও ৪০ চোর’ গল্পের কারণে সবাই আলিবাবাকে চিনে। তাই তিনি নিজের কোম্পানির জন্য এই নামই গ্রহণ করেন।
নাম তো ঠিক হলো, কিন্তু ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন জোগাড় হবে কিভাবে? তিনি ব্যবসায় অংশীদারীর জন্য তার ২৪ জন বন্ধুকে বাসায় নিমন্ত্রণ করলেন। ঝাড়া দুই ঘণ্টা তার আইডিয়া সবাইকে বোঝানোর পর তিনি আবিষ্কার করলেন তার আইডিয়ার বিন্দুবিসর্গ কিছুই বোঝেনি কেউ! ২৪ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন জ্যাক মা’র পাশে থাকতে রাজি হলো।
এতে দমে গেলেন না তিনি, বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে মানুষজন জোগাড় করলেন। ১৮ জন সহপ্রতিষ্ঠাতাকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসায় আলিবাবার যাত্রা শুরু হলো। সেদিন তিনি সবাইকে খুব পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন, “আমরা যদি সফল হই, তার মানে হলো চীনের শতকরা ৮০ ভাগ তরুণের পক্ষেই সফল হওয়া সম্ভব!”
কারণ তারা সফল হবেন এটা কল্পনা করাও ছিল কষ্টসাধ্য। কেউ তাদের পেছনে বিনিয়োগ করেনি। না ছিল ক্ষমতা, না ছিল উপরমহলে যোগাযোগ, না কোনো সামাজিক অবস্থান। সম্বল বলতে তেমন কিছুই ছিল না। তারা ১৮ জন ৫ লাখ আরএমবি করে বিনিয়োগ করেছিলেন।
সিদ্ধান্ত হয়েছিল অন্তত ১২ মাস এই টাকায় ব্যবসাটা চালিয়ে নেবে। এর মধ্যে যদি কিছু আয় হয়, তবে ব্যবসা চলবে। নতুবা অন্য কিছু ভাবতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখানেও পিছু ছাড়লো না, আট মাসের মাথায়ই তাদের সব অর্থ ফুরিয়ে গেলো! জ্যাক মা পড়লেন অথৈ সাগরে, তাদের নিয়ে কারও কোনো আশা আর ছিল না।
যদি লক্ষ্য থাকে অটুট
আলিবাবায় ১৮ জন মানুষ শুধু এটাই ঠিক করেছিলেন, তারা আপন বিশ্বাসে অটল থাকবেন, চড়াই-উতরাইগুলো একসঙ্গে পাড়ি দেবেন। বারবার ব্যর্থতার মুখে তাদের কোন স্বপ্ন বা কল্পনা ছিল না, ছিল শুধু একবুক আশা।
আলিবাবাতে তারা একটি বি-টু-বি প্ল্যাটফর্ম চালু করেন যেখানে চীনের রপ্তানিকারকরা তাদের পণ্যের তালিকা দিতে পারবে। সেই তালিকা দেখে যেন বিদেশী ক্রেতারা এসব পণ্য ক্রয় করতে পারে।
"জ্যাক মা বুঝতে পারেন সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ"
এদিকে চীনের অর্থনীতিতে তখন পরিবর্তনের ঢেউ লেগেছে। ইন্টারনেট চীনে তখন একটু একটু করে পরিচিতি লাভ করা শুরু করেছে। সে সময়ে চীনে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসাগুলোর জন্যে ঋণ যোগাড় করা ছিল কঠিন কাজ, এবং তাদেরকে বড় বড় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হতো। আলিবাবার আগমন এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর দুঃসহ অবস্থা রাতারাতি বদলে দেয়!
ধূমকেতুর বেগে উত্থান
রাতারাতি আলিবাবা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগল। ১৯৯৯ সালে আলিবাবা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় গোল্ডম্যান স্যাক্স থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার এবং সফটব্যাঙ্ক থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পায়। জ্যাক মা বুঝতে পারেন সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
২০০৫ সালে ইয়াহু আলিবাবার থেকে ১ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ৪০% শেয়ার কিনে নেয়। এটা ছিল আলিবাবার জন্যে বিশাল অর্জন। চীনের অনলাইনভিত্তিক কেনাবেচার বাজারে আলিবাবার সাথে তখন ই-বে এর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এ বিনিয়োগের ফলে আলিবাবা ও ইয়াহু দু’পক্ষই দারুণভাবে লাভবান হয়।
২০১৩ সালে জ্যাক মা আলিবাবার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে সরে নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। সে বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে আলিবাবা’র প্রাথমিক গণ প্রস্তাবনা ছাড়া হয়, আলিবাবার এ অবিস্মরণীয় সাফল্যে জ্যাক মা বলেন, “আজ আমরা মানুষের টাকা নয়, তাদের বিশ্বাস অর্জন করেছি!”
“আলিবাবা”র সাফল্যের রহস্য
আলিবাবার সাফল্যের অন্যতম প্রধান কারণ জ্যাক মা এর ব্যক্তিত্ব। তিনি সবসময়ই মেধাবী ও পরিশ্রমী ব্যক্তিদের পছন্দ করেন এবং তাদের সাহায্য করে থাকেন। তাই আলিবাবার পরিবেশ এবং তাঁর আচরণ স্বভাবতই মেধাবীদেরকে দারুণ আকর্ষণ করে।
তিনি তার কর্মচারীদের বলেন তাদের অর্জিত সম্পদ মানবকল্যাণে ব্যয় করার জন্য। তাদের কাজ মানুষের জীবন বদলে দেবে এমনটিই তিনি আশা করেন সবার কাছ থেকে।
আলিবাবা’র সাফল্যের আরেকটি প্রধাণ কারণ প্রতিষ্ঠানটিতে বিপুল পরিমাণ নারী কর্মী কাজ করেন। শুধু আলিবাবাতেই ৪৭ শতাংশ কর্মী হচ্ছেন নারী, এছাড়া তাদের সব অফিস মিলিয়ে ৫৩ শতাংশ কর্মী নারী। আলিবাবার ম্যানেজমেন্টে ৩৩ শতাংশ হচ্ছেন নারী, আরও উচ্চপর্যায়ে নানা পদে আছেন ২৪ শতাংশ।
জ্যাক মা’র দর্শন হচ্ছে, নিজে জিততে চাইলে অন্যকেও স্বাবলম্বী করতে হবে। নারী-পুরুষ সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা যদি অন্যের অবস্থার উন্নতি করতে পারি তবেই সাফল্য আসবে।
আরেকটি বড় কারণ রয়েছে সাফল্যের সূত্র হিসেবে, সেটি হচ্ছে বিশ্বাস। শুরু থেকেই জ্যাক মা অনলাইনে বিশ্বাসের একটি জায়গা তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
স্বভাবতই আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে মানুষ একে অন্যকে কম বিশ্বাস করে। এমনই পরিস্থিতিতে আলিবাবা প্রতিদিন ৬ কোটি বার লেনদেন করে থাকে! অনলাইনে মানুষ কেউ কাউকে সামনাসামনি দেখে না, চেনে না।
জ্যাক মা বলেন, “আমি আপনাকে চিনি না, কিন্তু আপনাকে পণ্য পাঠাই। আপনিও আমাকে চিনেন না, কিন্তু টাকা ঠিকই পরিশোধ করেন। আমরা এখানে বিশ্বাসের জায়গাটা বড় করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি।”
শেষকথা
চীনের আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে বিশাল প্রভাবের পেছনে চালিকাশক্তি হিসেবে রয়েছেন সেদেশের তরুণেরা। চীনের শতকরা ৮০ ভাগ তরুণ সফল হয়েছেন কেবল তাদের কাজের গুণে। তারা অঢেল সম্পদের মাঝে বেড়ে উঠেননি, নেই কোন ব্যাংকের লোন; শুধু পরিশ্রম করে, নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই তাদের জীবনে সাফল্য এসেছে।
জ্যাক মা বলেন, “তোমার যদি কোনো স্বপ্ন থাকে, নিজেকে জিজ্ঞেস করো তুমি সেই স্বপ্ন পূরণে অটল কিনা, তোমার লক্ষ্য পূরণে তুমি আরও একদল মানুষকে আমন্ত্রণ জানাবে কিনা। হাল ছেড়ে দেওয়া খুব সহজ, পরিবার-সমাজ-আর্থিক প্রতিকূলতার দোহাই দেওয়া খুব সহজ।
কিন্তু লক্ষ্য অটুট থাকলে, আর সেটার পেছনে দিনরাত পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকলে পৃথিবীর কারো সাধ্য নেই তোমাকে আটকে রাখার! তাই অজুহাত দেওয়া বন্ধ করো, কাজে নেমে পড়ো, এই মুহূর্তেই, আজ থেকেই!”