Back To Blogs | My Blogs | Create Blogs

ছুটির দিনে বাড়তি শাক_সবজি আর মাছ এর দাম

 

রাজধানীর কাঁচাবাজারে সপ্তাহ ব্যবধানে বেশ খানিকটা কমেছে শাক-সবজি আর মাছের দাম। তবে, অন্যদিনের তুলনায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দাম তুলনামূলক বেশি থাকে বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা। 

 

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেল, নানা জাতের রঙিন শাক-সবজিতে ভরপুর বাজারের প্রতিটি দোকান। ছুটির দিন হওয়ায় সকাল সকাল ক্রেতারাও এসেছেন সারা সপ্তাহের সবচেয়ে বড় (বেশি পরিমাণ) বাজার করতে। 

 

দোকানিরা জানালেন, এই বাজারে প্রতিকেজি সিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। সপ্তাহব্যাপী শীতকালীন এই সবজির দাম কমেছে ১০ টাকা। বেগুন, টমেটো আর নতুন আলুর দামও কমেছে ১০ টাকা করে; প্রতি কেজি বেগুন-টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায় আর আলুর দাম পড়ছে ৩০ টাকা। কাঁচামরিচের দাম কমেছে ২০ টাকা; বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। মটরশুঁটি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়; আগের সপ্তাহে এর দাম ছিল ১শ' টাকা। তবে, ২০ টাকা বেড়ে পটল ও কচুরমুখী বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, আর এককেজি করলার দাম পড়ছে ৬০ টাকা। ক্যাপসিকামের দামের তেমন কোন ওঠানামার খবর নেই বাজারে। এককেজি সবুজ ক্যাপসিকাম দেড়শ' থেকে ১৬০ আর লাল-হলুদের কেজি পড়ছে আড়াইশ' টাকা। প্রতি আঁটি লাউশাক ২৫ টাকায়, পুঁইশাকের আঁটি ২০ আর লাল-পালংয়ের আঁটির দাম পড়ছে ১০ টাকা করে। 

 

ক্রেতারা জানালেন, দাম নিয়ে তাদের কোন অসন্তুোষ নেই। বাজারে ভালো মানের শাক-সবজিই পাওয়া যাচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্যে। তবে, বাজারে বিক্রি কিছুটা কমেছে বলে জানান দোকানিরা। কারণ, বর্তমানে ক্ষেত থেকে বাজার পর্যন্ত টাটকা শাক-সবজির পর্যায় সরবরাহ রয়েছে। তাই অলি-গলি আর পাড়া-মহল্লায় ভ্যান ও দোকানেই পাওয়া যায় প্রায় সব ধরনের শাক-সবজি। অনেকে ওখান থেকেই কিনে থাকেন দরকারি পণ্যগুলো। এ জন্য বাজারে বিক্রি কিছুটা কম। 

 

সবজি বাজার থেকে মাছ বাজারে যেতেই দেখা গেল একই দোকানে ইলিশ সাজিয়ে বসে আছেন দুই বিক্রেতা। ক্রেতা পাচ্ছেন না তারা। জানালেন, শীতকালে রূপালী এই মাছের কদর বরাবরই কম। তাদের ঝাঁকায় থাকা প্রতিপিস ৯শ' গ্রাম ওজনের ইলিশের হালি পড়ছে ৩ হাজার ২শ টাকা। আর যেসব ইলিশের ওজন এককেজির কিছুটা বেশি; ওগুলোর হালি পড়ছে ৩ হাজার ৪শ' টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে এই মাছের দাম কমেছে হালিতে ২শ' টাকা। 

 

অন্যান্য মাছের সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত। দামও কমতির দিকে বলে জানালেন বিক্রেতারা। নদীর এককেজি চিংড়ির দাম পড়ছে ৮শ' আর চাষের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭শ' টাকা কেজি দরে। গুলশা টেংরা আর বাতাসির দাম ৫শ' টাকা কেজি। বড় আইড়-বোয়ালের দাম রাখা হচ্ছে ৭শ' টাকা কেজি হিসাবে। হাওড়ের বড় রুই বিক্রি হচ্ছে ৬শ' ও কাতলার দাম পড়ছে ৪শ' টাকা। তবে, এই দুই প্রজাতির চাষের মাছ পাওয়া যাচ্ছে ৩শ' টাকার মধ্যেই। বড় আকাররে তেলাপিয়া মিলছে দেড়শ টাকায়। গত শুক্রবারের তুলনায় সব প্রজাতির মাছের দামই কেজিতে ১শ' টাকা পর্যন্ত কমছে। তারপরও সপ্তাহের অন্যদিনের তুলনায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দাম স্বাভাবিকভাবেই বেশি থাকে বলেও জানান বিক্রেতারা। কারণ, এই দিনে ক্রেতার চাপ বেশি থাকে। আবার রোববার থেকে বাজার পড়তে থাকে; যা চলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। শুক্রবার সকাল থেকেই আবার বাজার উঠতে থাকে। 

 

ক্রেতারা জানান, মালিবাগ বাজারে নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড়-বাওড় এমনকি সামুদ্রিক; সব ধরনের মাছই পান তারা। তবে, দাম কিছুটা বেশি পড়ে। তাদেরও অভিজ্ঞতা, ছুটির দিনগুলোতে অন্য দিনের তুলনায় কেজিতে ৫০ থেকে ১শ' টাকা বেশি পড়ে মাছের দাম।   

 

গরু ও খাসির মাংসের বাজারে দামের কোন ওঠানামা নেই। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫শ' আর খাসির মাংসের দাম পড়ছে সাড়ে ৮শ' টাকা। তবে, চাহিদা কমে যাওয়ায় দেশি মুরগির প্রতিপিসে কমছে ১০ থেকে ২০ টাকা। বিক্রেতারা জানালেন, শীতের সময় দেশি মুরগির চাহিদা নাকি কম থাকে। একেকটি দেশি মুরগি মিলছে ২শ' থেকে ৪শ' টাকার মধ্যে। তবে, এসময়ে আবার ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বাড়ে। তাই এ বছরের প্রথম দিন থেকেই বিক্রি বাড়ছে মাংসের যোগান দেয়া এই মুরগির। দামও গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বেড়েছে ১০ টাকা; প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।


Habibur Rahman  

49 ब्लॉग पदों

टिप्पणियाँ