#গোপাল_ভাড়_কার্টুন_যখন_হিন্দুত্ববাদীদের_অস্ত্র:
গোপাল ভাড়ের কোন ঐতিহাসিক সত্যতা নেই। নবাব সিরাজ-উদ্দৌলার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা কট্টর হিন্দুত্ববাদী মুসলিমবিদ্বেষী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজত্ব সম্পর্কে ইতিহাসে প্রচুর তথ্য পাওয়া গেলেও তার কোথাও উল্লেখ নেই যে, তাঁর সভায় গোপাল নামে একজন ভাঁড় ছিলেন।
গোপাল ভাড় কার্টুনে যাকে নবাব হিসেবে দেখানো হয় তিনিই মূলত বাংলার মুসলিম শাষক ছিলেন। কার্টুনটায় নবাবকে অত্যচারী ও একজন বাজে নবাব হিসেবে দেখানো হচ্ছে, এছাড়া সকল ধরণের পূজা পার্বণ কিভাবে পালন করা হয় তার সবটাই দেখানো হচ্ছে এই গোপাল ভাড়ে!
#বুদ্ধিবৃত্তিক_লড়াই_যেখানে: গোপাল ভাঁড় দেখছে কারা? আমাদের কোমলমতি ছোট ছোট বাচ্চা শিশুরা, এদের মস্তিষ্কে এই ঘটনা কিভাবে প্রভাব ফেলবে ভেবে দেখেছেন? যে বয়সটাতে এরা এই কার্টুনটা দেখছে সেটাই হচ্ছে এদের ব্রেন গঠনের আসল সময়, সে সময়টাতে এদের মস্তিষ্কে গেথে যাচ্ছে মুসলিম শাষক মানেই খারাপ, এটার ফল আসবে অচিরেই.....!!
গোপাল ভাড় দেখে এরা আরো শিখছে সকল ধরণের হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি, যেমন পূজা কিভাবে পালন করতে হয় তার সব কিছুই শেখানো হচ্ছে এই কার্টুনে, কখনো দেখানো হচ্ছে কেউ ওদের কল্পিত ঈশ্বরের কাছে কিছু চাচ্ছে সেই কল্পিত ঈশ্বর আবার ঘুমের মাঝে বা অন্য কোন সময় এসে তাকে দিয়ে যাচ্ছে, এসব দেখার ফলে আপনার শিশু তার অজান্তেই এসব কাল্পনিক জিনিসের প্রতি বিশ্বাস এনে ফেলছে, অনেকে হয়তো বলবেন বাচ্চা তো বোঝা শুরু করলেই ঠিক হয়ে যাবে, না ভাই ৫ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে মানুষ যা শিখে চাইলেও তা সহজে ভুলতে পারে না, এরাই বড় হয়ে এরপর সব ধর্মই সমান কিংবা এক কথায় মডারেট বলতে যা বুঝেন তা হয়..!!
সাংস্কৃতিক এই আগ্রাসনের ফলে আপনার সন্তানের আগ্রহ জন্মাবে হিন্দুয়ানী মুশরিকদের সংস্কৃতির দিকে, তার চিন্তাধারায় থাকবে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি, মুসলিম সংস্কৃতির প্রতি তার একটুও আগ্রহ থাকবে না। আমি কোন কল্পিত কথা বলছি না এটাই সত্য আমাদের শিশুদের ছোট অবস্থা থেকেই ব্রেইন ট্রেনিং দিচ্ছে দাজ্জালী মিডিয়াগুলো, সতর্ক হোন, নিজ সন্তানকে মুসলিম হিসেবে গড়ে তুলুন, বর্জন করুন গোপাল ভাড়
[শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন]
#গোপাল_ভাঁড়
#ষড়যন্ত্র