Back To Blogs | My Blogs | Create Blogs

কারিনা-কারিশমার নামে টমেটো চাষিদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিল

দুই বোন কারিশমা-কারিনা
 
দুই বোন কারিশমা-কারিনা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাজারে এখন কারিনা-কারিশমা টমেটোর চাহিদা তুঙ্গে। তুলনামূলক এর দামও বেশি। তবু এই বিশেষ টমেটোর জন্য বাড়তি দাম দিতে প্রস্তুত ক্রেতারা। আর কাপুর খানদানের দুই কন্যার নামে টমেটো বেচে ঝাড়খন্ডের কৃষকেরা এখন প্রচুর টাকা আয় করছেন। ঝাড়খন্ড রাজ্যের পূর্ব সিংভূম জেলার টমেটোর চাহিদা এখন আকাশছোঁয়া। এ অঞ্চলের সীমানা ছাড়িয়ে এই টমেটো এখন পশ্চিমবঙ্গের বাজারে পৌঁছে গেছে।
পাঠক, নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন টমেটোর নাম কারিশমা-কারিনা কী করে। ঝাড়খন্ডের সিংভূম জেলার চাষিরা তাঁদের খেতের টমেটোর নাম দিয়েছেন কারিশমা-কারিনা। তবে এ দুই ধরনের টমেটোর মধ্যে একটু তফাত আছে। কারিশমা টমেটো সবুজ রঙের।

 

কারিনা-কারিশমার নামে টমেটো চাষিদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিল

আর কারিনা টমেটো টুকটুকে লাল। আর এই বিশেষ টমেটো জামসেদপুরের বাজারে পৌঁছানোমাত্রই প্রচুর চাহিদা। বিহার, ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গের বাজারও এখন কারিশমা-কারিনা টমেটোতে জমজমাট।

বিজ্ঞাপন
 

জামসেদপুর জেলার এক চাষি জানান যে দুই ধরনের টমেটোর আলাদা পরিচিতির জন্য তাঁরা কারিশমা-কারিনা নাম দেন। মজার ছলেই তাঁরা এই নাম দিয়েছিলেন। তবে এখানকার স্থানীয় চাষিরা কখনোই ভাবেননি যে কারিশমা-কারিনা রীতিমতো তাঁদের ভাগ্যের চাকা এভাবে ঘুরিয়ে দেবে।

কারিশমা কাপুর
 
কারিশমা কাপুর
 
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

আগে যে টমেটো তাঁরা ১২ রুপি কিলোতে বিক্রি করতেন, এখন তাঁরা ২৫ রুপি কিলোতে ওই একই টমেটো বিক্রি করছেন। কৃষকদের কথায়, করোনার কারণে জমি বন্ধক রেখে তাঁরা চাষাবাদ করেছিলেন। এই দুই বলিউড অভিনেত্রীর নামে টমেটো বেচে তাঁরা এখন একটু সুখের মুখ দেখছেন। কাপুর খানদানের এই দুই বোনের নামের জোরে চাষিদের আর্থিক দৈন্য অনেকটাই কেটেছে। এখন সিংভূমের চাষিরা এ উপায়ে টমেটো বেচে ৪০ থেকে ৫০ হাজার রুপি আয় করছেন। তাঁদের দাবি, এই বিশেষ ধরনের টমেটো পাঁচ দিন পর্যন্ত টাটকা রাখা যাবে। টমেটোতে এতটুকু পচন ধরবে না।

কারিনা কাপুর

Akash Ahmed  

124 Blog Mensajes

Comentarios