সব ধরনের আলোচনা ও সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে পুরোদস্তুর গানে মনোযোগ দিয়েছেন নোবেল। সংগীত পরিচালক আহম্মেদ হুমায়ূনের আয়োজনে নতুন একটি সিনেমার গানে কণ্ঠ দেবেন নোবেল। এ জন্য গত শুক্রবার রাতে মগবাজারের একটি স্টুডিওতে হাজির হন নোবেল। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে আজ শনিবার দুপুরে ‘সারেগামাপা’খ্যাত নোবেল নিজেই এই খবর নিশ্চিত করেন।
রিয়েলিটি শোর প্রতিযোগী থাকা অবস্থায়ই প্রথমবার বাংলা সিনেমার গানে কণ্ঠ দেন বাংলাদেশের আলোচিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। তবে তা ছিল কলকাতার বাংলা সিনেমা। এবার দেশের ছেলে নোবেলের দেশের সিনেমার গানে অভিষেক হতে যাচ্ছে। নোবেল জানান, গানটিতে এখনো চূড়ান্ত কণ্ঠ দেননি তিনি।
সুর ও কম্পোজিশন অনেক দূর এগিয়েছে। বললেন, ‘মহড়া দিলাম বলতে পারেন। চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন ফাইনাল ভয়েস দেব। মূলত এটা ভিন্ন আঙ্গিকের একটা রক ধাঁচের গান। গানটিতে চমৎকার অর্কেস্ট্রেশনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রচুর কয়্যার ও ড্রামসের ব্যবহার থাকবে।’
দেশের সিনেমায় নোবেলের কণ্ঠ প্রথম শোনা যাবে ‘মুখোশ’ সিনেমায়। এই ছবির পরিচালক ইফতেখার শুভ। সরকারি অনুদানের এই ছবির টাইটেল গানে কণ্ঠ দেবেন নোবেল। গানটির কথা লিখেছেন আব্রাহাম তামিম, সুর ও সংগীত পরিচালনা করছেন আহম্মেদ হুমায়ূন। গানটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি যা দেখলাম, একটা গান প্রচুর প্র্যাকটিস না করে নোবেল ফাইনালি গাইতে চান না। আমাদের প্রথম গান ‘অভিনয়’ গাওয়ার আগে তিনি ১৯ বার মহড়ার পর চূড়ান্ত ভয়েস দিয়েছিলেন। তাঁর ভেতর যে চেষ্টা, তা আমাকে মারাত্মকভাবে মুগ্ধ করেছে। সিনেমার গানের ক্ষেত্রেও একইভাবে পথ চলতে চাইছেন। আশা করছি, মেলোরক ধাঁচের গানের মাধ্যমে শ্রোতারা নোবেলের কণ্ঠে দারুণ একটা গান পাবেন।’
ছবির পরিচালক ইফতেখার শুভ বলেন, ‘শুক্রবার রাতে গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার জন্য নোবেলের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আজ আমরা সবাই মিলে একটা ফটোসেশনেও অংশ নিয়েছি। আশা করছি, দর্শক-শ্রোতাদের একটি সুন্দর গান উপহার দিতে পারব।’ এই পরিচালক আরও জানান, আগামী মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে ‘মুখোশ’ সিনেমার শুটিং। সিলেট, সাভার ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে কাজ চলবে। এই সিনেমার নায়ক রোশান, নায়িকা পরীমনি। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মোশাররফ করিম। আরও অভিনয় করবেন ইরেশ যাকের, ফারুক আহমেদ, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের সরকারি অনুদানের ‘মুখোশ’ সিনেমার পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজনা করছেন এই পরিচালক।