নিরাজ সিং ছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিচারিকা। আর স্যামুয়েল জ্যাকব ছিল সুশান্তের কথিত ম্যানেজার। বেশ কিছুদিন তিনি সুশান্তের বাসায় ছিলেন। এই দুজনই জবানবন্দিতে বলেছেন, গাঁজায় আসক্তি ছিল সুশান্তের। এই দুজনই অসংখ্যবার সুশান্তকে সিগারেটের ভেতর গাঁজা পুরে রোল করে দিয়েছেন।
সুশান্তর মৃত্যু রহস্যের কিনারা করার জন্য বাড়ির পরিচারিকা নিরাজের জবানবন্দি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিন দফায় নিরাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। সেখান থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে সুশান্তের সঙ্গে কাজ শুরু করেন নিরাজ। তখন থেকেই রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তর সঙ্গে ছিলেন। রাত হলেই নাকি সুশান্তর সেই বাসায় ভৌতিক ব্যাপার ঘটত। রিয়াই উদ্যোগ নিয়ে সুশান্তর বাসা বদলায়।
বাড়ির কর্মচারীদের সঙ্গে খুবই অমায়িক ব্যবহার করতেন স্যার (সুশান্ত)। তিনি ছিলেন মাটির মানুষ। আর রিয়া ম্যাম একটু কড়া ছিলেন। কোথায় কী হচ্ছে সব নজরদারিতে রাখতেন। কী খাওয়া হবে, তিনিই ঠিক করতেন। ম্যাডাম সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইতেন।নিরাজ, সুশান্তের পরিচারিকা
নতুন বাসায় ওঠার পরেই রিয়া আর তাঁর ভাই শৌভিককে নিয়ে ইউরোপ ট্যুরে যান সুশান্ত। সেখান থেকে এসে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুশান্ত। সেই সময় কিছুদিন রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতে কাটান সুশান্ত। ফিরে এসে খুব একটা ঘরের বাইরে বেরোতেন না, জিমে যাওয়া ছাড়া। নিরাজ আরও বলেন, বাড়ির কর্মচারীদের সঙ্গে খুবই অমায়িক ব্যবহার করতেন স্যার (সুশান্ত)। তিনি ছিলেন মাটির মানুষ। আর রিয়া ম্যাম একটু কড়া ছিলেন। কোথায় কী হচ্ছে সব নজরদারিতে রাখতেন। কী খাওয়া হবে, তিনিই ঠিক করতেন। ম্যাডাম সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইতেন।
নিরাজ জানান, রিয়া সুশান্তর বাড়িতে আসার পর সপ্তাহে দুটি করে পার্টি হতো। সেই পার্টিতে গাঁজাও চলত। সুশান্তর মৃত্যুর আগের দিনও নিরাজ সুশান্তর জন্য মারিজুয়ানা সিগারেট বানিয়ে অ্যাশট্রের ওপর রেখেছিলেন। আর সুশান্তর মৃত্যুর পর দরজা ভেঙে খোলার পর অ্যাশট্রের ওপর কোনো সিগারেট ছিল না।
সুশান্তর সিঁড়িঘরের কাছে যে আলমারি, সেখানকার একটা বিশেষ ড্রয়ারে গাঁজা থাকত।