Back To Blogs | My Blogs | Create Blogs

এবারের লা লিগা জয় জিদানের সবচেয়ে সুখের দিন

জিনেদিন জিদানের সাফল্যে তাকিয়ে তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা দিনের কথা শুনলে অবাক হতেই হয়।

ফরাসি কিংবদন্তি কী জেতেননি! খেলোয়াড়ি জীবনে ক্লাবের হয়ে সিরি আ, লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ, সুপার কাপসহ আরও বেশ কিছু শিরোপা জিতেছেন জিদান। দেশের হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপ। আর কোচ হওয়ার পর নিজেকে তুলেছেন অনন্য উচ্চতায়। সাবেক দল রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন টানা তিনবার। জিদান তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা দিনটা এসব সাফল্য থেকে বেছে নেবেনএমনটা ভেবে নেওয়াই স্বাভাবিক। ভুল।

রিয়ালের কোচ হিসেবে সর্বশেষ শিরোপাজয় জিদানের ক্যারিয়ারের সেরা দিন। লা লিগার শেষ মৌসুমে রিয়ালকে শিরোপা জিতিয়েছেন জিদান। ফরাসি কিংবদন্তির ভাষায়, এটাই তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা দিন। যদিও ইউরোপসেরা হওয়াকেই সব সময় প্রাধান্য দিয়ে এসেছে রিয়াল। তার মানে লা লিগা জয়কে রিয়াল যে প্রাধান্য দেয় না তা নয়। এবার তো লিগের মহিমা ছিল আরও বেশি। করোনা মহামারির মধ্যে লা লিগার খেলা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। খেলা আবার শুরু হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহে ভুগেছে রিয়াল শিবির। কিন্তু খেলা আবার মাঠে গড়ানোর পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। বার্সার পেছন থেকে উঠে এসে লিগ জিতে নেয় রিয়াল। জিদানের কাছে এভাবে লিগ জয়ের অনুভূতিই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জিদান বলেন, আমরা অনেক উঁচুতে (লা লিগা জয়) লক্ষ্যস্থির করেছিলাম। (করোনা মহামারির জন্য) খেলা স্থগিত হওয়ার পর আমরা ভেবেছিলাম আর মাঠে নামতে পারব না। পরিস্থিতি তখন সেরকমই ছিল। শেষ পর্যন্ত লা লিগা জিততে পেরেছি এবং এটা আমার জীবনে সবচেয়ে সুখের দিন।

এবারের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়াটা রিয়ালের জন্য হতাশার। তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে লা লিগার প্রসঙ্গও টানলেন রিয়াল কোচ, এমনকি আমরা সব সময় চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার কথাও বলে এসেছি। হ্যাঁ এটা দুর্দান্ত, আমি তুলনায় যেতে চাই না। এবার ভীষণ জটিল লিগ জেতাই আমার পেশাদার ক্যারিয়ারের সেরা দিন।

জিদান এখন দ্বিতীয় মেয়াদে রিয়াল কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। ফরাসি কিংবদন্তি কি কখনো ফ্রান্স জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার স্বপ্ন দেখেন? ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এ মিডফিল্ডার সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি, অনেক বছর আগেই এ কথা বহুবার বলেছি। যদি কোচ-ই হই তাহলে ফ্রান্স দলের দায়িত্ব নেব না কেন। এটা নতুন কিছু না। এমনকি দিদিয়ের দেশমও (ফ্রান্সের বর্তমান কোচ) বিষয়টি জানেন। কারণ তিনি-ই প্রথম ঘোষণাটি দিয়েছিলেন।

ফ্রান্সের হয়ে ১০৮ ম্যাচ খেলা জিদানের জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচ ছিল ২০০৬ বিশ্বকাপ ফাইনাল। সে ম্যাচে ইতালিয়ান ডিফেন্ডার মার্কো মাতেরাজ্জিকে ঢুস মেরে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় জিদানকে। ফ্রান্সের কোচ হওয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সে প্রসঙ্গও টানলেন জিদান, আমাদের সবারই একটা করে গল্প আছে। আমার গল্পটা ফ্রান্স জাতীয় দলের সঙ্গে। শেষ ম্যাচের আগ পর্যন্ত তা দারুণ ছিল। উত্থান-পতন থাকবেই তবু আমার গল্পটা সুন্দর। কোনো দিন এটা (ফ্রান্সের কোচ হওয়া) ঘটলে এমনিতেই ঘটবে।


Akash Ahmed  

124 Blog des postes

commentaires