Back To Blogs | My Blogs | Create Blogs

‘বিশ্বসেরা’ বার্সাকে সেন্ট পাউলি-হামবুর্গের কাতারে নামাল বায়ার্ন

প্রতিপক্ষ সমর্থকেরা রাগ করে বলতে পারেন, জার্মানদের এই এক বদঅভ্যাস। ছন্দে থাকলে সম্ভ্রমহানি ঘটে! কথাটা গায়ে লাগলেও কিঞ্চিৎ সময়ের জন্য সত্য। অন্তত ওই মুহূর্তটা, শেষ বাঁশি বাজার পর ধরণী দ্বিধা হও...। এ অনুভূতি ২০১৪ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ব্রাজিল সমর্থকদের যেমন লেগেছিল, কাল রাতে বার্সা সমর্থকদের যেমন লাগল। ওপাশে মোটা দাগে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। হয় জার্মানি নয় তো জার্মানিরই প্রতিনিধি বায়ার্ন মিউনিখ।

নিকট অতীতের ক্ষতটা যেহেতু বার্সার তাই বায়ার্নের কথাই হোক। ছন্দে থাকলে ম্যাচে চার-পাঁচটা গোল করা তাদের রোজকার অভ্যাসের মতো সাধারণ। কিন্তু ৮ গোল! প্রতি সপ্তাহে দূর অস্ত, চার-পাঁচবার বছরের মধ্যে দুবার করে দেখানোও কঠিন। কিন্তু দলটা যেহেতু খুনে মানসিকতার বায়ার্ন তাই সময়টা কমে আসাই স্বাভাবিক। গত ৯ বছরে ৫ বার, ভুল পড়েননি এ সময়ে ৫ বার প্রতিপক্ষকে ৮টি করে গোল দিয়েছে বাভারিয়ানরা।

বার্সেলোনা এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দল। তাই বায়ার্নের পক্ষ থেকে দেওয়া গোলের মালার সুবাসও বুঝি বেশি (বায়ার্ন সমর্থকদের কাছে)। চ্যাম্পিয়নস লিগ নকআউট পর্বে এই প্রথম ৮ গোল করে দেখাল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

২০১১ সালের মে মাসে এই চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সমীকরণ মাথায় নিয়ে সেন্ট পাউলির মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। সে ম্যাচে গোমেজ-রিবেরি-রোবেনরা ৮-১ গোলে সেন্ট পাউলিকে বিধ্বস্ত করে নামিয়ে দিয়েছিলেন দ্বিতীয় বিভাগে। যথারীতি ইউরোপসেরা ক্লাব প্রতিযোগিতায় জায়গাও করে নেয় বায়ার্ন। এর দুই বছর পর থেকে তো ৮ গোল করতে হামবুর্গকে একরকম বানি করে নেয় বায়ার্ন। এই ৯ বছরে হামবুর্গই সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার অন্তত ৮ গোল করে হজম করেছে বায়ার্নের কাছে৩বার!

অন্তত, কথাটা বলায় নিশ্চয়ই ভ্রুকুটি জাগছে? তাহলে কি ৮ গোলেরও বেশি করেছে! অবশ্যই। সেন্ট পাউলির মতো এটিও ছিল বুন্দেসলিগার ম্যাচ। আগের তিন ম্যাচে ৫ গোল হজম করেছিল বায়ার্ন। কিছু করে দেখানোর রাগটা মনে মনে পুষে রেখেছিলেন ক্লদিও পিজারো, আরিয়েন রোবেন, বাস্তিয়ান শোয়েনস্টেইগাররা। একাই চার গোল করেছিলেন পেরু তারকা পিজারো।

সামনে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ থাকলে বড় দলগুলো অনেক সময় ঘরোয়া লিগে গা গরম করে থাকে। ২০১৫ সালে বায়ার্নের এই গা গরমের শিকার হয় হামবুর্গ। এ চ্যাম্পিয়নস লিগেই শাখতার দোনেৎস্কের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতিটা হামবুর্গকে ৮-০ গোলে হারিয়ে সেরেছিল বায়ার্ন। না, কোনো হ্যাটট্রিক ছিল না। জোড়া গোল ছিল গোটশে, মুলার, রোবেনদের। একক নয়, কাল রাতের মতোই দশে মিলে করি কাজ সূত্র মেনে বেশিরভাগ সময় গোলের বড় বড় মালা গেঁথেছে বায়ার্ন।

তিন বছর আগের স্মৃতি অবশ্য কারও ভোলার কথা নয়। কার্লো আনচেলত্তি তখন বায়ার্নের কোচ। এই ইতালিয়ানের কোচ হিসেবে হাজারতম ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল হামবুর্গ। আর যায় কোথায়! এবারও ৮-০ গোলের জয়ে কোচের মাইলফলক রাঙিয়েছিলেন ভিদাল, আলাবা, লেভানডফস্কিরা। ওহ হ্যাঁ, লেভা হ্যাটট্রিক করেন।

সেই লেভা এখনো বায়ার্নে। গোল পেয়েছেন কাল। ভিদাল ছিলেন তাঁর প্রতিপক্ষ। এ ম্যাচের আগে ভিদালই বলেছিলেন, বায়ার্ন বুন্দেসলিগার কোনো দলের মুখোমুখি হচ্ছে না, মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্বের সেরা ক্লাব বার্সার।

হামবুর্গ ও সেন্ট পাউলি কিন্তু বুন্দেসলিগার দল। হামবুর্গ তবু টিকে আছে। সেন্ট পাউলি ২০১১-১২ মৌসুম থেকে খেলছে দ্বিতীয় বিভাগে। এবার মৌসুম শেষে করে ১৮ দলের মধ্যে ১৪তম হয়ে।

আর্তুরো ভিদাল, তাহলে বিষয়টি কী দাঁড়াল?


Shakib All Hasan

107 Blog Postagens

Comentários