করোনার এই সময় ক্রিকেট শুরু হওয়ার পর থেকে জৈব সুরক্ষা নিয়েই কত আলোচনা! হওয়ারই কথা। এই জৈব সুরক্ষা যে কথার কথা নয়, সেটির প্রমাণ এরই মধ্যে পেয়ে গেছেন জফরা আর্চার, জো রুটের মতো তারকারা। এই জৈব সুরক্ষার নীতি ভঙ্গের কারণে শাস্তিও পেতে হয়েছে তাঁদের। এবার একই কাণ্ড করে আলোচনায় পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ। তাঁকে সঙ্গনিরোধ (আইসোলেশন) অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।
করোনার সঙ্গে হাফিজের নাম জড়িয়েছে পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফর শুরু হওয়ার আগেই। কী একটা নাটকই না হলো! পাকিস্তানে বসেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছিল হাফিজের। পরে হাফিজ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে করোনা পরীক্ষা করিয়ে পিসিবিকে বেশ বিব্রতকর অবস্থার মধ্যেই ফেলে দিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষায় তাঁর নেগেটিভ ফল আসে। ব্যাপারটি নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি।
পরে দুটি পরীক্ষায় নিজেকে করোনামুক্ত করেই ইংল্যান্ডে এসেছেন হাফিজ। যদিও পাকিস্তানের টেস্ট স্কোয়াডের সদস্য নন তিনি। এ মুহূর্তে ইংল্যান্ডে আছেন আসছে টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখেই। সাউদাম্পটনের যে হোটেলটিতে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা আছেন তার বাইরের একটি গলফ কোর্সে গিয়েই সর্বশেষ সমস্যাটা বাঁধিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। গলফ কোর্সে এক ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধার সঙ্গে ছবি তুলেছেন, সেটি আবার পোস্ট করেছেন নিজের টুইটারে। ব্যাপারটা নিয়ে এখন শুরু হয়েছে তোলপাড়। জৈব সুরক্ষার নীতি অনুযায়ী কোনো বহিরাগতের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না ক্রিকেটাররা। হাফিজ সেই বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলে, ছবি তুলে সেই নীতি ভঙ্গ করেছেন।
হোটেলের গলফ কোর্সে যাওয়ার অনুমতি ছিল ক্রিকেটারদের। কিন্তু তাঁদের কঠোরভাবে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছিল বাইরের কারও সঙ্গে দেখা না করতে, কথা না বলতে। হাফিজ কেবল ওই বৃদ্ধার সঙ্গে কথাই বলেননি, সেলফিও তুলেছেন। ব্যাপারটি চোখে এড়ায়নি ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিকেল বিশেষজ্ঞদের। তাঁরাই হাফিজকে সঙ্গনিরোধে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে পিসিবি জানিয়েছেন, ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিকেল দল হাফিজকে নিজের ও সবার স্বার্থে স্বেচ্ছায় সঙ্গনিরোধ অবস্থায় থাকার কথা বলেছে।
কিছুদিন আগে জফরা আর্চারও জৈব সুরক্ষা নীতি ভেঙেছিলেন। শাস্তি হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলতে পারেননি তিনি। পাঁচ দিন সবার থেকে আলাদা হয়ে থাকতে হয়েছে তাঁকে।