যে বাড়িতে শেষবার নিশ্বাস নিয়েছেন এন্ড্রু কিশোর

Comments · 1162 Views

যে বাড়িতে ফেরার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে এন্ড্রু কিশোর বাংলাদেশে ছুটে এসেছিলেন। তিনি এখন সেই বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি ছোট্ট কক্ষে শুয়ে আছেন। কক্ষটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। নাম হিমঘর। তাঁর দুই সন্তান অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। তাঁরা ফিরলে হিমঘর থেকে বের করা হবে, কিন্তু সেই বাড়িতে তাঁকে আর নেওয়া হবে না। যদিও বাড়িটা তাঁর নয়। কিন্তু এখন থেকে এ বাড়িই তাঁর পরিচয় বহন করবে, স্মৃতি বহন করবে। বাড়িটা তাঁর বোনের।

এই শহরেই এন্ড্রু কিশোর জন্ম নিয়েছিলেন। বেড়ে ওঠা ও লেখাপড়াও এখানেই। তাঁর হৃদয়জুড়ে ছিল এই শহর। তবে নিজের কোনো বাড়ি নেই। পদ্মা আবাসিক এলাকায় বোনের সঙ্গে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। সেটাও চিকিৎসার জন্য বিক্রি করে দিয়েছেন। রাজশাহীকে ছুঁয়ে দেখার জন্য এসেছিলেন তিনি। উঠেছিলেন বোনের বাড়িতে। এ বাড়িতেই তিনি পৃথিবীর বাতাসে শেষবার নিশ্বাস নিয়েছেন, ছেড়েছেন।

যে বাড়িতে ফেরার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে এন্ড্রু কিশোর বাংলাদেশে ছুটে এসেছিলেন। ছবি: প্রথম আলোযে বাড়িতে ফেরার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে এন্ড্রু কিশোর বাংলাদেশে ছুটে এসেছিলেন। ছবি: প্রথম আলোযে বাড়িতে ফেরার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে এন্ড্রু কিশোর বাংলাদেশে ছুটে এসেছিলেন। তিনি এখন সেই বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি ছোট্ট কক্ষে শুয়ে আছেন। কক্ষটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। নাম হিমঘর। তাঁর দুই সন্তান অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। তাঁরা ফিরলে হিমঘর থেকে বের করা হবে, কিন্তু সেই বাড়িতে তাঁকে আর নেওয়া হবে না। যদিও বাড়িটা তাঁর নয়। কিন্তু এখন থেকে এ বাড়িই তাঁর পরিচয় বহন করবে, স্মৃতি বহন করবে। বাড়িটা তাঁর বোনের।

এই শহরেই এন্ড্রু কিশোর জন্ম নিয়েছিলেন। বেড়ে ওঠা ও লেখাপড়াও এখানেই। তাঁর হৃদয়জুড়ে ছিল এই শহর। তবে নিজের কোনো বাড়ি নেই। পদ্মা আবাসিক এলাকায় বোনের সঙ্গে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। সেটাও চিকিৎসার জন্য বিক্রি করে দিয়েছেন। রাজশাহীকে ছুঁয়ে দেখার জন্য এসেছিলেন তিনি। উঠেছিলেন বোনের বাড়িতে। এ বাড়িতেই তিনি পৃথিবীর বাতাসে শেষবার নিশ্বাস নিয়েছেন, ছেড়েছেন।

এন্ড্রু কিশোর। ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী নগরের মহিষবাথান এলাকায় অবস্থিত এ বাড়ির নিচতলায় এন্ড্রু কিশোরের বোন শিখা বিশ্বাস ও তাঁর স্বামী প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাসের একটি চিকিৎসাকেন্দ্র রয়েছে। আর ওপরের তলাগুলো আবাসিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গত ২০ জুন এন্ড্রু কিশোর ঢাকা থেকে এই বাসায় এসে ওঠেন। গণমাধ্যমে খবর সূত্রে রাজশাহীর মানুষ জানতেন, এই বাড়িতে প্লেব্যাকসম্রাট এন্ড্রু কিশোর আছেন। কিন্তু করোনাপরিস্থিতির কারণে শুভানুধ্যায়ীরা বাসায় তাঁকে দেখতে যেতে পারেননি। এ ব্যাপারে বাড়িতে কড়াকড়ি ছিল।

গত সোমবার সন্ধ্যার সময় বাড়িটার সামনে ভিড় জমে ওঠে। কেউ কাউকে ঠেকাতে চেষ্টা করেননি। কেউ বাধাও মানেননি। সবাই চেয়েছেন শেষবারের মতো সংগীতের বরপুত্রকে তাঁরা দেখতে চান। গোসল শেষে রাতেই এন্ড্রু কিশোরকে হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সবাই একে একে সরে এলেন বাড়িটা থেকে। তবে এন্ড্রু কিশোর বাড়িটাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে গেলেন। এখন রাজশাহী শহরের চেনা কোনো মানুষ এই বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একবার চেয়ে দেখবেনপ্লেব্যাকসম্রাট এই বাড়িতে আসতেন, থাকতেন এবং শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন।

Comments