গরমে শিশুর যত্ন

Comments · 1239 Views

প্রচণ্ড গরমে সব বয়সের মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা ভীষণ অস্বস্তিবোধ করে, অস্থির হয়ে ওঠে, মেজাজ খিটখিটে হয় এবং বিরক্ত করে। তার সঙ্গে আছে ঘামাচির যন্ত্রণা, বারবার ঘেমে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার মতো সমস্যাও। গরমে শরীরের বাড়তি তাপ বের করে দিতে ঘামের গ্রন্থিগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। ঘাম ত্বক থেকে বাষ্পীভূত হলে শরীর শীতল হয়। কিন্তু বাতাসে আদ্রর্তা বেশি থাকলে ঘাম ঠিকমতো বাষ্পীভূত হতে পারে না। তখন অস্বস্তি আরও বেড়ে যায়। এর থেকে মুক্তি পেতে শরীর আরও ঘাম তৈরি করে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর লবণ-পানি বের হয়ে যায়। ফলে পানি ও লবণের ঘাটতির কারণে দুর্বল লাগে, কখনো মাথাব্যথা, বিভ্রান্তি, বমিও (হিট স্ট্রোক) হতে পারে। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়, পায়খানা কষা হয়ে যায়। ছোটদের শরীরের তাপমাত্রা বড়দের তুলনায় তাড়াতাড়ি বাড়ে। তাই এ সময় শিশুদের দিকে দিতে হবে বাড়তি নজর।

১. শিশুর শরীরে লবণ-পানির ঘাটতি যেন না হয়, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

মাসের কম বয়সী শিশুদের বারবার বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। বুকের দুধের সরবরাহ ঠিক রাখতে মা নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি বেশি বেশি পানি, ডাবের পানি, ফলের রস, দুধ পান করবেন।

ছোটদের শরীরের তাপমাত্রা বড়দের তুলনায় তাড়াতাড়ি বাড়ে
তাই এ সময় শিশুদের দিকে দিতে হবে বাড়তি নজর

মাসের বেশি বয়সী শিশুদের নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি অল্প অল্প করে ঠান্ডা ফুটানো পানি, ডাবের পানি, ফলের রস পান করাতে হবে। তবে ঘাম বেশি হলে সঠিকভাবে প্রস্তুত খাবার স্যালাইন মাঝেমধ্যে খেতে দেবেন। শিশুদের গরমের অস্বস্তি দূর করতে রাস্তা, ফুটপাত থেকে রঙিন পানীয় কিংবা আইসক্রিম কিনে দেবেন না। এতে পানিবাহিত রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে।

২. শরীর শীতল রাখতে হবে।

শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। তবে খুব ঠান্ডা পানিতে গোসল করানো চলবে না।

ভেজা গামছা বা তোয়ালে দিয়ে মাথাসহ পুরো শরীর বারবার মুছে দিন।

৩. শিশুর জামাকাপড় হতে হবে আরামদায়ক।

শিশুকে সুতি ও হালকা রঙের ঢিলেঢালা জামাকাপড় পরাতে হবে।

খুব গরমে বাড়িতে মাঝেমধ্যে ডায়াপার খুলে রাখাই ভালো।

৪. ঘর ঠান্ডা রাখতে হবে।

ঘরের ভেতরে প্রচুর আলো-বাতাসের চলাচল নিশ্চিত করুন।

ঘরে ভেজা তোয়ালে ঝুলিয়ে রাখলে তাপমাত্রা কমে।

ফ্যান বা এসি সহনীয় মাত্রায় ছেড়ে রাখতে পারেন।

৫. লক্ষ করুন

শিশু ঠিকমতো যথেষ্ট প্রস্রাব করছে কি না, প্রস্রাবের রং কেমন।

শিশুর চোখ-মুখ শুকনা হয়ে যাচ্ছে কি না, জিব শুকিয়ে গেছে কি না।

শিশু অতিরিক্ত খিটখিটে ও অস্থির হয়ে গেছে কি না।

কোনো বিপৎসংকেত দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

Comments