নিরেট কালো কিংবা বাহারি রং। ডিম্বাকৃতি, গোলাকার, আয়তাকার কিংবা জ্যামিতিক; হরেক রকম বৈচিত্র্য গড়নে-গঠনেও। কখনো নেহাতই সাদামাটা ফ্রেম আবার অনেক সময় চশমার ডাঁটির দীঘল শরীরজুড়ে শৈল্পিক নকশা। চোখের সুরক্ষায় চশমা নিয়ে মানুষের যেমন নানা রকম নিরীক্ষা বেশ পুরোনো, তেমনি সুরক্ষার পাশাপাশি ফ্যাশন-স্টাইলের অনুষঙ্গ হিসেবে রোদচশমার ব্যবহারও কিন্তু বেশ প্রাচীন।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি এবং ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেতে উদ্ভাবিত হয় এই দৃষ্টিনন্দন অনুষঙ্গ। যা সময়ের পরিক্রমায় মানুষের জীবনযাপন এবং ব্যক্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে নিবিড়ভাবে। রঙিন দুনিয়া থেকে শুরু করে খেলার মাঠ, বিশেষত বিভিন্ন তারকাদের ক্ষেত্রে তো বাহারি সানগ্লাস বা রোদচশমার ব্যবহার হয়ে ওঠে অনেকের অনুকরণীয়। আজ ২৭ জুন, রোদচশমা দিবস। ঠিক কবে থেকে কীভাবে দিবসটির যাত্রা শুরু, তা যথাযথভাবে বলা যায় না। তবে রোদচশমার গোড়ার ইতিহাস সম্পর্কে কিন্তু বেশ তথ্য পাওয়া যায়। শুরুর দিকে গগলস নামের এক বিশেষ ধরনের চশমার ব্যবহার ছিল। এরপর রোমান সম্রাট নিরো নিয়ে আসেন রোদচশমার ধারণা। কাছাকাছি সময়ে চীনের লোকজনের মধ্যেও এর ব্যবহার শুরু হয়। করোনাকবলিত বর্তমান জীবনযাপনে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ধারণাটি সব মহলে যেমন পরিচিত, তেমনি এর অপরিহার্য প্রয়োজনীয়তাও স্বীকার করছে মানুষ। সেই সুরক্ষা সরঞ্জামে চশমাও একটি গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম। নিজের স্বাস্থ্য ও দৃষ্টি-সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রোদচশমা হতে পারে আপনার খুবই ভালো একটি অনুষঙ্গ।