গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- শেষ পর্ব (১৯)~~2 ♥
বাসা থেকে বের হয়ে দূরে একজায়গায় বসে থাকি! পরে বাসায় এসে শুনি কথার মেয়ে হয়েছে। আর কোন জানি লোক কথাকে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছে।
.
.
আমার কেমন জানি লাগতেছে। হঠাৎ ঠাস করে গালে চড় বসিয়ে দিল। চড় বসিয়ে দিয়ে বলতে লাগল" আমার আজ লজ্জা করছে, জানু মেয়েটা অপরাধ করেছে। তাই বলে মেয়েটাকে বাঁচানোর জন্য রক্তের প্রয়োজন ছিল কিন্তু তুই দিলিনা! জানিস তোর মতো সবাই না একলোক কথাকে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছে।
.
বাবার কথা শুনি মুঁচকি হাসি দিলাম" আচ্ছা বাবা যে মেয়ে আমাকে মারতে চায় তাকে তুমি কীভাবে বাঁচাতে বলো! "কথাটা বলে রুমে চলে এসেছি।
.
দেখতে দেখতে একবছর চরে যায়। কথাকে অনেক অপমান করেছি তবুও মেয়েটা কান্নাকাটি করে। আর পারছিনা নিজের কাছেই খারাপ লাগে এসব দেখতে!
.
একদিন কথা শুয়ে আছে মেয়েকে নিয়ে, আর মেয়েকে আমার ফটো দেখিয়ে বলছে, মামনি এই যে তোমার আব্বু। মেয়েটাও কথা বলতে পারে অনেক।
.
হঠাৎ রিত্তের ফোন " কথা আপু রাজ ভাইয়ার বিয়ে তুমি এসে ফিরাও! কথাটা বলে রিত্ত ফোন রেখে দেয়"।
.
এদিকে রিত্তের মুখে আমার বিয়ের কথা শুনে মনে হচ্ছে কথার প্রাণটা কেউ বের করে নিচ্ছে। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছে। রাইসাকে নিয়ে গাড়িতে ওঠে চলে আসে আমাদের বাসায়। বাসাটা নীল-লাল বাতিতে সাজানো! কথার আজ সবচেয়ে কষ্টের দিন কারণ আজ এই দিনেই মেয়েটা জন্মগ্রহণ করে আর মেয়েটার জন্মদিনেই তার বাবাটাকে হারাচ্ছে।
.
কথা দৌঁড়ে রুমে গিয়ে চমকে যায়! রুমটা হরেক রকম বেলুন দিয়ে সাজানো।রুমের প্রতিটা জায়গায় রাইসার ছবি। লেখা প্রথম জন্মবার্ষিকী কথা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেনা। দৌঁড়ে গিয়ে রাজকে সবার সামনে জড়িয়ে ধরেঁ। কাঁদতে কাঁদতে রাজের শার্ট ভিজিয়ে ফেলে। মামনি বাবাইকে ওভাবে ধরে রাখছো কেন?
.
রাইসার কথা শুনো সবাই হেসে দেয়!রাজ কথাকে ছাঁড়িয়ে নিয়ে কেক কেটে রাইসার জন্মদিন পালন করে!
.
আর সবাই প্ল্যান করেই রাজের বিয়ের কথা বলে, কথাকে ডেকে নিয়ে আসে!
.
রাত বারোটা কথা রাইসাকে নিয়ে বাসর ঘরে বসে আছে! কিছুক্ষণ পর বাসর ঘরে ঢুকলাম। বিছানায় বসার আগে কথা আমাকে ছালাম করে নিলো!
.
কথার কপালে আলতো করে চুমু একেঁ দিলাম। বিছানার একপাশে দেখি রাইসা ঘুমাচ্ছে, রাইসার কপালে পাপ্পি দিয়ে। কথাকে ঠোঁটে যখনি ঠোঁট মিলাতে যাবো। কথা তখনি বলল" দাড়াও আগে বল রিয়া মেয়েটার সাথে কতদিনের সম্পর্ক তোমার? রিত্ত বলেছে তুমি নাকী ভালবাস রিয়াকে?কথাগুলো বলে কেঁদে দিলো কথা!
.
আমি হাসতে হাসতে বললাম! হ্যাঁ রিয়াকে ভালোবাসি খুব বোন হিসাবে, মেয়েটা কথা বলতে পারেনা তবে সব বুঝে! আর আমার বোন রিত্তের মতো রিয়াও আমার আরেক বোন। আর হ্যাঁ হসপিটালে যে লোকটা রক্ত দিয়েছিল সেটাও আমি! কু বুঝলা তুমি আমাকে অনেক কষ্ট দিছো তাই শোধ নিলাম!আমি আর কথা বলতে পারছিনা কারণ আমার ঠোঁট দুটিকে কথা তাঁর দখলে নিয়ে নিছে! মনে হচ্ছে অজানা কোন রহস্যে হারিয়ে যাচ্ছি!
.
আরে বাহ্ আপনারা এমন কেন রোমান্সটাও করতে দিবেন না! দাঁড়ান লাইট অফ করে দিচ্ছি!
# সমাপ্ত।
বিঃদ্রঃ জানিনা গল্পটা কেমন হয়েছে সেটা জানিনা! সবাে কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমি হয়তো আপনাদের মনের মতো গল্পটা উপস্হাপন করতে পারিনি।তবে আমি চেষ্টা করেছি আমার সেরাটা দিতে। গল্পটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যারা অনুপ্ররণা উৎসাহ যুগিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ দিবো না।তাঁদের জন্য অন্তরের অন্তর স্থল থেকে "ভালবাসা"....... ♥♥♥♥
.
ভালো থাকবেন সবাই।
.
পুরো গল্পটা সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ.....
.
.
♥-------""""""সমাপ্ত"""""-----♥