This is different to saving, which Rocket League Items requires.

you to be directly in or near the goal to save the ball and is awarded as more of a defensive play.Psyonix is adding.

a new programming to the www.lolga.com official Rocket League .

However, I suppose there's nevertheless room for development. I experience that I often see the plus-sized characters being the aspect characters and don’t make up the main forged.

Having more nicely-developed, important characters which might be additionally plus-sized is some thing I would love to look in the destiny.”

https://www.ccosplay.com/

Best Cosplay Costume Store for Movie, Anime, Game and TV Drama - CCosplay.com
www.ccosplay.com

Best Cosplay Costume Store for Movie, Anime, Game and TV Drama - CCosplay.com

CCosplay.com is a profession Cosplay Costume Shop. Online shopping for Anime Costumes, Game Costumes, Movie Costumes and Halloween Cosplay Costumes. We sell Cosplay costumes all over the world, Fas**** Delivery, 24/7 Online Service!

@Cumilla ??

image

মিরপুর ব্লগ ডে আড্ডা এবং আমার সম্ভাব্য প্রেমের গল্প

ভাগ্য ভাল যে কান্ডারীভাই ফোন করেছিল তা না হলে আজকে তো এখানে আসাই হত না ! আর না আসলে বেশ মিস করতাম মনে হয় ! আমরা বেশ কয়েকজন ব্লগার এই মিরপুরে এসে হাজির হয়েছি ! বেশ কয়েকজন আপুও দেখি হাজির !
আমার চোখ একটা বিশেষ আপুর দিকে নিবদ্ধ !
আপু ?
এই বেকুব পুলা ?
কোন মেয়েকে আপু ডাকলে তার চেহারায় একটা বোন বোন ভাব চলে আসে ! যা কি না যে কোন লুল ব্যক্তির জন্য ক্ষতির কারন হিসাবে বিবেচিত হতে পারে ! সুতরাং সব মেয়ে কে আপু না ডাকাই ভাল !
আমি অপরিচিত মেয়েটিকে অনুসরন করা শুরু করলাম !

আরমান এসে বলল
-কি ব্যাপার ? তুমি এমন চুপ করে আছো কেন ?
-কিছু না ! এমনি বসে আছি !
-সাবই আড্ডা মারছে আর তুমি কি কর ?
-আমি পর্যবেক্ষন করতেছি !
আরমান আমার চোখের দৃষ্টি লক্ষ্য করে মেয়েটার দিকে তাকালো ! তাকানোর মত মেয়েই !
আমাদের সামু ব্লগে এমন সুন্দরী ব্লগার আছে আমি তো জানতামই না !
আরমানকে জিজ্ঞেস করলাম
-চিনো নাকি ?
-হুম !
-কি নিকে লিখে ?
-ওতো "বিষন্ন মন" !
-কেন কেন ? এটো সুন্দর মেয়ে বিষন্ন মন কেন হবে ?
-আরে ওর নিক "বিষন্ন মন" ! কবিতা লিখে !
-হুম !
আরো কয়েকজন মেয়ে ব্লগার এসেছে কিন্তু আমার চোখ বিষন্ন মনের দিকেই ! তার প্রধান কারন হচ্ছে মেয়েটার পরনের পোষাক ! মেয়েটা পরে এসেছে একটা সাদা রংয়ের ল্যাগিংস সাথে আকাশী রংয়ের কামিজ ! আর তার উপরে ধবধবে সাদা চাদর !
সাদা জিনিসের উপর আমার এমনিতেই একটু আকর্ষন বেশি আর সাদা ল্যাগিংস হলে তো কথাই নাই !
ভাবতেছি মেয়েটার সাথে কথা বলব কিভাবে ?
সবাই সবার সাথে কথা বলতেছে ! মেয়েরা এক জায়গায় বসে আড্ডা মারতেছে ! আমরা পরিবেশ ভাইকে ঘিরে বসলাম ! অভি পরিবেশ ভাইয়ের ইন্টারভিউ নিতে শুরু করলো ! এদিকে আরমান আর শোভন লাইভ আপডেট দিতে ব্যস্ত ! মাগুর ভাই আমাদের সাথে আড্ডায় ব্যস্ত !
ও দিকে জনি ভাই আর জাদীদ ভাই মেয়েদের আড্ডা মারছে ! কান্ডারী ভাই ব্যস্ত আমাদেরকে আপ্যায়ন করা নিয়ে !
আমার একটু ইচ্ছা হল মেয়েটার গিয়ে কথা বলি ! সবাই আড্ডা মরলেও মেয়েটা চুপ করে বসে আসে !

আমি চুপচাপ মেয়েটাকে দেখতে লাগলাম ! সাথে সাথে অনেকের সাথে কথা বলতে লাগলাম ! আড্ডার মাঝে কেক কাটা হল ! তারপর আমাদের খাওয়া দাওয়া হল । তার উপর কান্ডারীভাই সবাইকে শর্মা খাওয়ালেন ! কেক কাটার পরেও শরৎদা আড্ডা মাতিয়ে রাখলেন !
এতো কিছুর মাঝেও মেয়েটা দেখলাম চুপ করেই আছে ।
বুঝলাম নিক ভালই বেছে নিয়েছে !
বিষন্ন মন !

রাত নয়টার দিকে যখন বাড়ির দিকে রওনা দিবো তখনই প্রথম মেয়েটার আওয়াজ শুনলান ! বলতে হয় মেয়েটা আমার নাম ধরে ডাক দিল !
আমি খানিকটা অবাক হলাম অবশ্য ! যে মেয়েটা এতোক্ষন আমার দিকে একটুও তাকায় নাই আমার সাথে একটু কথাও বলে নাই সে হঠাৎ আমার নাম ধরে ডাক দিল !!

-অপু তুমি বাসায় যাবা এখন ?
খাইছে রে ! একেবারে তুমি ! আপনি না ! একটা অপরিচিত মেয়ের মুখ থেকে তুমি শোনাটা একটু যেন কেমন !! যাক মেয়ে যখন তুমি বলে ডেকেই ফেলেছে আর কি করা ! এক ধাপ এমনিতেই এগিয়ে গেলাম !

আমি মেয়েটিকে বললাম
-হুম ! বাসায় যাবো !
-আমার বাসা তোমার ঐ দিকেই ! রাত হয়েছে ! আমি আসবো তোমার সাথে ? যদি তোমার আপত্তি না থাকে !

এই মাইয়া কয় কি ?
একটা মেয়ে আমার সাথে যাবে তাতে আবার আমার আপত্তি !!
মাথা খারাপ !
আমি যথা সম্ভব মুখ গম্ভীর রেখে বললাম
-আরে কি বল ? এখানে আপত্তি করার কি আছে ! তোমার বাসা কোথায় ?
-রিং রোডে !
-আচ্ছা চল যাওয়া যাক !

সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি আর "বিষন্ন মন" হাটতে লাগলাম ! খুব বেশি রাত হয় নি কিন্তু এর ভিতরই পথ ঘাট কেমন শান্ত হয়ে গেছে । আসলে এটা শহরের এক পাশে তো তাই মনে হয় ! তার উপর আজকে ছিল অবরোধের দিন !
হালকা ঠান্ডা বাতাস হচ্ছে ! আমি মেয়েটির পাশাপাশি হাটতেছি !
কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছি না ! কি বলা উচিৎ ?
মেয়েটির নামটা এখন আমি জানি না !
আমি কিছু বলতে যাবো এর আগেই মেয়েটি বলে উঠলো
-খুব সন্দর বাতাস দিচ্ছে তাই না ?
-হুম ! চমৎকার বাতাস !
-তোমার গল্পের নায়িকারা এই রকম বাতাসে তার মনের মানুষের হাত ধরে হাটতে পছন্দ করে । তাই না ?
আমি একটু চমকালাম !
এই রকম পরিবেশের আসলেই আমার গল্পের নায়িকারা তাদের মনের মানুষের হাত ধরে হাত ধরে হাটতে পছন্দ করে ! আমার কয়েকটি গল্পে এমন কিছু আমি লিখেছি !
তার মানে কি মেয়েটি আমার গল্প পড়ে ! হয়তো পড়তে পারে ! না পড়লে অবশ্য আমাকে চেনার কথাও না ! আমি তেমন বিখ্যাত কেউ না ! কেবল যে অল্প কিছু মানুষ আমার গল্প টল্প পড়ে তারাই আমাকে চিনে ! তবে তাদের সংখ্যা খুব বেশি না !
কিন্তু এই মেয়েকে আমি আমার ব্লগে দেখেছি বলে তো মনে পড়ে না !
মেয়েটি আবার বলল
-তুমি কি জানো যে শুধু তোমার গল্পের নায়িকারা না, বাস্তবেও মেয়েরা এমন বাতাসে তার মনের মানুষের হাত ধরে হাটতে পছন্দ করে ?
-তাই নাকি ?
কালশীর মোড়ের কাছে চলে এসেছিলাম মেয়েটি বলল
-রিক্সা নেই ! আজকে রিক্সায় চড়তে খুব ইচ্ছে করছে !
-আচ্ছা !

কালশী থেকে মেয়েটির সাথে রিং রোড পর্যন্ত যেতে পারবো এটা একটা চমৎকার কথা ! বাহ বাহ !

-তোমার নামটা তো জানা হল না ?
-জানতে চাও ?
-অবশ্যই ! কেন চাইবো না ?
মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষন ! তারপর বলল
-আসলে আমি চাই না তুমি আমাকে চিনো ! তোমার কাছে অপরিচিত থাকতে চাই !
-কেন ?
-আমার ইচ্ছা ! নাম বললে তুমি আমাকে মনে রাখবে না ! ভুলে যাবে !
-কেন ! এমন কথা কেন বলছো ?
মেয়েটা হাসলো !
ঠিক তখনই আমার মনে হল মেয়েটার হাসিতে একটা ভীষন রকম বিষন্নতা লুকিয়ে আছে !
এই জন্যইকি মেয়ের বিষন্ন মন নিক নিয়ে লিখে !
আমি আর কিছু বলতে পারলাম না ! মেয়েটি আমার গা ঘেসে বসেছ ! বাতাসে ওর চুল উড়ছে ! মাঝে মাঝে কিছু চুল আমার মুখের কাছে চলে আসছে ! মেয়েটির সে দিকে লক্ষ্য নেই !
আমি খানিকটা অবাক হয়ে মেয়েটিকে লক্ষ্য করতে লাগলাম !
অপরিচিত একটা মেয়ে যে মনে হয় আমাকে চিনে কিন্তু আমি তাকে চিনি না ! কোন দিন হয় তো ওর ব্লগেও যাই নি ! আর এখন মেয়েটির সাথে এই রাতের বেলা রিক্সা করে যাচ্ছি !

-সারাটা আড্ডায় তুমি আমাকে দেখছিলে । তাই না ?
আমি একবার ভাবলাম অস্বীকার করি ! কিন্তু পরে মনে হল কি দরকার ! বললাম
-হুম ! দেখছিলাম !
-কেন ?
এখন এই প্রশ্নের উত্তর আমি কিভাবে দেই ! মেয়েকে তো বলতে পারি না যে তুমি সাদা ল্যাগিংস পরে এসেছ তাই তোমাকে দেখছিলাম ! কিন্তু মেয়েটি আমাকে অবাক করে দিলে বলল
-আমি ল্যাগিংস পরে এসেছি এই জন্য ?
আমি চুপ করে রইলাম !
মেয়েটি আবার বলল
-দেখো আমি কিন্তু ইচ্ছে করেই ল্যাগিং পরে এসেছি আজ !
কিছুক্ষন চুপ ! তারপর আবার বলল
-তোমার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য !
-মানে ?
মেয়েটি এবার আমার দিকে সরাসরি তাকালো ! কিছু বলল না, সরিয়ে নিল একটু পরেই !
আমার বেশ খানিকটা অবাক লাগছে ! মেয়েটা জানে আমার পছন্দের কথা ! তারমানে সে আমার গল্প ভালই পড়ে ! না পড়লে এই কথা জানার কথা না !

মেয়েটি বলল
-আমি প্রথম যেদিন তোমার গল্প পড়েছিলাম খুব মেজাজ গরম হয়েছিল ! এমন করে কারো জীবনে ঘটে নাকি ? তারপর আস্তে আস্তে এমন একটা সময় আবিস্কার করলাম প্রতিদিন তোমার গল্প না পড়লে আমার কেন জানি ভাল লাগে না ! কেন জানো ?
-কেন ?
-কারন তুমিও মোটামুটি আমার মতই ।
-তোমার মত !
-হুম ! আমার মত ! কেবল পার্থক্য হল তুমি তোমার বিষন্নতাটা লুকিয়ে রাখতে পারো ! আমি পারি না !

আমি কিছুক্ষনের জন্য একেবারে চুপ হয়ে গেলাম ! এই কি বলছে !
এই মেয়ে কিভাবে বুঝে গেল !
আশ্চার্য !

-অবাক করা বিষয় তাই না ? সবচেয়ে পজেটিভ গল্পের লেখকের জীবনে রয়েছ সব চেয়ে বড় ট্যাজেডি ! নিজেকে লুকিয়ে রাখার একটা ভাল উপায় তুমি বের করেছো ! সব সময় একটা কল্পার জগৎ তৈরি করে রাখা নিজের আসে পাশে । নিজেকে বুঝ দেওয়া -দেখোআমি কত্ত ভাল আছি ! তাই না ?

রিক্সা চলতে থাকলো ! রাস্তা ঘাট ফাকা ! রিক্সা চলছে খুব দ্রুত !

-তবে একটা কথা বলবো !
-হুম !
-আমার বেঁচে থাকার পেছনে কিন্তু তোমার বড় একটা হাত আছে !
আমি আবারও অবাক হই ! মেয়েটা কিছুক্ষন চুপ করে থেকে কিছু কথা বলছে আর আমি অবাক হচ্ছি !
আমি বললাম
-কিভাবে ?
-একটা সময় আমি এমন একটা অবস্থায় পৌছে গেছিলাম সেখানে থেকে ফিরে আসার আর কোন উপায় ছিল না ! কিন্তু সেটা রিকভার করতে পেরেছি ! তোমার গল্প গুলো দিয়ে তুমি যেমন তোমার চারিপাশে একটা আবরন তৈরি করে রেখেছো তেমনি আমিও একটা অবরন তৈরি করতে পেরেছি ! যেখানে আমার একজন মানুস আছে ! সে আমার সাথে ঝগড়া করে ! আমাকে হাসায় কাঁদায় ! আমাকে আদর করে ! ঠিক যেমন টা তুমি কর ! কর না ?
আমি এবারও মেয়েটার কথার কোন জবাব দিলাম না ! রিক্সা ততক্ষন রিং রোডের কাছে পৌছে গেছে !
মেয়েটি রিক্সাওয়ালা কে বাঁ দিকের একটা গলিতে যেতে বলল !

রিক্সা থামলো একদম গলির শেষ মাথায় ! রিক্সা থেকে নেমে দাড়ালাম গেটটার সামনে ! পুরানো একটা বাড়ি মনে হচ্ছে !
মেয়েটি মনে হয় এখন গেট দিয়ে ভিতর চলে যাবে ! আমার অবশ্য নামা ঠিক হয় নি ! কিন্তু কেন নামতে মন চাইলো ঠিক বলতে পারবো না ! মনে হল মেয়েটি যেন আরো কিছু বলতে চায় আমাকে !
মেয়েটি গেটের দিক থেকে আমার দিকে ঘুরে দাড়ালো ! তারপর বলল
-তোমার হাত টা একটু ধরবো ?
আমি কিছু বললাম না ! দেকি মেয়েটা নিজেই আমার হাতটা নিজের হাতের ভিতর নিল !
তারপর বলল
-ভাল থেকো !
-তুমিও !
আমার কি আরো কিছু বলার দরকার ? জানি না ! আমি মেয়েটাকে এখনও ঠিক মত বুঝতে পারছি না ! মেয়েটা কিভাবে আমার সম্পর্কে কত সহজে কত কিছু বলে দিল !
মেয়েটি আবার সেই বিষন্ন ভরা হাসি দিয়ে ভিতরে চলে গেল !

আমি কিছুক্ষন দাড়িয়ে রইলাম গেটটার কাছে । কেন দাড়িয়ে থাকলাম জানি না ! মেয়েটার সাথে কি আরো কয়েকটা কথা বলার দরকার ছিল !
মেয়েটার নামটাই তো জানা হল না !

-ভাইজান যাইবেন না ?
রিক্সাওয়ালা তাড়া দিল !
-হুম ! যাবো ! চল !

আমি শেষ বারের মত আরেকবার গেটটার দিকে তাকিয়ে রিক্সায় উঠে পড়লাম ! বিষন্ণ মন নিয়ে ! এখন অবশ্য বিষন্নতা লুকানোর কোন দরকার নেই ! আসেপাশে কেউ নেই !

বিঃদ্রঃ ইহা একটি কাল্পনিক গল্প ! ঐ দিন এমন কিছু হয় নি ! আর বিষন্ন মন নামে যদি কোন ব্লগার থেকে থাকে তাহলে তার সাথে এই গল্পের কোন প্রকার সম্পর্ক নাই !
অতি উৎসাহী ব্লগার রা আবার সার্চ দিয়ে সেই নিক খুজতে যাইবেন না ।

হযরত উমর (রাঃ) এর অনুতাপ। (গল্প)

হযরত উমর (রাঃ) এর অনুতাপ। (গল্প)সারাক্ষণ তিনি ব্যস্ত থাকেন। তিনি ব্যস্ত থাকেন সাধারণ মানুষের জন্য। দেশের জন্য। জাতির জন্য। নিজের জন্য ব্যস্ত হওয়ার সুযোগ তাঁর নেই। নিজের দিকে, নিজের পরিবারের সুখ-শান্তির দিকে চোখ উঠিয়ে তাকানোর সময়ই তো তিনি পাননা। খলীফা হওয়ার পর থেকে তাঁর একদন্ড ফুরসৎ নেই।তিনি খলিফা উমর (রাঃ) ।খলীফা উমর (রাঃ) সাধারণ মানুষের খুব কাছের মানুষ। দরকার পড়লেই মানুষ খলীফার দুয়ারে হাজির হয়। খলীফা কান পেতে মানুষের কথা শুনেন। কারো প্রতি বিরক্ত হন না। কাউকে ফিরিয়ে দেন না। সাধারণ মানুষের কথাবার্তা শোনার জন্য তিনি রীতিমত সময় ঠিক করে রেখেছেন।নির্ধারিত সময়ে দেশবাসী মুসলমানদের দুঃখের কথা, দরকারের কথা, অভাব-অভিযোগের কথা শুনে খলীফা নিরব বসে থাকেন না। তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। প্রয়োজনীয় হুকুম জারি করেন। কাউকে শাস্তি দিতে হলে শাস্তি দেন। কারো অভাব থাকলে বায়তুল মাল থেকে তাঁর হাতে খাবার তুলে দেন। কাউকে সান্ত্বনা দিতে হলে খলীফা নিজেই তাঁকে সান্ত্বনা দেন।রাতের অন্ধকারেও পথে পথে ঘুরেন খলীফা। নিরবে নিভৃত্বে দেশবাসির খোঁজ খবর নেন। আর ভাবেন, কেউ কি অভাবী রয়ে গেলো?কেউ কি কষ্টের মধ্যে দিন কাটালো? কারো প্রতি কোন অবিচার কি হয়ে গেলো? তাহলে তো দেশের যিম্মাদার হিসাবে আমি কাল কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে পারবো না।খলীফা একদিন এক জরুরী কাজে ব্যস্ত। খুব মনোযোগের সাথে সেই কাজটি করে যাচ্ছেন। অন্য কোন দিকে চোখ ফেলতে পারছেন না। হঠাৎ একলোক খলীফার সামনে এসে হাজির।খলীফা যে তখন কত ব্যস্ত, লোকটি তা খেয়ালই করলো না। সময় সুযোগ বুঝে কাজ করা দরকার, লোকটি তাও বুঝলো না। খলীফার কাজে বাঁধা দিয়েই লোকটি বলতে লাগলো—আমার কথা শুনুন খলীফা! অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম করেছে। তাঁর নামে আমি আপনার কাছে বিচার দিতে এসেছি। তাঁর জুলুমের বিচার চাই। ঘুম থেকে হঠাৎ কাউকে জাগিয়ে দিলে সে প্রচন্ড বিরক্ত হয়। ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে এসে কাউকে বাঁধা দিলেও তারও মাথা গরম হয়ে যায়। খলীফা সাংঘাতিক রেগে গেলেন। কারো অভিযোগ শোনার জন্য এখন তিনি বিলকুল প্রস্তুত ছিলেন না।রাগে খলীফার মুখ লাল হয়ে গেলেন। ভাবলেন, এতো আস্ত মূর্খ। সময়জ্ঞান বলতে নেই। আদব-লেহাজও শিখেনি। একে কিছুটা শিক্ষা দেয়া দরকার। খলীফা রাগী চোখে লোকটির দিকে তাকালেন। তারপর বললেন, তুমি কি জাননা, অভিযোগ শোনার জন্য আমি নির্দিষ্ট সময়ে অপেক্ষা করি? তখন আসলে না কেন? যখন অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই, তখন এসে তুমি বিচার চাও!খলীফার কণ্ঠ থেকে যেন আগুনের টুকরা ঝরে পড়ছিলো। কথাটা শেষ করেই খলীফা পাশে রেখে দেয়া দোররাটা হাতে নিলেন এবং শপাং করে লোকটির গায়ে একটি আঘাত করলেন।লোকটি তাঁর অভিযোগ পেশ করার পরই বুঝেছিলো সে ভুল করে ফেলেছে। খলীফা চেহারা তাঁর ধারণা আরো পোক্ত হয়ে গিয়েছিলো। এরপর যখন খলীফা তাঁর গায়ে দোররার আঘাত করলেন, তখন সে পরিষ্কার বুঝে গেলো, আজ তাঁর বিচার পাওয়া যাবে না।দোররার আঘাত গায়ে নিয়ে লোকটি খলীফার দরবার থেকে পথে নেমে পড়লো। লোকটির চোখ-মুখ তখন বড় বিষণ্ন।এদিকে লোকটি যেই বিদায় নিলো, অমনি খলীফা অস্থির হয়ে গেলেন। একটু আগেই তিনি রেগে গিয়েছিলেন। এখন যেন তিনি লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যাচ্ছেন। খলীফা মনে মনে ভাবলেন, একী করলেন তিনি! একজন ফরিয়াদীকে আঘাত করে ফিরিয়ে দিলেন? আল্লাহর কাছে তিনি কি জবাব দিবেন?সঙ্গে সঙ্গে লোক পাঠালেন। খলীফা হুকুম করে দিলেন লোকটিকে ধরে আনার জন্য।কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই লোকটিই আবারো খলীফার সামনে হাজির করা হলো। না জানি খলীফা ফের কোন শাস্তি দেন, এই ভয়ে লোকটি দারুণ ভীত হয়ে পড়েছিলো। কিন্তু খলীফার মুখের দিকে তাকিয়ে লোকটির ভয় কেটের গেলো। সে দেখলো, খলীফার মুখে রাগের কোন চিহ্ন নেই, ক্রোধের কোন ছাপ নেই। সে মুখে এখন অনুতাপের ছায়া। লজ্জা আর অনুশোচনাত চিহ্ন!খলীফা লোকটির হাতে দোররাটি তুলে দিলেন! তাঁর পর অর্ধ দুনিয়ার শাসক খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত ওমর (রাঃ) কান্নাভেজা কণ্ঠে বললেন—ভাই’ আমি তোমার উপর অবিচার করে ফেলেছি। মস্তবড় অপরাধ করেছি তোমাকে আঘাত করে। এখন তুমি এই দোররা দিয়ে আমার গায়ে আঘাত করো। প্রতিশোধ গ্রহণ করো।লোকটির তো আপাদ-মস্তক চমকে গেলো! খলীফার গায়ে আঘাত করে প্রতিশোধ নিতে বলছেন খলীফা নিজেই! একী হতে পারে! আমাদের নেতা! আমাদের কল্যাণ কামী। আমাদের মঙ্গলাকাঙ্খী। আমাদের জন্যই তো তাঁর জীবনটা তিনি বিলিয়ে দিচ্ছেন। তাঁকে আঘাত করে প্রতিশোধ নিতে পারি!মনের দিক থেকে লোকটি খলীফার প্রতি অনেক বেশি দুর্বল হয়ে গেলো। খলীফার এই আচরণে মুগ্ধ হয়ে প্রায় কেঁদে ফেললো। বললো, আমীরুল মুমেনীন! আল্লাহর ওয়াস্তে আমি আপনাকে মাফ করে দিলাম। প্রতিশোধ গ্রহণের আমাত কোন প্রয়োজন নেই।খলীফা সসম্মানে লোকটিকে বিদায় দিলেন।আল্লাহর ভয়ে খলীফার হৃদয় তখনো কাঁপছে। তিনি তাঁর ঘরে এসে দু’রাকাত নামায পড়লেন। তারপর অশ্রুসজল চোখে নিজের অনুশোচনার জন্যে দীর্ঘক্ষণ বসে রইলেন। বসে বসে নিজেকেই নিজে ভর্ৎসনা করলেন—হে উমর! তুমি তো অধঃপতিত ছিলে, আল্লাহ তোমাকে উন্নত করেছেন। তুমি তো পথ হারা ছিলে, আল্লাহ তোমাকে হেদায়েতের পথ দেখিয়েছেন। তুমি তো নগ্ণ্য ছিলে, আল্লাহ তোমাকে সম্মানিত করেছেন। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তোমাকে দুনিয়ার মুসলমানদের বাদশাহ বানিয়েছেন। আজ তোমার কাছে এক নির্যাতিতলোক এসে জুলুমের প্রতিকার চাইলে তুমি তাঁকে আঘাত করে বসলে? আগামীকাল কেয়ামতের ময়দানে তোমার প্রতিপালক আল্লাহর সামনে তুমি কি জবাব দিবে? নিজেকে নিজে ধমকালেন। নিজেকে নিজে ভর্ৎসনা করলেন। আল্লাহর ভয়ে দীর্ঘক্ষণ খলীফা উমর (রাঃ) অশ্রুর স্রোতে ভাসতে লাগলেন।আপনি পড়ছেনঃ সাহাবায়ে কেরামের গল্প বই থেকে।বই থেকে এরপরের গল্পঃ ভয়#গল্প টি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে পড়ার সুযোগ দিন।
LinkedIn
Pinterestসারাক্ষণ তিনি ব্যস্ত থাকেন। তিনি ব্যস্ত থাকেন সাধারণ মানুষের জন্য। দেশের জন্য। জাতির জন্য। নিজের জন্য ব্যস্ত হওয়ার সুযোগ তাঁর নেই। নিজের দিকে, নিজের পরিবারের সুখ-শান্তির দিকে চোখ উঠিয়ে তাকানোর সময়ই তো তিনি পাননা। খলীফা হওয়ার পর থেকে তাঁর একদন্ড ফুরসৎ নেই।
তিনি খলিফা উমর (রাঃ) ।

খলীফা উমর (রাঃ) সাধারণ মানুষের খুব কাছের মানুষ। দরকার পড়লেই মানুষ খলীফার দুয়ারে হাজির হয়। খলীফা কান পেতে মানুষের কথা শুনেন। কারো প্রতি বিরক্ত হন না। কাউকে ফিরিয়ে দেন না। সাধারণ মানুষের কথাবার্তা শোনার জন্য তিনি রীতিমত সময় ঠিক করে রেখেছেন।

নির্ধারিত সময়ে দেশবাসী মুসলমানদের দুঃখের কথা, দরকারের কথা, অভাব-অভিযোগের কথা শুনে খলীফা নিরব বসে থাকেন না। তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। প্রয়োজনীয় হুকুম জারি করেন। কাউকে শাস্তি দিতে হলে শাস্তি দেন। কারো অভাব থাকলে বায়তুল মাল থেকে তাঁর হাতে খাবার তুলে দেন। কাউকে সান্ত্বনা দিতে হলে খলীফা নিজেই তাঁকে সান্ত্বনা দেন।

রাতের অন্ধকারেও পথে পথে ঘুরেন খলীফা। নিরবে নিভৃত্বে দেশবাসির খোঁজ খবর নেন। আর ভাবেন, কেউ কি অভাবী রয়ে গেলো?

কেউ কি কষ্টের মধ্যে দিন কাটালো? কারো প্রতি কোন অবিচার কি হয়ে গেলো? তাহলে তো দেশের যিম্মাদার হিসাবে আমি কাল কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে পারবো না।

খলীফা একদিন এক জরুরী কাজে ব্যস্ত। খুব মনোযোগের সাথে সেই কাজটি করে যাচ্ছেন। অন্য কোন দিকে চোখ ফেলতে পারছেন না। হঠাৎ একলোক খলীফার সামনে এসে হাজির।

খলীফা যে তখন কত ব্যস্ত, লোকটি তা খেয়ালই করলো না। সময় সুযোগ বুঝে কাজ করা দরকার, লোকটি তাও বুঝলো না। খলীফার কাজে বাঁধা দিয়েই লোকটি বলতে লাগলো—আমার কথা শুনুন খলীফা! অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম করেছে। তাঁর নামে আমি আপনার কাছে বিচার দিতে এসেছি। তাঁর জুলুমের বিচার চাই।

ঘুম থেকে হঠাৎ কাউকে জাগিয়ে দিলে সে প্রচন্ড বিরক্ত হয়। ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে এসে কাউকে বাঁধা দিলেও তারও মাথা গরম হয়ে যায়। খলীফা সাংঘাতিক রেগে গেলেন। কারো অভিযোগ শোনার জন্য এখন তিনি বিলকুল প্রস্তুত ছিলেন না।

রাগে খলীফার মুখ লাল হয়ে গেলেন। ভাবলেন, এতো আস্ত মূর্খ। সময়জ্ঞান বলতে নেই। আদব-লেহাজও শিখেনি। একে কিছুটা শিক্ষা দেয়া দরকার। খলীফা রাগী চোখে লোকটির দিকে তাকালেন। তারপর বললেন, তুমি কি জাননা, অভিযোগ শোনার জন্য আমি নির্দিষ্ট সময়ে অপেক্ষা করি? তখন আসলে না কেন? যখন অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই, তখন এসে তুমি বিচার চাও!

খলীফার কণ্ঠ থেকে যেন আগুনের টুকরা ঝরে পড়ছিলো। কথাটা শেষ করেই খলীফা পাশে রেখে দেয়া দোররাটা হাতে নিলেন এবং শপাং করে লোকটির গায়ে একটি আঘাত করলেন।

লোকটি তাঁর অভিযোগ পেশ করার পরই বুঝেছিলো সে ভুল করে ফেলেছে। খলীফা চেহারা তাঁর ধারণা আরো পোক্ত হয়ে গিয়েছিলো। এরপর যখন খলীফা তাঁর গায়ে দোররার আঘাত করলেন, তখন সে পরিষ্কার বুঝে গেলো, আজ তাঁর বিচার পাওয়া যাবে না।

দোররার আঘাত গায়ে নিয়ে লোকটি খলীফার দরবার থেকে পথে নেমে পড়লো। লোকটির চোখ-মুখ তখন বড় বিষণ্ন।

এদিকে লোকটি যেই বিদায় নিলো, অমনি খলীফা অস্থির হয়ে গেলেন। একটু আগেই তিনি রেগে গিয়েছিলেন। এখন যেন তিনি লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যাচ্ছেন। খলীফা মনে মনে ভাবলেন, একী করলেন তিনি! একজন ফরিয়াদীকে আঘাত করে ফিরিয়ে দিলেন? আল্লাহর কাছে তিনি কি জবাব দিবেন?

সঙ্গে সঙ্গে লোক পাঠালেন। খলীফা হুকুম করে দিলেন লোকটিকে ধরে আনার জন্য।

কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই লোকটিই আবারো খলীফার সামনে হাজির করা হলো। না জানি খলীফা ফের কোন শাস্তি দেন, এই ভয়ে লোকটি দারুণ ভীত হয়ে পড়েছিলো। কিন্তু খলীফার মুখের দিকে তাকিয়ে লোকটির ভয় কেটের গেলো। সে দেখলো, খলীফার মুখে রাগের কোন চিহ্ন নেই, ক্রোধের কোন ছাপ নেই। সে মুখে এখন অনুতাপের ছায়া। লজ্জা আর অনুশোচনাত চিহ্ন!

খলীফা লোকটির হাতে দোররাটি তুলে দিলেন! তাঁর পর অর্ধ দুনিয়ার শাসক খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত ওমর (রাঃ) কান্নাভেজা কণ্ঠে বললেন—ভাই’ আমি তোমার উপর অবিচার করে ফেলেছি। মস্তবড় অপরাধ করেছি তোমাকে আঘাত করে। এখন তুমি এই দোররা দিয়ে আমার গায়ে আঘাত করো। প্রতিশোধ গ্রহণ করো।

লোকটির তো আপাদ-মস্তক চমকে গেলো! খলীফার গায়ে আঘাত করে প্রতিশোধ নিতে বলছেন খলীফা নিজেই! একী হতে পারে! আমাদের নেতা! আমাদের কল্যাণ কামী। আমাদের মঙ্গলাকাঙ্খী। আমাদের জন্যই তো তাঁর জীবনটা তিনি বিলিয়ে দিচ্ছেন। তাঁকে আঘাত করে প্রতিশোধ নিতে পারি!

মনের দিক থেকে লোকটি খলীফার প্রতি অনেক বেশি দুর্বল হয়ে গেলো। খলীফার এই আচরণে মুগ্ধ হয়ে প্রায় কেঁদে ফেললো। বললো, আমীরুল মুমেনীন! আল্লাহর ওয়াস্তে আমি আপনাকে মাফ করে দিলাম। প্রতিশোধ গ্রহণের আমাত কোন প্রয়োজন নেই।

খলীফা সসম্মানে লোকটিকে বিদায় দিলেন।

আল্লাহর ভয়ে খলীফার হৃদয় তখনো কাঁপছে। তিনি তাঁর ঘরে এসে দু’রাকাত নামায পড়লেন। তারপর অশ্রুসজল চোখে নিজের অনুশোচনার জন্যে দীর্ঘক্ষণ বসে রইলেন। বসে বসে নিজেকেই নিজে ভর্ৎসনা করলেন—হে উমর! তুমি তো অধঃপতিত ছিলে, আল্লাহ তোমাকে উন্নত করেছেন। তুমি তো পথ হারা ছিলে, আল্লাহ তোমাকে হেদায়েতের পথ দেখিয়েছেন। তুমি তো নগ্ণ্য ছিলে, আল্লাহ তোমাকে সম্মানিত করেছেন। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তোমাকে দুনিয়ার মুসলমানদের বাদশাহ বানিয়েছেন। আজ তোমার কাছে এক নির্যাতিতলোক এসে জুলুমের প্রতিকার চাইলে তুমি তাঁকে আঘাত করে বসলে? আগামীকাল কেয়ামতের ময়দানে তোমার প্রতিপালক আল্লাহর সামনে তুমি কি জবাব দিবে?

নিজেকে নিজে ধমকালেন। নিজেকে নিজে ভর্ৎসনা করলেন। আল্লাহর ভয়ে দীর্ঘক্ষণ খলীফা উমর (রাঃ) অশ্রুর স্রোতে ভাসতে লাগলেন।

আপনি পড়ছেনঃ সাহাবায়ে কেরামের গল্প বই থেকে।

বই থেকে এরপরের গল্পঃ ভয়

#গল্প টি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে পড়ার সুযোগ দিন।

একজন চরম ইসলাম বিদ্বেষীর ইসলামে দাখিল হবার গল্প

ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথিবীতে যেসব “মুভি” বানানো হয়েছিলো, সেগুলোর মধ্যে “Fitna” মুভিটি অন্যতম। মুভিটি নেদারল্যান্ডে বানানো হয়।
মুভিটি বানানো হয় নেদারল্যান্ড ভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন PVV (Partij voor de Vrijheid) এর তত্ত্বাবধানে। Partij voor de Vrijheid একটি ডাচ পরিভাষা যার ইংরেজি অর্থ- Party For Freedom.
এই রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন Greet Wilders , যিনি ওয়ার্ল্ডওয়াইড একজন নামকরা ইসলাম বিদ্বেষী বলে খ্যাত ছিলেন।
“Fitna” মুভিটা নির্মিত হয় এই লোকের প্ররোচনায়। বলা বাহুল্য, Party For Freedom নামের রাজনৈতিক সংগঠনটি যতোটা না রাজনৈতিক, তারচেয়ে বেশি ইসলাম বিদ্বেষী বলে পরিচিত ছিলো।
নেদারল্যান্ডে কোরআন এবং মুসলিম প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধের দাবি সর্বপ্রথম এই সংগঠনটিই তুলেছিলো।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন সে বছরই নেদারল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় এবং পার্লামেন্টে ৯ টি আসন লাভ করে। এরপর, ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে এটি লাভ করে মোট ২৪ টি আসন।

“Fitna” মুভিটা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিই। ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক জঘন্য কয়েকটি মুভির মধ্যে এটি একটি।
এই মুভির সবচেয়ে জঘন্যতম দিক হলো এই, এই মুভির শুরুতেই দেখানো হয় ,- ইসলামের সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) মাথায় একটি বোমা নিয়ে দৌড়াচ্ছেন (নাউজুবিল্লাহ)।
এরপরে মুভিটিতে কোরআনের “জিহাদ” সম্পর্কিত বিভিন্ন আয়াত কোট করে সেগুলো দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয় যে, ইসলাম একটি সন্ত্রাসী এবং জঙ্গীবাদী ধর্ম। সেই মুভিতে বিতর্কিত ৯/১১ এর ঘটনাকেও প্রদর্শন করা হয়। মুভিটা মুক্তি পায় ২০০৮ সালে।

Party For Freedom এর প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে যে কয়েকজন নেতা এই সংগঠনকে সামনে থেকে নের্তৃত্ব দিয়েছিলেন, Arnoud Van Doorn তাদের অন্যতম। এই লোকও ছিলেন Party For Freedom এর প্রতিষ্ঠাতা Greet Welders এর মতো প্রচন্ডরকম ইসলাম এবং মুসলিম বিদ্বেষী।
“Fitna” মুভিটা তৈরি এবং এর প্রচার-প্রসারেও Arnoud Van Doorn এর ভূমিকা ছিলো ব্যাপক।
কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রচন্ড ইসলাম-মুসলিম বিদ্বেষী এই লোক ২০১২ সালে ঘোষণা দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করে ফেলেন।
এই মুভিটা তৈরির পরে একটা হিতে-বিপরীত কান্ড হয়। দেখা গেলো, এই মুভি দেখার পরে প্রচুর সংখ্যক অমুসলিম ইসলামের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে এবং তারা ইসলাম এবং মুসলিমদের ব্যাপারে রিসার্চ শুরু করে। Arnoud Van Doorn ছিলেন তাদের একজন।
নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “I have heard so many negative stories about Islam, but I am not a person who follows opinions of others without doing my own research.Therefore, I have actually started to deepen my knowledge of the Islam out of curiosity.”…

ইসলাম নিয়ে পশ্চিমা মহলের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত এই লোক “Fitna”র মতো ইসলাম বিদ্বেষী মুভির প্রডিউচারদের একজন ছিলেন।
কিন্তু, ইসলাম নিয়ে যখন তিনি নিরপেক্ষ গবেষণা শুরু করলেন, তখন তিনি দেখলেন যে, এতোদিন তাদেরকে ইসলাম নিয়ে যা যা জানানো হয়েছে এবং দেখানো হয়েছে, তা আদতে অপপ্রচার। ইসলাম কোন সন্ত্রাসী ধর্ম নয়, জঙ্গীবাদী ধর্ম নয়। ইসলাম একটি শাশ্বত, পরিপূর্ণ জীবন বিধান।
ইসলামের প্রতি আসক্ত হবার পরে যখন তিনি পুরোদাগে ইসলাম নিয়ে পড়াশুনায় নিমজ্জিত হন, তখন ২০১১ সালে Party For Freedom ভেঙে যায়।

২০১৩ সালে Arnoud Van Doorn মক্কা যান হজ্ব করার জন্য। সেখানে Saudi Gezzete কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উনি বলেন,- “I found myself among these faithful hearts. I hope that my tears of regret will wash out all my sins after my repentance”

তিনি আরো বলেন, “I felt ashamed standing in front of the Prophet’s grave. I thought of the grave mistake which I had made by producing that sacrilegious film. I hope that Allah will forgive me and accept my repentance.”

বর্তমানে তিনি European Daw’ah Foundation চেয়ারম্যান এবং Canadian Daw’ah Association এর এ্যাম্বাসেডর।

উনার আগের ভুল (Fitna Movie) সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,- “I feel an urge and a responsibility to correct the mistakes I have done in the past. I want to use my talents and skills in a positive way by spreading the truth about Islam. I am trying to make a new movie about Islam and the life of Prophet Muhammad (peace be upon him). It would show people what examples the Prophet set in his life and the movie would invite younger people to Islam.”

কাহিনীর এখানেই সমাপ্তি নয়। বাবার ইসলাম গ্রহণের পরে, বাবাকে পুরোপুরি পাল্টে যেতে দেখে উনার ২২ বছর বয়সী ছেলেও ইসলাম গ্রহণ করে। বাবার পরিবর্তন সম্পর্কে বলতে গিয়ে সে (উনার ছেলে) বললো,- “I saw my father become more peaceful after converting to Islam. That’s when I realised there is something good in this religion and it made me change my perception of Muslims. I started studying the Holy Quran and going through lectures of important scholars”

এই হচ্ছে একজন চরম ইসলাম বিদ্বেষীর ইসলামে দাখিল হবার গল্প।

“বলুন, সত্য এসেছে আপনার র’বের পক্ষ থেকে। এবার যাদের ইচ্ছা হয় বিশ্বাস করুক আর যাদের ইচ্ছা প্রত্যাখ্যান করুক”- আল কাহাফ, ২৯

“অন্যরকম গল্প-০১”/

এজন চরম ইসলাম বিদ্বেষীর ইসলামে দাখিল হবার গল্পইসলামের বিরুদ্ধে পৃথিবীতে যেসব “মুভি” বানানো হয়েছিলো, সেগুলোর মধ্যে “Fitna” মুভিটি অন্যতম। মুভিটি নেদারল্যান্ডে বানানো হয়।মুভিটি বানানো হয় নেদারল্যান্ড ভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন PVV (Partij voor de Vrijheid) এর তত্ত্বাবধানে। Partij voor de Vrijheid একটি ডাচ পরিভাষা যার ইংরেজি অর্থ- Party For Freedom.এই রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন Greet Wilders , যিনি ওয়ার্ল্ডওয়াইড একজন নামকরা ইসলাম বিদ্বেষী বলে খ্যাত ছিলেন। “Fitna” মুভিটা নির্মিত হয় এই লোকের প্ররোচনায়। বলা বাহুল্য, Party For Freedom নামের রাজনৈতিক সংগঠনটি যতোটা না রাজনৈতিক, তারচেয়ে বেশি ইসলাম বিদ্বেষী বলে পরিচিত ছিলো।নেদারল্যান্ডে কোরআন এবং মুসলিম প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধের দাবি সর্বপ্রথম এই সংগঠনটিই তুলেছিলো।২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন সে বছরই নেদারল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় এবং পার্লামেন্টে ৯ টি আসন লাভ করে। এরপর, ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে এটি লাভ করে মোট ২৪ টি আসন।“Fitna” মুভিটা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিই। ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক জঘন্য কয়েকটি মুভির মধ্যে এটি একটি।এই মুভির সবচেয়ে জঘন্যতম দিক হলো এই, এই মুভির শুরুতেই দেখানো হয় ,- ইসলামের সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) মাথায় একটি বোমা নিয়ে দৌড়াচ্ছেন (নাউজুবিল্লাহ)।এরপরে মুভিটিতে কোরআনের “জিহাদ” সম্পর্কিত বিভিন্ন আয়াত কোট করে সেগুলো দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয় যে, ইসলাম একটি সন্ত্রাসী এবং জঙ্গীবাদী ধর্ম। সেই মুভিতে বিতর্কিত ৯/১১ এর ঘটনাকেও প্রদর্শন করা হয়। মুভিটা মুক্তি পায় ২০০৮ সালে।Party For Freedom এর প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে যে কয়েকজন নেতা এই সংগঠনকে সামনে থেকে নের্তৃত্ব দিয়েছিলেন, Arnoud Van Doorn তাদের অন্যতম। এই লোকও ছিলেন Party For Freedom এর প্রতিষ্ঠাতা Greet Welders এর মতো প্রচন্ডরকম ইসলাম এবং মুসলিম বিদ্বেষী।“Fitna” মুভিটা তৈরি এবং এর প্রচার-প্রসারেও Arnoud Van Doorn এর ভূমিকা ছিলো ব্যাপক। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রচন্ড ইসলাম-মুসলিম বিদ্বেষী এই লোক ২০১২ সালে ঘোষণা দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করে ফেলেন।এই মুভিটা তৈরির পরে একটা হিতে-বিপরীত কান্ড হয়। দেখা গেলো, এই মুভি দেখার পরে প্রচুর সংখ্যক অমুসলিম ইসলামের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে এবং তারা ইসলাম এবং মুসলিমদের ব্যাপারে রিসার্চ শুরু করে। Arnoud Van Doorn ছিলেন তাদের একজন। নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “I have heard so many negative stories about Islam, but I am not a person who follows opinions of others without doing my own research.Therefore, I have actually started to deepen my knowledge of the Islam out of curiosity.”…ইসলাম নিয়ে পশ্চিমা মহলের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত এই লোক “Fitna”র মতো ইসলাম বিদ্বেষী মুভির প্রডিউচারদের একজন ছিলেন।কিন্তু, ইসলাম নিয়ে যখন তিনি নিরপেক্ষ গবেষণা শুরু করলেন, তখন তিনি দেখলেন যে, এতোদিন তাদেরকে ইসলাম নিয়ে যা যা জানানো হয়েছে এবং দেখানো হয়েছে, তা আদতে অপপ্রচার। ইসলাম কোন সন্ত্রাসী ধর্ম নয়, জঙ্গীবাদী ধর্ম নয়। ইসলাম একটি শাশ্বত, পরিপূর্ণ জীবন বিধান।ইসলামের প্রতি আসক্ত হবার পরে যখন তিনি পুরোদাগে ইসলাম নিয়ে পড়াশুনায় নিমজ্জিত হন, তখন ২০১১ সালে Party For Freedom ভেঙে যায়।২০১৩ সালে Arnoud Van Doorn মক্কা যান হজ্ব করার জন্য। সেখানে Saudi Gezzete কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উনি বলেন,- “I found myself among these faithful hearts. I hope that my tears of regret will wash out all my sins after my repentance”তিনি আরো বলেন, “I felt ashamed standing in front of the Prophet’s grave. I thought of the grave mistake which I had made by producing that sacrilegious film. I hope that Allah will forgive me and accept my repentance.”বর্তমানে তিনি European Daw’ah Foundation চেয়ারম্যান এবং Canadian Daw’ah Association এর এ্যাম্বাসেডর।উনার আগের ভুল (Fitna Movie) সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,- “I feel an urge and a responsibility to correct the mistakes I have done in the past. I want to use my talents and skills in a positive way by spreading the truth about Islam. I am trying to make a new movie about Islam and the life of Prophet Muhammad (peace be upon him). It would show people what examples the Prophet set in his life and the movie would invite younger people to Islam.”কাহিনীর এখানেই সমাপ্তি নয়। বাবার ইসলাম গ্রহণের পরে, বাবাকে পুরোপুরি পাল্টে যেতে দেখে উনার ২২ বছর বয়সী ছেলেও ইসলাম গ্রহণ করে। বাবার পরিবর্তন সম্পর্কে বলতে গিয়ে সে (উনার ছেলে) বললো,- “I saw my father become more peaceful after converting to Islam. That’s when I realised there is something good in this religion and it made me change my perception of Muslims. I started studying the Holy Quran and going through lectures of important scholars”এই হচ্ছে একজন চরম ইসলাম বিদ্বেষীর ইসলামে দাখিল হবার গল্প।“বলুন, সত্য এসেছে আপনার র’বের পক্ষ থেকে। এবার যাদের ইচ্ছা হয় বিশ্বাস করুক আর যাদের ইচ্ছা প্রত্যাখ্যান করুক”- আল কাহাফ,

গল্প : “কিশোরী ও বুদ্ধিমতী মা” যেভাবে আপনার মেয়েকে পর্দার গুরুত্ব বুঝাবেন!
প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরপুর এক কিশোরী। নবম শ্রেণীতে পড়ে। পড়াশুনায় যেমন মেধাবী তেমনি দুষ্টুমিতেও কম যায়না। বাড়ির সবাইকে দুষ্টুমিতে মাতিয়ে রাখে। প্রাকৃতিক নিয়মেই হঠাৎ করে তার শারীরিক পরিবর্তন শুরু হতে লাগল। ঠিকরে বেরুতে লাগল সৌন্দর্য।
প্রতিদিন পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়া-আসা করত। সাথে থাকত তার প্রতিবেশী কয়েকটি মেয়ে। একসাথে গল্প করতে করতে বাসায় ফিরত। প্রতিদিনের মত সে স্কুল থেকে ফিরছিল। কিন্তু আজ তার সাথে কেউ ছিলনা। রাস্তার পাশে এক ছেলে এসময় দাঁড়িয়ে থাকতো কিন্তু কিছু বলত না। আজ তাকে একা আসতে দেখে ছেলেটি তার কাছে এসে বলল – তুমি না অনেক সুন্দর! তোমাকে আমার অনেক ভাল লাগে। একথা বলে ছেলেটি দ্রুত চলে যায়। সুমাইয়া হঠাৎ একথা শুনে একটু থমকে দাড়ায়। কিছু বুঝতে পারেনা। একসময় সম্বিৎ ফিরে পেয়ে দ্রুত বাসায় ফিরে আসে। বাসায় ফিরে স্কুল ব্যাগ রেখে ড্রেস পরিবর্তন না করেই আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে দেখতে লাগল।
সুমাইয়ার মা ব্যাপারটি লক্ষ্য করলেন। ভাবলেন মেয়েতো কখনও এরকম করেনা। তাই তিনি মেয়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন –
– মামনি, কি ব্যাপার ? কিছু হয়েছে ?
– আচ্ছা আম্মু, আমি কি দেখতে অনেক সুন্দর?
মেয়ের এ কথায় মা একটু থমকে গেলেন। ভাল করে মেয়ের দিকে তাকালেন। সত্যিই মেয়ে যে দিনে দিনে এত সুন্দর হয়ে উঠছে তা তো অত ভাল করে খেয়াল করা হয়নি।
– একথা কেন মামনি ?
– আজ স্কুল থেকে আসার পথে এক ছেলে আমাকে বলে আমি নাকি অনেক সুন্দর !
– ও আচ্ছা এই কথা !
– বলনা আম্মু !!
– হুম তুমিতো অনেক সুন্দর হয়ে যাচ্ছ দিনে দিনে !! আচ্ছা এখন তুমি তাড়াতাড়ি পোষাক পরিবর্তন কর আর গোছল করে ফ্রেস হয়ে খাওয়া দাওয়া করে রেষ্ট নাও। বিকালে তোমাকে নিয়ে মার্কেটে যাব। তোমার জন্য কিছু জামা কাপড় কিনব।
– আচ্ছা ঠিক আছে।
বিকেলে মার্কেট থেকে মেয়ের পছন্দমত থ্রী পিছ কিনে দিলেন। বাসায় এসে মেয়েকে নতুন জামা পরিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে দিলেন। আর মেয়েকে বললেন যাও তোমার আব্বুকে দেখিয়ে আস তোমাকে কেমন সুন্দর লাগছে। নতুন জামা পরে খুব খুশিমনে আব্বুর কাছে গিয়ে সালাম করল। আর বলল –
– আব্বু দেখতো আমাকে কেমন লাগছে ?
– সুবহানাল্লাহ ! তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে। এত সুন্দর করে তোমাকে কে সাজিয়ে দিল ?
– মামনি।
তার বাবা মানিব্যাগ থেকে দুটো পাঁচশত টাকার নোট বের বরে মেয়ের হাতে দিয়ে বললেন –
– পাঁচশত টাকা হল তোমার সালামী আর পাঁচশত টাকা হল তোমাকে এত সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়ার জন্য তোমার আম্মুকে আমার তরফ থেকে বকশীশ।
মেয়ে খুশি মনে টাকা নিয়ে আম্মুর কাছে গেল। আম্মুকে টাকা দিল। আম্মু মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খেলেন। তারপর পাশে বসিয়ে বললেন –
– তোমাকে যদি কেউ কিছু উপহার দেয় তাহলে তুমি সেটা কি কর ?
– যত্ন করে রেখে দিই।
– আচ্ছা, আল্লাহ তাআলা আমাদের মানুষকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। তোমাকে এত সৌন্দর্য দান করেছেন। এটা কি তোমাকে আল্লাহর তরফ থেকে দেয়া উপহার না ?
– হ্যাঁ
– তাহলে এই উপহার যত্ন করে রাখা দরকার না ?
– হ্যাঁ অবশ্যই
– বলতো কিভাবে যত্ন করে রাখবে ?
– কিভাবে আবার ! চেহারার যত্ন নিব, রোদে যাবনা, ধূলা****ি থেকে দূরে থাকব, স্নো ব্যবহার করব।
– হুম। আর কি করবে ?
– আর কি ?
– শোন মামনি, আল্লাহ তাআলা যেমন মানুষকে সৌন্দর্য দান করেছেন, ঠিক তেমনি সৌন্দর্য রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য ও কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন – 'আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই-এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ ****ক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।'
(সূরা আন-নূর:৩১)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন – 'হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, ‘তারা যেন তাদের জিলবাবের কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।'
(সূরা আহযাব-৫৯)
'যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে (পরপুরুষের সাথে) কোমল কন্ঠে কথা বলো না, তাহলে যার অন্তরে ব্যধি রয়েছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলবে।'
(সূরা আহযাব-৩২)
– এই যে, আল্লাহ তাআলা কতগুলো নির্দেশ দিয়েছেন এগুলো মেনে চলাকে বলা হয় পর্দা করা। আর প্রত্যেক মুসলিমের জন্য এগুলো অনুসরণীয়।
– তাহলে তো আমাকে পর্দা পালন করতেই হবে আম্মু?
– হুম, নিশ্চিন্ত জীবন যাপনের জন্য তোমাকে তা পালন করতেই হবে। তাতেই আসবে জীবনের সফলতা।
– আম্মু, আজ থেকে আমি পর্দা করা শুরু করে দেব।
গল্প : “কিশোরী ও বুদ্ধিমতী মা” যেভাবে আপনার মেয়েকে পর্দার গুরুত্ব বুঝাবেন!প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরপুর এক কিশোরী। নবম শ্রেণীতে পড়ে। পড়াশুনায় যেমন মেধাবী তেমনি দুষ্টুমিতেও কম যায়না। বাড়ির সবাইকে দুষ্টুমিতে মাতিয়ে রাখে। প্রাকৃতিক নিয়মেই হঠাৎ করে তার শারীরিক পরিবর্তন শুরু হতে লাগল। ঠিকরে বেরুতে লাগল সৌন্দর্য।প্রতিদিন পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়া-আসা করত। সাথে থাকত তার প্রতিবেশী কয়েকটি মেয়ে। একসাথে গল্প করতে করতে বাসায় ফিরত। প্রতিদিনের মত সে স্কুল থেকে ফিরছিল। কিন্তু আজ তার সাথে কেউ ছিলনা। রাস্তার পাশে এক ছেলে এসময় দাঁড়িয়ে থাকতো কিন্তু কিছু বলত না। আজ তাকে একা আসতে দেখে ছেলেটি তার কাছে এসে বলল – তুমি না অনেক সুন্দর! তোমাকে আমার অনেক ভাল লাগে। একথা বলে ছেলেটি দ্রুত চলে যায়। সুমাইয়া হঠাৎ একথা শুনে একটু থমকে দাড়ায়। কিছু বুঝতে পারেনা। একসময় সম্বিৎ ফিরে পেয়ে দ্রুত বাসায় ফিরে আসে। বাসায় ফিরে স্কুল ব্যাগ রেখে ড্রেস পরিবর্তন না করেই আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে দেখতে লাগল।সুমাইয়ার মা ব্যাপারটি লক্ষ্য করলেন। ভাবলেন মেয়েতো কখনও এরকম করেনা। তাই তিনি মেয়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন –– মামনি, কি ব্যাপার ? কিছু হয়েছে ?– আচ্ছা আম্মু, আমি কি দেখতে অনেক সুন্দর?মেয়ের এ কথায় মা একটু থমকে গেলেন। ভাল করে মেয়ের দিকে তাকালেন। সত্যিই মেয়ে যে দিনে দিনে এত সুন্দর হয়ে উঠছে তা তো অত ভাল করে খেয়াল করা হয়নি।– একথা কেন মামনি ?– আজ স্কুল থেকে আসার পথে এক ছেলে আমাকে বলে আমি নাকি অনেক সুন্দর !– ও আচ্ছা এই কথা !– বলনা আম্মু !!– হুম তুমিতো অনেক সুন্দর হয়ে যাচ্ছ দিনে দিনে !! আচ্ছা এখন তুমি তাড়াতাড়ি পোষাক পরিবর্তন কর আর গোছল করে ফ্রেস হয়ে খাওয়া দাওয়া করে রেষ্ট নাও। বিকালে তোমাকে নিয়ে মার্কেটে যাব। তোমার জন্য কিছু জামা কাপড় কিনব।– আচ্ছা ঠিক আছে।বিকেলে মার্কেট থেকে মেয়ের পছন্দমত থ্রী পিছ কিনে দিলেন। বাসায় এসে মেয়েকে নতুন জামা পরিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে দিলেন। আর মেয়েকে বললেন যাও তোমার আব্বুকে দেখিয়ে আস তোমাকে কেমন সুন্দর লাগছে। নতুন জামা পরে খুব খুশিমনে আব্বুর কাছে গিয়ে সালাম করল। আর বলল –– আব্বু দেখতো আমাকে কেমন লাগছে ?– সুবহানাল্লাহ ! তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে। এত সুন্দর করে তোমাকে কে সাজিয়ে দিল ?– মামনি।তার বাবা মানিব্যাগ থেকে দুটো পাঁচশত টাকার নোট বের বরে মেয়ের হাতে দিয়ে বললেন –– পাঁচশত টাকা হল তোমার সালামী আর পাঁচশত টাকা হল তোমাকে এত সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়ার জন্য তোমার আম্মুকে আমার তরফ থেকে বকশীশ।মেয়ে খুশি মনে টাকা নিয়ে আম্মুর কাছে গেল। আম্মুকে টাকা দিল। আম্মু মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খেলেন। তারপর পাশে বসিয়ে বললেন –– তোমাকে যদি কেউ কিছু উপহার দেয় তাহলে তুমি সেটা কি কর ?– যত্ন করে রেখে দিই।– আচ্ছা, আল্লাহ তাআলা আমাদের মানুষকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। তোমাকে এত সৌন্দর্য দান করেছেন। এটা কি তোমাকে আল্লাহর তরফ থেকে দেয়া উপহার না ?– হ্যাঁ – তাহলে এই উপহার যত্ন করে রাখা দরকার না ?– হ্যাঁ অবশ্যই – বলতো কিভাবে যত্ন করে রাখবে ?– কিভাবে আবার ! চেহারার যত্ন নিব, রোদে যাবনা, ধূলা****ি থেকে দূরে থাকব, স্নো ব্যবহার করব।– হুম। আর কি করবে ?– আর কি ?– শোন মামনি, আল্লাহ তাআলা যেমন মানুষকে সৌন্দর্য দান করেছেন, ঠিক তেমনি সৌন্দর্য রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য ও কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন – 'আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই-এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ ****ক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।'(সূরা আন-নূর:৩১)আল্লাহ তাআলা আরও বলেন – 'হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, ‘তারা যেন তাদের জিলবাবের কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।'(সূরা আহযাব-৫৯)'যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে (পরপুরুষের সাথে) কোমল কন্ঠে কথা বলো না, তাহলে যার অন্তরে ব্যধি রয়েছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলবে।'(সূরা আহযাব-৩২)– এই যে, আল্লাহ তাআলা কতগুলো নির্দেশ দিয়েছেন এগুলো মেনে চলাকে বলা হয় পর্দা করা। আর প্রত্যেক মুসলিমের জন্য এগুলো অনুসরণীয়।– তাহলে তো আমাকে পর্দা পালন করতেই হবে আম্মু?– হুম, নিশ্চিন্ত জীবন যাপনের জন্য তোমাকে তা পালন করতেই হবে। তাতেই আসবে জীবনের সফলতা। – আম্মু, আজ থেকে আমি পর্দা করা শুরু করে দেব।– আল্লাহ তাওফিক দান করুন।

দেশ বিদেশের সকল খবর সবার আগে পেতে ভিজিট করুন

Daily Sotter Sokal
sottersokal.com

Daily Sotter Sokal

La**** Bangla News, World, Sports, Entertainment, Politics, Education, Lifestyle. Dainik Sotter Sokal - দৈনিক সত্যের সকাল। daily sotter sokal
Md Anas Molla changed his profile picture
3 yrs

image